বার্লিনে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসে হামলার সন্দেহভাজন এক পরিকল্পনাকারীকে আটক করেছে জার্মান পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ওই ব্যক্তি হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা গেছে।

রাজধানী বার্লিনের নিকটবর্তী বেরনাউ এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। শনিবার আটক হওয়া ওই ব্যক্তি লিবিয়ার নাগরিক। তার নাম ওমর এ ( জার্মানির গোপনীয়তা রক্ষার আইন অনুযায়ী আটক ব্যক্তির নাম, পরিচয় এর বেশি প্রকাশ করেনি পুলিশ)।

পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সাথে জড়িত। রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, লিবিয়ার ওই ব্যক্তি বার্লিনে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বড় ধরনের হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।

জার্মান সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিদেশি গোয়েন্দাদের কাছ থেকে ওই ব্যক্তির পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত হয় জার্মান পুলিশ। গোয়েন্দারা জানায়, হামলা চালানোর পর ওই ব্যক্তি জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় বন শহরের নিকটবর্তী জাঙ্কট আগুস্টিনে তার এক আত্মীয়ের কাছে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এরপর সে জার্মানি ত্যাগ করতো।

তার ওই আত্মীয়ের বাসা তল্লাশি করেছে পুলিশ। এদিকে এই আটকের ঘটনার পর জার্মানিতে বড় রকমের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন আইনমন্ত্রী মার্কো বুশমান। বার্তা সংস্থা ডিপিএকে তিনি বলেন, ‘‘ইসরাইলের স্থাপনাগুলোর উপর সন্ত্রাসীরা প্রায়ই দৃষ্টি ফেলে।’’

স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা দেয়া, এই সময়ে, বিশেষ করে যখন ইহুদিবিদ্বেষ এবং ইসরাইলের প্রতি ঘৃণার মনোভাব বাড়ছে, তখন নিরাপত্তা দেয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ইহুদিবিদ্বেষ এবং ইসরাইলের প্রতি ঘৃণার মনোভাব পোষণকারী সব ধরনের ভয়াবহ পরিকল্পনা ঠেকাতে যা করা সম্ভব তাই করবে জার্মানি।

এদিকে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার বলেন, ‘‘ইহুদিদের এবং ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।''

দূতাবাসের নিরপাত্তা নিশ্চিত করার জন্য জার্মান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান দেশটিতে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রন প্রোসোর। বার্তা সংস্থা ডিপিএকে তিনি বলেন, অ্যান্টি-সেমিটিজম ঘৃণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদকেও উসকে দেয়।