যে কারণে বিষ দিয়ে ১০ লাখ কাক মারার সিদ্ধান্ত কেনিয়ায়

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৪, ১২:৪১ পিএম | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৪১ পিএম

কাকের সংখ্যা জেনো প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায়। কাকের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দেশটিতে। সম্প্রতি দেশটিতে কাক নির্মূলের দাবি উঠেছে।

কাকের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সেগুলো ফলপ্রসূ হয়নি। অবশেষে এ বছরের শেষদিকে ১০ লক্ষ কাক মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

বন্যপ্রাণী ও সম্প্রদায় পরিষেবার পরিচালক চার্লস মুসিওকি বলেছেন, কেনিয়ার উপকূল অঞ্চলে হোটেল মালিক এবং কৃষকদের জনরোষের কারণে সরকার কাক সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ।

বোল্ড-স্কাইয়ের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, কাক মারতে কেনিয়ার সরকার নিউজিল্যান্ড থেকে স্টারলিসাইড নামক বিষ আমদানির পরিকল্পনা করেছে। এই বিষ পরে হোটেল মালিকদের দেয়া হবে।

পক্ষীবিদ, সংরক্ষণবিদ ও রোচা কেনিয়ার সিইও কলিন জ্যাকসন জানান, ১০ লক্ষ কাক হত্যা করতে ৫ থেকে ১০ কেজি বিষের দরকার হবে। প্রতি কেজি বিষ কিনতে ব্যয় হবে ছয় হাজার মার্কিন ডলার।

তিনি আরও বলেন, হোটেল থেকে দেয়া মাংসের টুকরোয় বিষ মেশানো হবে। এই মাংস খেলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব কাক মারা যাবে। তবে এই বিষ অন্য প্রজাতির পাখির জন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি করবে না।

কাক হত্যা বিষয়ে কলিন জ্যাকসন বলেন, এসব কাক খুবই আক্রমণাত্মক। এরা বিপন্ন প্রজাতির স্থানীয় পাখির শিকার করে ফেলে। তাদের বাসা ধ্বংস করে এবং ডিম ও ছানা নিয়ে যায়। যার ফলে স্থানীয় পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য-ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

কেনিয়ার অর্থনীতি অনেকটা পর্যটন নির্ভর। এই পর্যটন খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রার বড় একটা অংশ আসে। তবে কাকেরা বেড়াতে আসা পর্যটকদেরও ছাড় দেয় না। তাদের থালা থেকে খাবার কেড়ে নেয় কাক।

এছাড়াও কাক ছোট প্রাণী, সরীসৃপ ও ছাগলের বাচ্চাদের আক্রমণ করে। মুরগির খামার থেকে বাচ্চা নিয়ে যায়। সেখানকার কৃষিকাজেও ক্ষতি করছে।

যদিও কাক মারার পদক্ষেপ দেশটির জন্য নতুন কিছু নয়। প্রায় ২০ বছর আগেও এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিলো দেশটিতে। যদিও সেসময় কাকের সংখ্যা কিছুটা কমলেও জনবসতির কারণে তা আবার বেড়ে যায়।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিএনপির দু গ্রুপের সভা হয়নি গোটা উপজেলার পরিবেশ শান্ত

মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিএনপির দু গ্রুপের সভা হয়নি গোটা উপজেলার পরিবেশ শান্ত

সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন  - ডা. মাজহার

সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন - ডা. মাজহার

৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জয়ন্ত ও মধুমেলা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জয়ন্ত ও মধুমেলা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা

পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আয়নায় তামিম

রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আয়নায় তামিম

আমরা বিগত ১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগ পার করেছি- মাওলানা এ টি এম মা’ছুম

আমরা বিগত ১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগ পার করেছি- মাওলানা এ টি এম মা’ছুম

টঙ্গীতে নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ

টঙ্গীতে নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ

দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

ক্যাম্পাস সমূহ র‌্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে: প্রফেসর ড. মাছুমা

ক্যাম্পাস সমূহ র‌্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে: প্রফেসর ড. মাছুমা

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নিলো শহীদ নূর আলী কলেজ

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নিলো শহীদ নূর আলী কলেজ

ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা

ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা

ডনবাসের তিনটি এলাকা মুক্ত করেছে রাশিয়া

ডনবাসের তিনটি এলাকা মুক্ত করেছে রাশিয়া

মার্চের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে: পরিবহন উপদেষ্টা

মার্চের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে: পরিবহন উপদেষ্টা

খনন ফিল্ডে প্রত্নতাত্ত্বিক তারিখ নির্ধারন সংক্রান্ত মাঠ কর্মশালা

খনন ফিল্ডে প্রত্নতাত্ত্বিক তারিখ নির্ধারন সংক্রান্ত মাঠ কর্মশালা

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুরে যুব সমাবেশ

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুরে যুব সমাবেশ

ফ্যাসিস্ট দোসর তাপসকে হঠাৎ হিরো বানানোর চেষ্টা!

ফ্যাসিস্ট দোসর তাপসকে হঠাৎ হিরো বানানোর চেষ্টা!

আ’লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না সময় বলে দিবে: সিইসি

আ’লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না সময় বলে দিবে: সিইসি

সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪ নিহত ১

সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪ নিহত ১

দিনাজপুরের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও সাঁওতাল লোকসংস্কৃতিবিদ গণেশ সরেন আর নেই

দিনাজপুরের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও সাঁওতাল লোকসংস্কৃতিবিদ গণেশ সরেন আর নেই