২০৩০ সালের মধ্যেই অলস হয়ে যাবে ৬০ ভাগ ভারতীয় : গবেষণা প্রতিবেদন
২৯ জুন ২০২৪, ১১:৪২ এএম | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১১:৪২ এএম
প্রায় ৫০ শতাংশ ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্করা এতটাই অলস হয়ে উঠেছে যে তারা দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম শারীরিক শ্রমও করে না। এর মধ্যে, ভারতীয় নারীদের সংখ্যা প্রায় ৫৭ শতাংশ, যারা শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় নয়। একই সময়ে, পুরুষদের মধ্যে এই হার ৪২ শতাংশ। শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় না থাকার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। ভারতেও এই সংখ্যা প্রায় একই। ভারতীয়দের নিয়ে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল হেলথ ম্যাগাজিন ল্যানসেট ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় না হওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। উচ্চ আয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিকভাবে সক্রিয় না হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ৩১.৩% প্রাপ্তবয়স্করা শারীরিকভাবে সক্রিয় নয়। গবেষকরা এমন প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন যারা বিশ্বব্যাপী শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় নয়।
তাদের মতে, বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের এক-তৃতীয়াংশ (৩১.৩ শতাংশ) ন্যূনতম শারীরিক শ্রমও করে না। গবেষকরা বলছেন, যারা পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করে তাদের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার শারীরিক পরিশ্রম বা সপ্তাহে ৭৫ শতাংশ উচ্চ তীব্রতার শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত।
গবেষণা অনুসারে, ২০১০ সালে শারীরিকভাবে সক্রিয় নয় এমন প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ছিল ২৬.৪ শতাংশ। ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে এটা ৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০০০ সালে ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ২২ শতাংশ ন্যূনতম প্রয়োজনীয় শারীরিক কার্যকলাপও করেনি। ২০১০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ৩৪ শতাংশ হয়। ২০২২ সালে, এই ধরনের লোকের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে বৃদ্ধি পায়।
যদি ভারতে শারীরিক পরিশ্রম করে না এমন লোকের সংখ্যা বাড়তে থাকে, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই ধরনের লোকের সংখ্যা ৬০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। গবেষকরা বলেছেন যে তাঁরা ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলে অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপের ঝুঁকি অনুমান করতে জনসংখ্যা-ভিত্তিক সমীক্ষায় প্রাপ্তবয়স্কদের (কমপক্ষে ১৮ বছর) শারীরিক কার্যকলাপের ডেটা বিশ্লেষণ করেছেন।
গবেষকরা আরও দেখেছেন যে বিশ্বব্যাপী ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার বাড়ছে। মানুষ শারীরিকভাবে কম সক্রিয় হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ ইন্ডিয়া ডায়াবেটিসের একটি গবেষণা দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
এই হিসেবে, ২০২১ সালে ভারতে ১০.১ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা ছিল ৩১.৫ কোটি। এই সমীক্ষা অনুসারে, আনুমানিক ২৪.৪ কোটি মানুষ স্থূলতার শিকার, যেখানে ১৮.৫ কোটি মানুষ উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিএনপির দু গ্রুপের সভা হয়নি গোটা উপজেলার পরিবেশ শান্ত
সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন - ডা. মাজহার
৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জয়ন্ত ও মধুমেলা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা
পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আয়নায় তামিম
আমরা বিগত ১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগ পার করেছি- মাওলানা এ টি এম মা’ছুম
টঙ্গীতে নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ
ক্যাম্পাস সমূহ র্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে: প্রফেসর ড. মাছুমা
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নিলো শহীদ নূর আলী কলেজ
ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা
ডনবাসের তিনটি এলাকা মুক্ত করেছে রাশিয়া
মার্চের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে: পরিবহন উপদেষ্টা
খনন ফিল্ডে প্রত্নতাত্ত্বিক তারিখ নির্ধারন সংক্রান্ত মাঠ কর্মশালা
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুরে যুব সমাবেশ
ফ্যাসিস্ট দোসর তাপসকে হঠাৎ হিরো বানানোর চেষ্টা!
আ’লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না সময় বলে দিবে: সিইসি
সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪ নিহত ১
দিনাজপুরের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও সাঁওতাল লোকসংস্কৃতিবিদ গণেশ সরেন আর নেই