এখন থেকে যারা জার্মানির নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করবেন, বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ইসরাইল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়া জার্মানির নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে এই বিধান রাখা হয়েছে। জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জার্মানিতে নাগরিকত্ব পেতে যে স্বাভাবিক-করণ পরীক্ষা দিতে হয় তাতে এখন থেকে ইহুদি-বিদ্বেষ, ইসরাইলের অস্তিত্বের অধিকার এবং জার্মানিতে ইহুদি জীবন সম্বন্ধে অতিরিক্ত প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত হবে। খবর সিএনএনের।

ক্রমবর্ধমান ইহুদি-বিদ্বেষ, ডানপন্থীদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে জার্মানির বিষয়ে অবস্থান নিয়ে চলমান বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বৃহত্তর সংস্কারের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নতুন নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করেছে জার্মানি। সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মূলত পাঁচটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আইন সংস্কার করা হয়েছে। এগুলো হলো-নাগরিকত্ব অর্জনের প্রক্রিয়া গতিশীল করা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ রাখা, অভিবাসীদের বিশেষ যোগ্যতাকে স্বীকৃতি দেওয়া, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সহজ করা এবং ‘অতিথি কর্মীদের’ প্রজন্মকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি ফিলিস্তিন প্রবাসী থাকেন জার্মানিতে, যাদের সংখ্যা ৩ লাখের কাছাকাছি। গাজার আগ্রাসনে ইসরাইলের প্রতি বার্লিনের কট্টর সমর্থন জার্মানিতে তাৎপর্যপূর্ণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ৭ অক্টোবরের হামলার পর, চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এবং অন্য আইন-প্রণেতারা জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইসরাইলের নিরাপত্তা জার্মানির জন্য একটি মৌলিক জাতীয় স্বার্থ। তবে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেওয়া বিভিন্ন জার্মান গোষ্ঠী মনে করে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ফিলিস্তিনিপন্থিদের জন্য বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতা সীমিত করবে।