যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে বাবা-মায়ের, মৃত্যুপুরী গাজায় অনাথ ১৯ হাজার শিশু
২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ এএম
জন্ম থেকেই কানে সজোরে ঢুকছে বিকট শব্দ। ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছে শৈশব। পৃথিবীর আলো ভালো করে দেখতে না দেখতেই অন্ধকার নেমে এসেছে চোখে। যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে মা-বাবাকে। আর তাই রাতারাতি অনাথ গাজার হাজার হাজার শিশু।
স্ট্যাটিসটিক্যাল পদ্ধতিতে তৈরি করা জাতিসংঘের একটি সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, গাজার কমবেশি ১৯ হাজার শিশু অনাথ হয়ে পড়েছে। শেলটার হোমে কিংবা আত্মীয়দের কাছে বেড়ে উঠছে তারা। তবে আসল পরিসংখ্যান হয়তো আরও বেশি। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্য কোনও যুদ্ধে এত ছোট এলাকার মধ্যে এত পরিমাণ বোমা বর্ষণ হয়নি সাম্প্রতিক কালে হয়নি বলেই তাদের অনুমান। জাতিসংঘের ‘শিশু এজেন্সি’-র মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকস বলেন, 'গাজায় শিশুদের সংখ্যা বেশি। ঘিঞ্জি, ছোট এলাকায় অতিরিক্ত বোমা বর্ষণ হয়েছে এই যুদ্ধে। ফলে ক্ষতির পরিমাণও ভয়ঙ্কর হারে বেড়েছে।'
গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। তার বদলা নিতে এবং হামাস গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে একাধিকবার গাজায় হামলা চালায় ইসরাইল। যার ফলস্বরূপ হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু। যদিও ইসরাইল সেনার দাবি, জনবসতি এলাকা এড়িয়েই বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু প্রাণহানি হয়েছে। তার মধ্যে বহু সংখ্যক শিশুও রয়েছে। গত এপ্রিলে ক্রিকস এজেন্সির একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৪১ শতাংশ পরিবার গাজায় অনাথ শিশুদের মানুষ করছে।
যুদ্ধে আহত অন্তঃসত্ত্বা একাধিক মহিলা প্রসবের পর প্রাণ হারিয়েছেন। সেই সব শিশুরা অনাথ হয়েই জন্মেছে গাজায়। ব্রিটিশ চিকিৎসক ডা. দেবোরা হ্যারিংটন গত ডিসেম্বর মাসে এইভাবেই দুই শিশুকে পৃথিবীর আলো দেখতে সাহায্য করেন। যদিও প্রসবের পরই মৃত্যু হয় মায়েদের।
পাশাপাশি ইসরাইল সেনার হাতে বন্দি থাকা বহু মানুষের সন্তানরা বড় হচ্ছে অনাথ হিসেবেই। আবার কখনও যুদ্ধবিমান হানার পরে আহত শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। মা-বাবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর আর কখনও ঘরে ফিরতে পারেনি তারা। উদ্ধারকারীরা অনাথ শিশুদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার বহু চেষ্টা করেন। তা সত্ত্বেও বহু শিশুর পরিবারের কোনও হদিশ মেলেনি।
ত্রাণ শিবিরে থাকা শিশুদের জন্য খাবার এবং টাকার ব্যবস্থা করা হয়। প্রত্যেকেই নিজের প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। আর সে কারণেই অনাথ শিশুর দায়িত্ব পেলেও অধিকাংশ পরিবারই নিজেদের সন্তানদের সুরক্ষাকেই সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেয়। জামাকাপড়, খাবার পেলেও ছেলেবেলা থেকেই গাজার এই অনাথ শিশুরা মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শরীয়তপুরে ১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি আদালত ভবন
শুভেন্দুর হুঙ্কার : ‘বাংলাদেশকে জবাব দিতে পাঁচ-সাতটি ড্রোনই যথেষ্ট’
ষড়যন্ত্র ও হয়রানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আবেদন বঞ্চিত বিধবার
মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে ভারতীয় রুপির সর্বনিম্ন রেকর্ড
দোয়ারাবাজারে অভিযুক্ত বাঁধে বালু অপসারণ!
তালেবান শাসনকে বৈধতা না দেওয়ার আহ্বান নোবেলজয়ী মালালার
ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের
ঢাকার বাইরে প্রথম নরসিংদীতে রয়েল এনফিল্ড লঞ্চ
ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধিত করা সম্ভব
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না : হাইকোর্ট
বিদ্যুৎ প্লান্টের পাঁচ লাখ টাকার লোহা তামা স্টিল সামগ্রী চুরির দায়ে ৫০ জনের নামে মামলা
নেত্রকোনা গত ১ বছরে ২৩২টি অস্বাভাবিক মৃত্যু
মেহেরপুর শহরে অবৈধ গাড়ির দৌরাত্ম ফুটপথ দখল, সরু সড়ক, যানজট লেগেই থাকে
অ্যাপলের ডাইভার্সিটি নীতি , বৈচিত্র্য রক্ষার লড়াইয়ে বোর্ডের বার্তা
ঢাবি,ভিকি,এনএসইউ ওয়েটিং লিস্টে থাকে,বান্নাহ খাওয়া মাল খায় না'
দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আন্দোলনে নামার ঘোষণা কর্নেল অলির
আশুলিয়া থানা জমিয়তের কমিটি গঠন
বাংলাদেশের সীমান্তে ১৬০ জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত : রিজভী
মতলবে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা-সাবেক স্বামী আটক
লক্ষ্মীপুর থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার কষ্টিপাথর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর