গাজায় এক ফুড ব্লগার ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও বাস্তুচ্যুত শিশুদের জন্য খাবার বানাচ্ছে
২২ জুন ২০২৪, ১০:০৩ এএম | আপডেট: ২২ জুন ২০২৪, ১০:০৩ এএম
গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রক্তাক্ত হচ্ছে গাজার মাটি। এমতাবস্থায় ৩২ বছর বয়সী এক ফুড ব্লগার হামাদা শাকোরা তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করেছেন গাজায় বাস্তুচ্যুত শিশুদের জন্য। তিনি শিশুদের জন্য অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে সামাজিক মাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজা ভূখণ্ডের একটি শহর হল খান ইউনিস। যা বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই ধ্বংস-প্রায় ইউনিস শহরের গাজানে একটি টেবিল পেতেছেন ফুড ব্লগার হামাদা। সেখানে তিনি শরণার্থী শিবিরের শিশুদের জন্য খাবার বানাচ্ছেন। যদিও তার কাছে খাবারের পরিমাণ অনেকটা কমে এসেছে। তবুও তাঁর কাছে যতটুকু সম্বল আছে তাই দিয়ে খাবার তৈরি করছেন।
হামাদার ফুড ব্লগিং শুরু হয়েছিল গাজার বিরাট বাজারে। যেখানে মানুষের সর্বদা কোলাহল লেগেই থাকতে। প্রতিদিন নিত্য গ্রাহক ও বিক্রেতার ভিড়ে জমজমাট হত গাজার বাজার। সেখানে তিনি ক্যাফে এবং দোকানগুলিতে ব্লগিং করতেন। যা সামাজিক মাধ্যমে নজর কেড়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের। মূলত তাঁর ভিডিয়োতে গাজার রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্য দেখানো হত।
গাজা এখন তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছে। শিশুরা অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এইসময় হামাদের এই প্রচেষ্টা নজর কেড়েছে নেট নাগরিকদের। তিনি যেভাবে ধ্বংসাবশেষর মধ্যেও অভুক্ত শিশুদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য রান্না করছেন তাতে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। এই বিষয়ে তিনি জানান, তিনি যে খাবার তৈরি করেন তা সম্পূর্ণরূপে পুষ্টিকর নয়। কারণ সেখানে পুষ্টির উপাদানের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।তবে শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে তিনি চেষ্টা করছেন যাতে খাবারে পুষ্টিকর উপাদান থাকে।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানান যে, তিনি যখন ব্লগ শুরু করেছিলেন তখন তিনি রান্নার মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন যে, গাজার কাছে এটাও একটা ঐতিহ্য। আরও জানান তিনি,৭ অক্টোবরের পর বদলে গেল এক ঝটকায়।এরপর থেকে বাজারে খাবারের অভাব হতে শুরু করে। রান্নায় প্রয়োজনীয় উপকরণ পাওয়া যায় না। তবুও তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন শিশুদের মুখে অন্ন তুলে দিতে।
উল্লেখ্য, গাজায় শিশুদের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানিয়েছিল চিকিৎসার এবং পুষ্টির অভাবে প্রাণসংশয় রয়েছে ৮০০০ শিশুর। এদের সকলেরই বয়স পাঁচ বছর বা তার কম। জাতিসংঘ আগেই জানিয়েছিল গাজায় এখন সুস্থ, স্বাভাবিক ওজনের শিশু জন্ম নিচ্ছে না। হু হু করে বাড়ছে নবজাতকের মৃত্যু। গাজার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এসব মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অপুষ্টি, জলশূন্যতা, এবং স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অমিত শাহকে অভিযুক্ত করলেন কানাডার মন্ত্রী, কোনপথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক?
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
না.গঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৫০ জন আক্রান্ত
উত্তরায় ডেঙ্গু সচেতনতা লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান
ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে সামরিক বাজেট দ্বিগুণ বাড়াচ্ছে ইরান
ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সিলেটে প্রথম শহীদ জিলুর মৃত্যু বার্ষিকীতে সিলেট যুবদলের দোয়া মাহফিল
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড
ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধবিরতি চুক্তি শিগগিরই হচ্ছে : লেবাননের প্রধানমন্ত্রী
সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মুজেজায় সিলেটে (এক লাফে) অধ্যক্ষ হয়ে যান হাকিম মুহিব বুল্লাহ
আদর্শিক ছাত্র জনতার ভূমিকা রাখতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম
গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীরা পতিত সরকারের প্রেতাত্মা- মাওলানা ইউনুছ আহমাদ
জকিগঞ্জকে স্বধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবী
ফ্যাসিবাদ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশটাকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিল -আমতলীতে ভিপি নুরুল হক নুর
সায়মা ওয়াজেদের সাথে কাজ করতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার
রেঞ্জ কর্মকর্তার (এসিএফ) বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে শরণখোলায় সুন্দরবনের জেলে মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন
তূণমূল নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এসেছে দেশের স্বাধীনতা : সিলেট মহানগর বিএনপি সেক্রেটারী ইমদাদ চৌধুরী
মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল বাকৃবির রেলস্টেশন
মানব কল্যাণে চাই সকলের একত্রিত প্রচেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব দ্রুত সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন
সেন্টমার্টিনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে