ভারতীয় উষা ভ্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড লেডি হতে যাচ্ছেন
০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ এএম | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ এএম
পুনরায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাই আনন্দে-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে রিপাবলিকান শিবির।ঠিক তখনই, খুশির অন্ত নেই হোয়াইট হাউস থেকে সাড়ে ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত, ছোট্ট অন্ধ্র গ্রামেও।
ট্রাম্পের জয়ে নাচছেন তারাও।কারণ, ট্রাম্পের রানিং মেট বা হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্সের পূর্বপুরুষের বাড়ি সেখানে।সব ঠিক থাকলে তিনি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’।জেডি ভান্সের স্ত্রী ঊষা চিলুকুড়ি ভান্সের সঙ্গেও রয়েছে ভারতীয় যোগ। অনেকটা যেন বিরোধী ডেমোক্র্যাট নেত্রী তথা বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মতোই।
৩৮ বছর বয়সী উষার মা-বাবা ভারত থেকে অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানদিয়েগোর শহরতলিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা উষা একসময় নিবন্ধিত ডেমোক্র্যাট ভোটার ছিলেন। তার পূর্বপুরুষের বাড়ি অন্ধ্র প্রদেশের ভাদলুরু গ্রামে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত হোয়াইট হাউস থেকে ১৩ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দূরে সেই গ্রাম। এখানকার গ্রামবাসী ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন। মন্দিরে গণেশ দেবতার মূর্তির সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে মন্দিরের পুরোহিত আপাজি বলেন, ‘আমরা আশা করি উষা নিজের শিকড়ের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে গ্রামের মঙ্গলের জন্য কিছু করবেন। আর সেটা করলে তা দারুণ হবে।’ গ্রামের বাসিন্দা শ্রীনিভাসা রাজু (৫৩) বলেন, ‘আমরা খুশি।আমরা ট্রাম্পকে সমর্থন করি।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী ভেনকাতা রামানায় বলেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয়, শুধু আমি না, আমরা প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক উষার জন্য গর্বিত। কারণ, সে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আমরা আশা করি, সে গ্রামের উন্নতির জন্য কাজ করবে।’তিনি আরও বলেন,‘আমরা ইতিমধ্যে ট্রাম্পের শাসন দেখেছি এবং তা খুব ভালো।ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ভারতীয় ও আমেরিকানদের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় ছিল।’
উষা ভ্যান্সের প্রপিতামহ ভালদুরুতে বসবাস করতেন।একসময় গ্রাম ছেড়ে চেন্নাই শহরে পাড়ি জমান।সেখানে তাঁর বাবা চিলুকুরি রাধাকৃষ্ণানের শৈশব ও কৈশোর কাটে।এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।উষা কখনোই তার গ্রামে যাননি।পুরোহিত আপাজি জানিয়েছেন,বছর তিনেক আগে তার বাবা গ্রামে এসেছিলেন।তখন মন্দিরের অবস্থা দেখে যান।
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর উষার বাবা রাধাকৃষ্ণান কী করেছিলেন,সে বিষয়ে তেমন একটা তথ্য পাওয়া যায়নি।তবে জে ডি ভ্যান্সের স্মৃতিকথা ‘হিলবিলি এলেজি’ নিয়ে তৈরি টিভি নাটকে বলা হয়েছে, তিনি ‘শূন্য’ হাতে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।উষা একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। তিনি ইয়েল ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৪ সালে কেন্টুকিতে জে ডি ভ্যান্সকে বিয়ে করেন।এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্রবাসীর স্ত্রীকে রাত্রিযাপনের প্রস্তাব পুলিশ কর্মকর্তার
ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ভারতীয় বংশদ্ভূত ‘কাশ প্যাটেল’কি পরবর্তী সিআইএ-প্রধান?
মহিষের গুঁতোয় নারীর মৃত্যু, আহত ৩
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নতুন মহাপরিচালক রেজানুর রহমান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবে সরকার, আশা ফখরুলের
এনাম দম্পতির সম্পদের খোঁজে দুদক আদম ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি!
মারা গেলেন নাইজেরিয়ার সেনাপ্রধান
দাম কমাতে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক-করাদি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার
‘সাত দিনের মধ্যে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না আনলে আন্দোলন’
শুক্রবার লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে জয়ী ট্রাম্পের সাথে ‘বড় পরিকল্পনা’ রয়েছে বললেন হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট
ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনা, ইসকনদের নিয়ে যা বলছে নেটিজেনরা
৬ দিনের রিমান্ডে আমির হোসেন আমু
বন্দরে ৮৮০০ পিছ ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
ঘরে বসে পাসপোর্টের জন্য আঙুলের ছাপ দিলেন সাবেক স্পিকার, ব্যাপক সমালোচনা
কর ফাঁকির অভিযোগে ফ্রান্স ও ডেনমার্কের নেটফ্লিক্সের অফিসে তল্লাশি
পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
'ক্যারিয়ারে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন'
সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে ট্রুডো-ম্যাঁক্রো
কক্সবাজারের ৪টি আসনেই বিএনপি এগিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াত