এঙ্গেলা মার্কেলের আত্মজীবনী,শরণার্থী সঙ্কট ও রাশিয়া সম্পর্কের বিশ্লেষণ
২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেল তার শাসনকালের ১৬ বছর নিয়ে একটি আত্মজীবনীমূলক বই "ফ্রিডম" প্রকাশ করেছেন, যা মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ৩০টি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।৭০ বছর বয়সী মার্কেল তার শাসনকাল এবং সেই সময়ে যে নানা চ্যালেঞ্জের বিষয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছেন।
আত্মজীবনীতে তিনি শরণার্থী সঙ্কট,রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক এবং তার শাসনকালীন বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।যদিও শরণার্থী নীতি ও রাশিয়ার প্রতি মনোভাবের জন্য তাকে অনেক সমালোচনায় পড়তে হয়েছে।২০১৫ সালে ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল নামে,মার্কেল তখন পালিয়ে আসা লাখ লাখ শরণার্থীকে জার্মানিতে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সমালোচকরা দাবি করেছেন,তার এই সিদ্ধান্ত ইউরোপে শরণার্থী সঙ্কট বাড়িয়ে দিয়েছে এবং জার্মানির রাজনীতিতে কট্টরপন্থী দল 'এফডি' (AfD)-এর উত্থান ঘটিয়েছে।তবে তিনি তার আত্মজীবনীতে এই বিষয়টি নিয়ে বলেন, "আমি এখনও বুঝতে পারি না, কীভাবে একটি ছবি, যেখানে আমি এক শরণার্থীর সঙ্গে সেলফি তুলেছি, সেটি লাখ লাখ মানুষের শরণার্থী হওয়ার উৎস হতে পারে।"
আত্মজীবনীতে মার্কেল আরও জানান,২০০৮ সালের বুখারেস্ট সম্মেলনে তিনি ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন।২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ এবং নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের ধ্বংস,যা জার্মানিকে সস্তা রুশ গ্যাস থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়,সেই ঘটনাকে তিনি একেবারেই তার শাসনকালের ফলস্বরূপ মনে করেন না।
মার্কেল মনে করেন, রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা জরুরি ছিল।তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তার সম্পর্কের কিছু স্মৃতি শেয়ার করেছেন।তবে তিনি রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখাকে একটি যৌক্তিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখেন,কারণ তা জার্মানির শক্তির প্রয়োজন মেটাতো।
মার্কেল তার শাসনকালে দেশের শক্তির উৎস, অর্থনীতি, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিকে যে গভীর মনোযোগ দিয়েছেন, তা তার আত্মজীবনীতে সুস্পষ্ট। তিনি ইউরোপের শক্তিশালী দেশ হিসেবে জার্মানির জন্য উন্নত ভবিষ্যতের পথে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফ্যাসিস্ট সরকার যে টাকা লুটপাট করেছে, সে টাকা এখন গুজব ছড়াতে ব্যবহার করছে: নাহিদ
চট্টগ্রামকে হারিয়ে তিনে খুলনা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের ঐতিহাসিক সফর
শাহজাদপুরে ভুয়া এনজিও'র খপ্পরে শতাধিক মানুষ সর্বশান্ত : চরম ক্ষোভ!
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন; সভাপতি-সম্পাদকসহ বিএনপি সমর্থিত ১৫ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা
চিন্ময় প্রভুর মুক্তি চেয়ে ফরহাদ মজহারের স্ট্যাটাস, নেটদুনিয়ায় আলোড়ন
ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর মেয়েকে অপহরণে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাত, মারাত্মক আহত
সিলেটে চলছে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' প্রশিক্ষণ কর্মশালা : ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখবেন তারেক রহমান
রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না: আসিফ মাহমুদ
শিবিরকে নিয়ে জাবিতে লিয়াজোঁ কমিটি : ছাত্রদলের বর্জন
আদানির শ্রীলঙ্কা বন্দর প্রকল্পে ঘুষের অভিযোগে মার্কিন সংস্থার নজরদারি
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌসুলির রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন
সিলেট সীমান্তে ৪৮ বিজিবি'র অভিযানে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাই পণ্য আটক
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক চললো ট্রেন
বিয়ানীবাজার থানার ওসি যে কারণে দুই মাসের মাথায় বদলি!
লাওসে মিথানল বিষক্রিয়ায় অসুস্থ নিউজিল্যান্ডের নাগরিক দেশে ফিরলেন
চিন্ময় দাসের মুক্তিতে ভারতের হস্তক্ষেপ চায় ইসকন
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, পায়রা বন্দরে ০১ নম্বর সতর্ক সংকেত
ইমরান খানের সমর্থকদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, ইসলামাবাদে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি
বরিশালে মহানগর পুলিশের সাবেক এসি ওসিসহ ১২ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জামায়াত কর্মীর মামলা