উগান্ডায় পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নের অভিনব চেষ্টা
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম
প্লাস্টিক আবর্জনা রিসাইক্লিং, সৌরশক্তির ব্যবহার এবং মেয়েদের স্কুল শিক্ষায় উৎসাহ। একই সঙ্গে তিনটি সমস্যার সহজ সমাধান করে দেখাচ্ছেন উগান্ডার এক উদ্যোক্তা। সেইসঙ্গে নারীদের কর্মসংস্থানও করছেন তিনি।
শালোম খাইয়িনজা ও লিলিয়ান অ্যামনজিনের অপেক্ষায় অনেকেই বসে থাকেন। তবে প্রতিবেশী বা আত্মীয় হিসেবে নয়, এই দুই তরুণী গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে বাসায় আসেন। এই দুই সোলার টেকনিশিয়ান কিছুকাল আগে সেখানে সোলার মডিইউল বসিয়েছেন। সম্ভবত অনিয়মিত বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণে আলোর বাতি জ্বলছে-নিভছে। তাদের সেই সমস্যার উৎস সন্ধান করতে হবে। এই কাজ তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে তুলছে। লিলিয়ান বলেন, ‘সিস্টেম বসানোর মতো কিছু কাজ করে সামান্য উপার্জন করেছি। আমরা পরিবেশ দূষণ প্রক্রিয়া সত্যি বন্ধ করতে পেরেছি। পরিবেশে আর জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমন হচ্ছে না। ফলে আমাদের সবার উপকার হয়েছে।’
সুসান নাতুম্বওয়ে অন্যভাবে হলেও সৌরশক্তির কারণে উপকৃত হচ্ছেন। ১৫ বছর বয়সি এই স্কুলপড়ুয়ার পিঠের ব্যাকপ্যাকের মধ্যে এক মিনি সোলার প্যানেল বসানো আছে। সেটি দিয়ে একটি বাতি চার্জ করে সে রাতেও পড়াশোনা করতে পারে। সেই বাতি আবার তার বাবার মোবাইল ফোনও চার্জ করে। সুসান বলে, ‘এই সোলার ব্যাগের কল্যাণে আমি রাতেও বই পড়তে পারি। যেমনটা দেখছেন, আমাদের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এর ফলে আমার পড়াশোনারও উন্নতি হয়েছে। আমি পরীক্ষায় পাশ করবো।’
সৌরশক্তি নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার জন্য এই তিন তরুণী জামিলা মায়াঞ্জার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় তিনি সামাজিক উদ্যোগপতি হিসেবে সক্রিয়। তার কর্মীরা পথের ধারে প্লাস্টিক ব্যাগের সন্ধান করলে তিনিও সেই কাজে হাত লাগান। কারণ সোলার ব্যাকপ্যাকও পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। কাম্পালায় আবর্জনা এক বড় সমস্যা। স্মার্ট গার্লস ফাউন্ডেশন উগান্ডার প্রতিনিধি জামিলা মায়াঞ্জা বলেন, ‘এই প্লাস্টিক ব্যবহার ও রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে আমরা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। পানির প্রণালীতে ফেলে দেয়ার বদলে আবর্জনার পুনর্ব্যবহার যে সহজ, আমরা তা দেখাতে চাইছি।’
পরিষ্কার করার পর প্লাস্টিক ব্যাগগুলিকে সোলার ব্যাকপ্যাকে রূপান্তরিত করা হয়। বাইরের অংশে আকর্ষণীয় পানি প্রতিরোধী উপাদান বসানো হয়। জামিলার ফাউন্ডেশন প্রায় ২০ জন নারীর কর্মসংস্থান করছে। তারা প্রতিটি ব্যাকপ্যাকের জন্য প্রায় পাঁচ ডলার পারিশ্রমিক পান। কয়েকটি ব্যাকপ্যাক ২০ ডলারের বেশি মূল্যেও বিক্রি করা হয়। তবে শুধু দরিদ্র নারী ও মেয়েরা বিনামূল্যে সেটি পেতে পারেন। ইতোমধ্যে এক হাজারেরও বেশি ব্যাকপ্যাক বিক্রি বা দান করা হয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের সংকটকালে প্রবাসীরা সবসময় এগিয়ে এসেছেন : সিলেটে এডভোকেট এমরান চৌধুরী
'আজ নাটকের মঞ্চকে বিদায় জানালেন কিংবদন্তি শিল্পী অঞ্জন দত্ত'
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
সিকৃবিতে ছাত্রদলের কমিটি বাতিল, বহিস্কার-সংঘষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ওয়াকার-উজ-জামান বিওএ’র নতুন সভাপতি
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সাহসী পদক্ষেপ দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির নির্বাচন মেনে নেবে না -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
বাফুফের বহুল আলোচিত নির্বাচন শনিবার
কুয়াকাটায় সমুদ্রের স্রোতে ভেসে আসা ৩টি মহিষ মালিকের কাছে হস্তান্তর
ম্যাকাওয়ের জালে বাংলাদেশের ৭ গোল
সাবেক হুইপ কমলের দেহরক্ষী আটক, পলাতক কমল
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের বাধা কেটে গেছে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
ফেসবুকে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করলেন সাদিয়া আয়মান
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
যশোরে অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট
নেত্রকোনায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মাসিন বিশ্বাস ৪৮ ঘন্টা পর হাসপাতালে মৃত্যু
বিওএ’র নতুন সভাপতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
কুরআনী শাসনব্যবস্থা চালু হলে সকল অপরাধ ও জুলুম-নির্যাতন বন্ধ হবে -মাওলানা মামুনুল হক
বিজিডিসিএলের চলমান অভিযানে ৩৪৭টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দৌলতদিয়ায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অস্ত্রসহ ৪জন গ্রেপ্তার
ঘুমধুম সীমান্ত থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ২ জন আটক