ইতালির প্রধানমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশে ইতালির শ্রমভিসা কেনাবেচা হয়, ব্যবস্থা নিতে হুঁশিয়ারি
০৬ জুন ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ১২:০৩ এএম
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে থেকে ইতালিতে আসা কর্মীদের সবচেয়ে বড় অংশই বাংলাদেশের। মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর প্রকাশ করা ভিডিও বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এতে ইতালির শ্রমভিসা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জর্জিয়া। -ডয়েচে ভেলে
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, কূটনীতিকেরা বাংলাদেশে শ্রমভিসা কেনাবেচার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। দেশটিতে এক একটি ভিসা ১৫ হাজার ইউরো (প্রায় ১৮ লাখ টাকা) করে বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন তারা। ইতালির ভিসা ব্যবস্থায় থাকা ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে বিদেশি কর্মীদের অবৈধভাবে দেশটিতে পাচার করছে অপরাধীচক্র। মাফিয়া বিরোধী প্রসিকিউটরের এ নিয়ে তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি। তিনি বলেন, অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের অংশ হিসাবে তার সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতি পূরণের অংশ হিসাবেও নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
২০২৩-২০২৫ সময়কালের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের শ্রমভিসার কোটা গত বছর বাড়িয়েছে মেলোনি সরকার। এখন এই কোটা চার লাখ ৫২ হাজার। আগের তিন বছরের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় ১৫০ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে করোনা মহামারির আগে ইতালি মাত্র ৩০ হাজার ৮৫০টি ভিসা ইস্যু করেছিল। মেলোনি বলেন, ভিসাগুলো তদন্ত করতে গিয়ে কিছু ‘আতঙ্কজনক’ তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, কিছু অঞ্চল থেকে (বিশেষ করে কাম্পানিয়ার দক্ষিণাঞ্চল) সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে আবেদন করা হয়েছে।
মেলোনির দপ্তর থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় বলা হয়েছে, এত বেশিসংখ্যক আবেদনের বিপরীতে কাজের ভিসা পাওয়া বিদেশিদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক কাজের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। কাম্পানিয়াতে এর হার তিন শতাংশেরও কম। তিনি জানান, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে, সংগঠিত অপরাধচক্র প্রায় ১৫ হাজার ইউরোর বিনিময়ে ইতালিতে প্রবেশের অধিকার নেই, এমন অভিবাসীদেরও ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদনের ব্যবস্থা করেছে।
দেশটির মাফিয়াবিরোধী তদন্তকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলোনি। ১৩ থেকে ১৫ জুন ইতালিতে জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনের পর এই অনিয়ম রোধে নতুন ব্যবস্থা পাস করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছানো অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭৪ জন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
কারাগারে এস কে সুর
‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি দুই দিনের রিমান্ডে
অভি খালাস! তাহলে খুনী কে?
জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা টিকটক কিনছেন না মাস্ক
ধামরাইয়ে খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় ফের আবার ডাকাতির চেষ্টা
রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা
বন্ধ বেক্সিমকো খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউজ স্থাপন করবে বিবিএস
পরিবারসহ জ্যাকব ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির নতুন তারিখ
সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ইউজিসি’র
চুক্তিতে নিয়োগের দৌড়ে নওফেলের জালাল উদ্দিন চৌধুরী
পুলিশের চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন হাকিম
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা