কার্বন ধরে রাখতে গরু

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম

বায়ুমন্ডলে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে গরু, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ভ‚মিকা রাখছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে গরুর খামারের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের ঘটনাও ঘটেছে। তবে নতুন এক গবেষণা দেখাচ্ছে যে কৃষি খামারের মাটি নতুন করে তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে গবাদিপশু। বিশেষ করে মাটিতে বেশি পরিমাণ কার্বন ধরে থাকতে সাহায্য করে গরু। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সয়েল অ্যাসোসিয়েশন এক্সচেঞ্জের (এসএই) গবেষণা অনুসারে, যে খামারে আবাদযোগ্য ফসল ও গবাদিপশু থাকে, সেখানকার মাটিতে শুধু ফসল চাষ হয় এমন খামারের মাটির তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি কার্বন সংরক্ষিত থাকে। এ কার্বন আসে গবাদিপশুর বর্জ্য থেকে।
জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত এ কার্বন বিশেষ ভ‚মিকা রাখে। ফসল ও গবাদিপশুর মিশ্র খামারের প্রতি মাঠে প্রায় ২৮টি তৃণভ‚মির উদ্ভিদ প্রজাতি পাওয়া যায়, যেখানে ফসলের খামারে ২৫টি ও শুধু দুগ্ধ খামারে ২২ প্রজাতি দেখা গেছে বলে জানানো হয় গবেষণায়।
তবে ‘মানবসৃষ্ট কার্বন নিঃসরণের প্রায় ১৪ শতাংশের জন্য দায়ী পৃথিবীজুড়ে থাকা খামারের গবাদিপশু’ উল্লেখ করে এসএইর প্রধান নির্বাহী জোসেফ গ্রিডলি জানান, গরু বায়ুমÐলে যে পরিমাণ মিথেন নিঃসরণ করে তার তুলনায় মাটিতে কার্বন ধারণ করার পরিমাণ কম, যার কারণে মিথেন ও কার্বনের ক্ষতি ও উপকারিতার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হয় না।
তিনি আরো বলেন, ‘তথ্যানুযায়ী এটি বেশ সুস্পষ্ট যে আপনার খামারে গবাদি পশু থাকা মানে পাঁচ-ছয় গুণ বেশি কার্বন নিঃসরণ করছেন। কিন্তু আপনি যদি গবাদিপশুকে এমন একটি সিস্টেমে নিয়ে যান যেখানে ফসল চাষ হয়, তাহলে মাটির স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে এবং তা জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত অনুক‚ল।’
বিশ্বে দিনে দিনে আবাদযোগ্য ভ‚মির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তবে কতটা কমেছে, তা স্পষ্ট নয়। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও দাবি করেছিল, পৃথিবীতে মাত্র ৬০ মৌসুমের ফসলি জমি অবশিষ্ট রয়েছে। তবে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটার গবেষকরা ২০২১ সালে জানান, হিসাবটা একটু জটিল। ১৬ শতাংশ ফসলি জমির জীবনকাল ১০০ বছরের কম বলে ধারণা করা হলেও, এর এক-তৃতীয়াংশ মাটি কমপক্ষে পাঁচ হাজার বছর টিকে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মিথেন নিঃসরণ হ্রাসের উপায় খুঁজতে গবেষণা করছে যুক্তরাজ্যের পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণবিষয়ক বিভাগ। গবাদিপশুর খাবারে প্রয়োজনীয় তেল, প্রবায়োটিকস, এমনকি সামুদ্রিক শৈবালের মতো পদার্থ যোগ করে মিথেন নিঃসরণ কমানোর চেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি এ দপ্তর। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক
সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান
বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ ছিলেন বাইডেন : সেনাদের লাশ পেতে অপেক্ষায় স্বজনরা
ভারতে পণ আইন নিয়ে বিতর্ক, এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ঘিরে আলোড়ন
ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় পড়ে ছিল বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ
আরও

আরও পড়ুন

স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক

স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক

কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ কিশোর নিহত

কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ কিশোর নিহত

গাজীপুরে কারখানা থেকে দগ্ধ আরও এক লাশ উদ্ধার

গাজীপুরে কারখানা থেকে দগ্ধ আরও এক লাশ উদ্ধার

সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান

সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান

বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ ছিলেন বাইডেন : সেনাদের লাশ পেতে অপেক্ষায় স্বজনরা

বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ ছিলেন বাইডেন : সেনাদের লাশ পেতে অপেক্ষায় স্বজনরা

ভারতে পণ আইন নিয়ে বিতর্ক, এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ঘিরে আলোড়ন

ভারতে পণ আইন নিয়ে বিতর্ক, এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ঘিরে আলোড়ন

ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় পড়ে ছিল বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ

ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় পড়ে ছিল বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ

এক্সপ্রেসওয়েতে কভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫

এক্সপ্রেসওয়েতে কভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫

ব্রাজিলে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, সব যাত্রী নিহত

ব্রাজিলে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, সব যাত্রী নিহত

চুয়াডাঙ্গার রামদিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজনকে হত্যা, আহত ৫

চুয়াডাঙ্গার রামদিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজনকে হত্যা, আহত ৫

চীনের নতুন বাঁধ প্রকল্পে তিব্বতিদের প্রতিবাদ, দমন-পীড়ন ও গ্রেফতার

চীনের নতুন বাঁধ প্রকল্পে তিব্বতিদের প্রতিবাদ, দমন-পীড়ন ও গ্রেফতার

গাজীপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু

গাজীপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু

সউদীতে এক সপ্তাহে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

সউদীতে এক সপ্তাহে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

শহীদ মিনারে ছাত্র আন্দোলনে নিহত আরাফাতের জানাজা বিকালে

শহীদ মিনারে ছাত্র আন্দোলনে নিহত আরাফাতের জানাজা বিকালে

নিউইয়র্ক সাবওয়েতে নারীকে পুড়িয়ে হত্যা

নিউইয়র্ক সাবওয়েতে নারীকে পুড়িয়ে হত্যা

ঘনকুয়াশার কারণে ৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু

ঘনকুয়াশার কারণে ৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫০

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫০

আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়

আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!

আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!