দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে ইউরোপ, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২২ পিএম | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২২ পিএম
ইউরোপ সমগ্র পৃথিবীর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে এবং সেই তাপ গ্রীষ্মের মাসগুলোতে বিপুল সংখ্যক লোককে হত্যা করছে, ইউরোপীয় জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের একটি নতুন প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইউরোপের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস এবং জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে গত ২০ বছরে মহাদেশে তাপজনিত মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার হোসে আলভারো সিলভা বলেছেন, ‘মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব শহরগুলিতে আরও স্পষ্ট হয়, যেখানে বেশিরভাগ মানুষ বাস করে।’ জনসংখ্যা কেবল শহুরে এলাকায় কেন্দ্রীভূত নয়, শহরগুলি গ্রামীণ এলাকার তুলনায় দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে কারণ বিল্ডিং এবং রাস্তাগুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য গরম থাকে। সম্প্রতি প্রকাশিত ইউরোপিয়ান স্টেট অফ দ্য ক্লাইমেট রিপোর্টে বলা হয়, গত বছর ইউরোপে আবহাওয়ার চরম দিকগুলি দেখা গেছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ও ইইউ'র কপারনরিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) মিলে যৌথভাবে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
এই সিথ্রিএস-এর পরিচালক কার্লো বুয়োনতেমপো বলেন, ‘২০২৩ সালে ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল দেখি আমরা, দেখি সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত, সবচেয়ে উষ্ণ প্রবাহ ও ব্যাপক বন্যা।’ ইউরোপের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ তিনটি বছরই ২০২০ সালের পরের সময়ে। সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে যে দশটি বছরে, তাও ২০০৭ সালের পরেই।
ইন্টারন্যাশনাল ডিজাস্টার ডেটাবেস জানাচ্ছে, গত বছর বন্যায় প্রাণ হারান ৪০জন, ঝড়ে মারা যান ৬৩জন ও ৪৪জনের মৃত্যু হয় দাবানলের কারণে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ইউরোর ক্ষতি হয়। এর ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী সর্বগ্রাসী বন্যা। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল সেলেস্তে সাওলো বলেন, ‘এই প্রজন্মের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জলবায়ু সংকট। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার খরচ হয়তো বেশি, কিন্তু মোকাবিলা না করার দাম আরো অনেক চড়া।’
২০২৩ সালের জুলাই মাসে, দক্ষিণ ইউরোপের প্রায় ৪১ শতাংশ এলাকার মানুষের মধ্যে কড়া, অতি কড়া ও চরম ‘হিট স্ট্রেস’ পরিলক্ষিত হয়। মানুষের শরীরে দাবদাহের প্রভাবকে বলে ‘হিট স্ট্রেস’। দীর্ঘ সময় ধরে ‘হিট স্ট্রেস’-এর মধ্য দিয়ে গেলে, তা শরীরে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। তবুও, সাধারণ মানুষ ও অনেক ক্ষেত্রে, স্বাস্থকর্মীদের মধ্যেও এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেন না।
চরম আবহাওয়ায় নজির গড়লেও ইউরোপ পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির দিকে এগোচ্ছে। গত বছর রেকর্ড গড়ে ৪৩শতাংশ বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস থেকে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জল বিদ্যুৎ ও বাতাস থেকে নেয়া শক্তিও। অর্থাৎ, টানা দু’বছর ধরে ইউরোপে কয়লা বা জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়ে বেশি শক্তি উৎপাদন হয়েছে পরিবেশবান্ধব উৎস থেকে। কিন্তু কার্বন নির্গমন বাড়ায় বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রাও। কিন্তু এল নিনো আবহাওয়ার অবসান বলছে যে হয়তো এই বছরে আগের বছরের মতো এতটা চরম আবহাওয়ার সম্মুখীন নাও হতে পারে ইউরোপ। সূত্র:এনপিআর।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান