পাখির উৎপাতে নাজেহাল, জার্মানে পায়রা নিশ্চিহ্ন করতে গণভোট
২৪ জুন ২০২৪, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১১:৩০ এএম
জার্মানে পায়রা নিশ্চিহ্ন করার জন্যে সাংঘাতিক উদ্যোগ। পায়রার মলমূত্রে হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ। তাই বাজপাখি দিয়ে পায়রা নিশ্চিহ্নের দাবী একাধিক বাজার সংস্থার। এই নিয়ে রীতিমতো আন্দোলনেও নেমেছেন অনেকে। কিন্তু পশু-সংরক্ষণ কর্মীরা এই নিয়ে বিরোধিতা জানিয়েছেন। যার ফলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে জার্মানের নির্দিষ্ট শহরটিতে।
যাই হোক এই বিষয়ে সমাধানের জন্যে জার্মান প্রশাসন একটি ভোটের আয়োজন করেছে, এখনও পর্যন্ত তার ফলাফল বিবেচনা করা হয়নি। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জার্মান শহর, লিমবুর্গ অ্যান ডার লাহন, বাসিন্দাদের এবং প্রাণী অধিকার কর্মীদের মধ্যে বেশি কিছুদিন ধরেই লড়াই চলছে পায়রা নিধন নিয়ে। লিমবুর্গ অ্যান ডার লাহন বাসিন্দারা পায়রার সম্পূর্ণ বংশকে নির্মূল করার জন্যে ভোট দিয়েছে। আর প্রাণী অধিকার কর্মীরা এই নিয়ে রীতিমতো মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুসারে, বাসিন্দারা এই মাসের শুরুতে একটি গণভোটে পাখি নিধনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আসলে তাদের অভিযোগ পায়রার মল নিয়ে। যার কারণে তারা পায়রার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন। এই অভিযোগগুলি লিমবুর্গের নিউমার্কেট কেন্দ্রীয় স্কোয়ারের আশেপাশের বাসিন্দা, রেস্তোরাঁ এবং বাজারের বিক্রেতাদের দ্বারা নিবন্ধিত হয়েছিল। তবে এই ভোটপর্ব মেটার পর গত ২০ জুন, লিমবুর্গের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে, তারা এখনও গণভোটের ফলাফল নিয়ে এগিয়ে যাবে কিনা তা বিবেচনা করছেন। শহরের মুখপাত্র জোহানেস লাউবাচকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘বাস্তবায়নের জন্য কোনও সময়সূচি নেই। তাই রেজোলিউশনের আরেকবার এই মামলা পর্যালোচনা করা হবে।’
সেখানকার এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের দাবি, বছরের পর বছর ধরে শহরের পায়রার উৎপাতের কারণে তারা হতাশ। যেখানে সেখানে তারা মলমূত্র ফেলে রাখছে, ফলে অনেক ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে তারা। এদিকে গত বছর নভেম্বরে, শহরের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, লিমবুর্গের পায়রার বংশকে হত্যা করার জন্য তারা বাজপাখি নিয়োগ করা উচিত। কারণ বাজপাখি পাখিরাই পায়রাকে ফাঁদে ফেলে তাদের নির্মূল করতে পারবে। কারণ প্রথমে পায়রাদের স্তব্ধ করার জন্য একটি কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করবে এবং তারপর তাদের ঘাড় ভেঙ্গে দেবে। এই সিদ্ধান্তের পরেই পশু অধিকার কর্মীরা তীব্র প্রতিবাদে নেমেছিল এবং স্বাক্ষরের জন্য একটি পিটিশন তৈরি করেছিল। তারপরেই গণভোট শুরু হয়।
এর আগে একটি পোস্টে একজন প্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা বলে ছিলেন, ‘প্রাণী অধিকার কর্মীরা আতঙ্কিত যে পায়রা নিধন বেড়ে যাচ্ছে। অন্যান্য জার্মান শহর, যেমন ফ্রাঙ্কফুর্ট, একধরনের পাখি জন্মনিয়ন্ত্রণের উপর নির্ভর করে এবং তার পায়রাদের সংখ্যা না বাড়তে দেয়ার জন্যে তারা পায়রার আসল ডিমগুলিকে প্লাস্টার দিয়ে প্রতিস্থাপন করে, যখন হেগেন শহর পাখিদের অস্থায়ীভাবে বন্ধ্যা করে দেয়।’ গণভোটের পর, লিমবার্গের মেয়র মারিয়াস হ্যান বলেন, নাগরিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে পায়রার সংখ্যা এমন এক বাজপাখির দ্বারা হ্রাস করা উচিত যে পশুকে স্তব্ধ করে এবং হত্যা করে।’ বৃহস্পতিবার মেয়র জানান, গণভোট বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যালোচনা এখনও বাকি রয়েছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অমিত শাহকে অভিযুক্ত করলেন কানাডার মন্ত্রী, কোনপথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক?
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
না.গঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৫০ জন আক্রান্ত
উত্তরায় ডেঙ্গু সচেতনতা লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান
ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে সামরিক বাজেট দ্বিগুণ বাড়াচ্ছে ইরান
ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সিলেটে প্রথম শহীদ জিলুর মৃত্যু বার্ষিকীতে সিলেট যুবদলের দোয়া মাহফিল
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড
ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধবিরতি চুক্তি শিগগিরই হচ্ছে : লেবাননের প্রধানমন্ত্রী
সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মুজেজায় সিলেটে (এক লাফে) অধ্যক্ষ হয়ে যান হাকিম মুহিব বুল্লাহ
আদর্শিক ছাত্র জনতার ভূমিকা রাখতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম
গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীরা পতিত সরকারের প্রেতাত্মা- মাওলানা ইউনুছ আহমাদ
জকিগঞ্জকে স্বধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবী
ফ্যাসিবাদ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশটাকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিল -আমতলীতে ভিপি নুরুল হক নুর
সায়মা ওয়াজেদের সাথে কাজ করতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার
রেঞ্জ কর্মকর্তার (এসিএফ) বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে শরণখোলায় সুন্দরবনের জেলে মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন
তূণমূল নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এসেছে দেশের স্বাধীনতা : সিলেট মহানগর বিএনপি সেক্রেটারী ইমদাদ চৌধুরী
মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল বাকৃবির রেলস্টেশন
মানব কল্যাণে চাই সকলের একত্রিত প্রচেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব দ্রুত সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন
সেন্টমার্টিনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে