ট্রাম্পের মন্ত্রীসভায় চীন বিরোধী মনোভাব স্পষ্ট !
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
নব নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নতুন প্রশাসনে চীন-বিরোধী মনোভাব পোষণ করা ব্যক্তিদের নিয়ে মন্ত্রীসভা সাজাচ্ছেন,যা বেইজিংয়ের প্রতি কঠোর মনোভাবের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।ট্রাম্প মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর)সাবেক জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক জন রাটক্লিফকে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান,টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও সেনা অভিজ্ঞ পিট হেগসেথকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী,এবং ফ্লোরিডা কংগ্রেসম্যান মাইকেল ওয়াল্টজকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন দেন।
সোমবার(১১নভেম্বর)তিনি নিউ ইয়র্কের হাউস প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেন।ফ্লোরিডা সিনেটর মার্কো রুবিওকেও পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।এই পাঁচজনই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বড় ধরনের বিরোধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব পোষণ করেন।
এমনকি ট্রাম্প মঙ্গলবার টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও এলন মাস্ক এবং উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী (Vivek Ramaswamy)-কে "গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সি ডিপার্টমেন্ট" চালানোর জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন।তবে মাস্কের চীন সম্পর্কে কিছুটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে,কারণ তাঁর ব্যবসায়িক সম্পর্ক চীনের সঙ্গে গভীর।রাটক্লিফ,হেগসেথ, ওয়াল্টজ, এবং রুবিওর মতো নেতারা চীনের বিরুদ্ধে খুবই কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছেন।
ট্রাম্পের কেবিনেটের এই নেতারা চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।রাটক্লিফ ২০২০ সালে একটি নিবন্ধে চীনকে "আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি" বলে অভিহিত করেছিলেন।হেগসেথও চীনকে বিশ্বব্যাপী আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসছে বলে দাবি করেছেন।ওয়াল্টজ চীনকে "অস্তিত্বের হুমকি" বলে উল্লেখ করেছেন এবং তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি করার ওপর জোর দিয়েছেন।
ট্রাম্পের প্রশাসন কেবল চীন সম্পর্কেই কঠোর মনোভাব পোষণ করছে না,বরং মার্কিন মিত্র রাষ্ট্রগুলোর জন্যও এটা কিছুটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।স্টেফানিকের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মিত্র,বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো উদ্বিগ্ন হতে পারে। কারণ তিনি চীনকে নিয়ে খুবই কড়া মন্তব্য করেছেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
সম্ভাব্য ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপগুলো চীন সম্পর্কিত আরও কঠোর কৌশলের সূচনা হতে পারে এবং এটি তার দ্বিতীয় মেয়াদে আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার সংসদ নির্বাচন, নতুন চ্যালেঞ্জ!
আবার ফিরছে শফিক রেহমানের ‘লাল গোলাপ’
৭০ বছর পর নিখোঁজ ৩ ব্রিটিশ সেনার দেহাবশেষ শনাক্ত
আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন আব্দুল্লাহর ইন্তেকাল
শিবালয়ে যমুনার তীরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়লো ড্রেজারের প্লাস্টিক ফ্লোটার
জকিগঞ্জে পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল আবিস্কার হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে
১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
হাজি সেলিমের ছেলে সোলায়মান গ্রেপ্তার
সিলেট বিমানবন্দর সড়কে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হলো এক কলেজ ছাত্রের !
ঝালকাঠিতে ইঁদুর মারা ওষুধ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ভবনের বাইরে বিস্ফোরণ,নিহত ১
পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানের সঙ্গে প্রতারণা : অ্যাটর্নি জেনারেল
ঝালকাঠিতে আমির হোসেন আমুসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে চায়: এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা
আ.লীগ নেতাদের ক্ষমা চাইতে হবে: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল
সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও আ'লীগ নেতা মতিউরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯
মালয়েশিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী দাইম জয়নুদ্দিন আর নেই
সংস্কৃতি উপদেষ্টার আশ্বাসে প্রতিবাদ সমাবেশ বাতিল করলো গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন
শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশ্বাস, হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প-বাইডেন বৈঠক