বিশ্বব্যাপী মূল্যবান চিজের কালোবাজারি : খাদ্য অপরাধের নতুন লক্ষ্য
১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
সম্প্রতি একটি অভিনব চিজ চুরির ঘটনায় বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে, ব্রিটেনের একটি বিখ্যাত চিজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, নিলস ইয়ারের ডেইরি থেকে প্রায় ২২ টন দামী হাফোড চিজ চুরি হয়।হাফোড চিজ, যা ১৮ মাস ধরে তৈরি হয় এবং চিজের মূল্য ছিল ৩৫,০০০(£)পাউন্ড।সেই চিজ ফ্রেঞ্চ সুপারমার্কেটের পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা চুরি হয়ে যায়।
এ ঘটনাটি ঘটে গতবছর অক্টোবর মাসে, যখন চিজটির প্রথম ব্যাচ সংগ্রহ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, চিজটি চুরি করার পিছনে ছিল একটি ভুয়া আদেশ, যার মাধ্যমে কেউ ফ্রেঞ্চ সুপারমার্কেটের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করে চিজটি অর্ডার করে।এর ফলে শুধু প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নয় বরং ব্রিটেনের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের জন্য এটি একটি বিশাল আর্থিক ক্ষতি সৃষ্টি হয়,কারণ চিজ ছিল অত্যন্ত দামি এবং বিশেষ ধরনের চিজ।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সম্পর্কিত অপরাধের ক্ষেত্রে চুরি, স্মাগলিং এবং ফুড কাউন্টারফেটিং অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এর মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা গেছে অতি মূল্যবান (লাক্সারি) চিজের উপর অপরাধীদের ( ক্রিমিনালদের)বিশেষ আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।শুধু ব্রিটেনেই নয়, ইতালিতেও ২০১৬ সালে প্রায় ৮০,০০০ (£) পাউন্ড এর পারমিজানো রেজিয়ানো চিজ চুরি হয়েছিল।এমনকি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চিজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে,চিজ চুরি করাও একধরণের লাভজনক চুরিতে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিজ উৎপাদন একটি শক্তিশালী এবং শক্তিশালী প্রক্রিয়া, যা অনেক সময় এবং শ্রম প্রয়োজন হয়। এর মূল্য বৃদ্ধির পেছনে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং শ্রমিকের মূল্যবৃদ্ধির মতো অনেক কারণ দায়ী। এর পাশাপাশি, নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সঠিক না থাকলে চিজ চুরির ঘটনা বৃদ্ধি আরও পেতে পারে।
এখন, চিজ চুরির ঘটনা যে শুধু অপরাধীদের জন্য একটি ব্যবসায়িক সুযোগ, তা নয়, বরং আন্তর্জাতিকভাবে চিজের বাজারে বেড়ে চলা চাহিদা এবং এর দামে প্রবৃদ্ধি একে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
কিন্তু এ সব অপরাধের পেছনে কি ধরনের সংগঠিত অপরাধী দল জড়িত, এবং চুরির (stolen) চিজ কোথায় চলে যায়, তা নির্ধারণ করা অনেকটাই কঠিন হয় পরে। কিছু গবেষণা বলছে,চুরির চিজ সাধারণত রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য দেশে পাচার করা হয়,যেখানে কালোবাজারি প্রচলিত এবং চিজের উচ্চমাত্রায় চাহিদা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞেদের মতে,রাশিয়ায় বিশেষ ধরনের চিজের কালোবাজারি রয়েছে অনেক।যেখানে ইইউ-র নিষিদ্ধ চিজ চুরি করে সেখানে বিক্রি করা হয়।চিজ চুরির এসব অপরাধীরা চিজের প্রকৃত মুল্য না রেখে সেটি পাচার করে সস্তায় বিক্রি করে দেয়।
চিজের বাজারে উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে আরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যেমন প্যারমিজানো রেজিয়ানো চিজের ক্ষেত্রে চিপ(বিশেষ প্রযুক্তি) যুক্ত করা হয়েছে যা চিজের মৌলিকতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
তবে, এর জন্য চিজ প্রস্তুতকারকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করতে হবে।তাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে চিজের মতো মূল্যবান খাদ্য চুরি প্রতিরোধ করা যায়।বিশ্বব্যাপী চিজের চুরি এবং পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এর বিরুদ্ধে সতর্কতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এবার হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ইসরাইলি দুই ব্যক্তি নিহত
তৃতীয়বার কমলো স্বর্ণের দাম
আবারও পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৮ কর্মকর্তাকে বদলি
আবারও ইসরাইলি হামলায় গাজা-লেবাননে নিহত ৯১
প্রথম এয়ার ট্যাক্সি স্টেশন নির্মিত হচ্ছে দুবাইয়ে
শম্ভুর ধরা পড়ায় এলাকায় আনন্দের বন্যা
রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা
খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
পার্লামেন্টে ক্ষমা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!
লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার
মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার
সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক
গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই
সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির