৮০ বছর পর সরিয়ে নেয়া হচ্ছে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ
১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে তৎকালিন বার্মায় (বর্তমান মিয়ানমার) মিত্র শক্তি ব্রিটিশ আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ হয় অক্ষ শক্তি জাপানের সৈন্যদের। ওই যুদ্ধে আহত সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হতো চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার ব্রিটিশ সামরিক হাসপাতালে। যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী মিত্রশক্তির সৈন্যদের পাশাপাশি বিরোধী পক্ষের জাপানি সৈনিকদেরও চিকিৎসার জন্য এই দুই এলাকার সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ওই সময়ে যেসব জাপানি সৈন্য চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান, তাদের চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রিতে কবর দেওয়া হয়েছে।
৮০ বছর পরে জাপানি সরকার তাদের সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিলে সাড়া দেয় বাংলাদেশ। প্রথম পর্যায়ে ২৪ জন জাপানি সেনার দেহাবশেষ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রিতে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কবর খনন শুরু হয়েছে। এজন্য জাপানের সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছেছে এবং এদের মধ্যে চার জন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ।
পরবর্তী পর্যায়ে চট্টগ্রামে যেসব জাপানি সৈন্যদের কবর রয়েছে তাদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হবে।
কবর খনন, উত্তোলন ও স্থানান্তর কাজে পূর্বের বিশেষ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থাকার কারণে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল কাজি সাজ্জাদ আলি জহিরকে (বীর প্রতীক) বাংলাদেশ ও জাপান সরকার এ কাজ সম্পাদনের জন্য নিয়োজিত করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কবর খনন শুরু হয়েছে এবং অনুমান করা হচ্ছে আগামী ১০ দিন এই কাজ চলবে। এ পর্যন্ত ১২টি কবর থেকে দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়েছে।
৮০ বছর পরে মানুষের দেহ মাটির সঙ্গে মিশে গেলেও কিছু হাড় অবশিষ্ট থেকে যায়। ওই হাড়গুলো এখন উদ্ধার করার পর ডিএনএ টেস্ট করে যাচাই বাছাই করা হবে।
এ বিষয়ে একটি সূত্র বলেন, ‘এটি একটি জটিল ও দুরূহ প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে সুক্ষ্ম জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিরা ছাড়া একাজ করা সম্ভব নয়। প্রথমত জাপানি সৈন্যদের কবরগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা এবং উদ্ধারকৃত হাড়গুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। সর্বশেষ ওই সৈন্যদের পরিবারকে খুঁজে বের করে তাদের পরবর্তী জীবিত প্রজন্মের কারও সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।
দেহাবশেষ জাপানে নিয়ে গিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
টেকনাফে মাদক বিরোধ নিয়ে নিহত এক
বিচারের আগে আ.লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
রুশ ব্যালে তারকা ভ্লাদিমির শক্লিয়ারভের মর্মান্তিক মৃত্যু
জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে কাপ্তাইয়ের কবিরুল ইসলাম
হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
হাসিনার সব অপরাধের সহযোগী ছিলো মন্ত্রী-এমপিরা : চিফ প্রসিকিউটর
বায়ুদূষণে চরম বিপর্যস্ত দিল্লি, এবার বন্ধ হলো স্কুল-নির্মাণকাজ
"গায়িকা জোজোর ছেলে চকলেট ভেবে গিলে ফেলেছে বুলেট"
সাংবাদিকদের নামে মামলা গোলাপগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতিবাদ ও নিন্দা
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১১১, ‘গণহত্যা’ দাবি করে তদন্তের আহ্বান পোপ ফ্রান্সিসের
বেতনের দাবিতে বেক্সিমকো শ্রমিকদের তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ, সড়কে যৌথবাহিনী
১৩৭ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হলমার্ক এখন ধ্বংসস্তূপ, সব যন্ত্রপাতি লুট
লক্ষ্মীপুরের মাওলানা আব্দুল হান্নান আর নেই
ঢাবিতে ভর্তি: ১৪ দিনে সোয়া দুই লাখ আবেদন, বেশি বিজ্ঞানে
কখনো ভাবিনি নারীদের অধিকার এত সহজে হারিয়ে যাবে : মালালা
কিশোরগঞ্জে যুবকের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত
অস্ট্রিয়ার জাতীয় দিবসে অনারারি কনস্যুলেট, ঢাকার শুভেচ্ছা!
গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ১৩ আসামিকে
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১০ এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনে নজর কেড়েছে শাহরুখ খান