ঢাকা   মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের ঐতিহাসিক সফর

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম

 

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র মঙ্গলবার(২৬নভেম্বর)এক বৈঠকে মিলিত হন।এই সফর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের প্রথম আমিরাত সফর ১৫ বছরের মধ্যে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়।

 

২০০৮ সালে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া মাকাপাগাল-আররোয়ের আমলে সর্বশেষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করেন।এবার প্রেসিডেন্ট মার্কোস একদিনের সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার উদ্দেশ্যে আসেন।বাণিজ্য, অর্থনীতি, জ্বালানি এবং টেকসই উন্নয়নের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো ছিল এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য।

 

ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত আলফোনসো ভের জানিয়েছেন,মার্কোসের এই সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।তার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি রূপান্তর, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি,অর্থনৈতিক সহযোগিতা।এছাড়া মহাকাশ বিজ্ঞান,কৃষি, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং মানব পাচার প্রতিরোধের মতো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ফিলিপাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ভের বলেন, "এই সম্পর্ক আমাদের সাধারণ স্বার্থ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে দৃঢ় হয়েছে।"সফরকালে প্রেসিডেন্ট মার্কোসের সঙ্গে ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী মারিয়া আন্তোনিয়া ইউলো-লয়োজাগা এবং বিশেষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দূত মা. আনা ক্যাথরিনা ইউ-পিমেন্টেলসহ প্রতিনিধিদল।

 

দুবাইয়ের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা হাশিম গুইনোমলা বলেন, "আমিরাত সবসময় ফিলিপাইনের পাশে থেকেছে,বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়।এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার জন্য এই সফর গুরুত্বপূর্ণ।"প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের এই ঐতিহাসিক সফর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং পারস্পরিক উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে উভয় পক্ষই আশাবাদী। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরার আহ্বান
আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি চায় রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তার আহ্বান
ম্যাককোয়ারি ডিকশনারি ২০২৪ সালের শব্দ হিসেবে বেছে নিল ‘এনশিটিফিকেশন’
আদানির শ্রীলঙ্কা বন্দর প্রকল্পে ঘুষের অভিযোগে মার্কিন সংস্থার নজরদারি
লাওসে মিথানল বিষক্রিয়ায় অসুস্থ নিউজিল্যান্ডের নাগরিক দেশে ফিরলেন
আরও

আরও পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরার আহ্বান

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরার আহ্বান

চট্টগ্রামে ইসকনের সহিংসতা এক আইনজীবী নিহত

চট্টগ্রামে ইসকনের সহিংসতা এক আইনজীবী নিহত

গুরুদাসপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২

গুরুদাসপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ২৫ শহীদ পরিবার ৮ লাখ টাকা করে পেলেন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ২৫ শহীদ পরিবার ৮ লাখ টাকা করে পেলেন

বিজয়ের স্মৃতি সজীম শাইন,

বিজয়ের স্মৃতি সজীম শাইন,

প্রশ্নের জেরে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হলেন ন্যাশনালের শিক্ষার্থী-ডাক্তাররা

প্রশ্নের জেরে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হলেন ন্যাশনালের শিক্ষার্থী-ডাক্তাররা

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে আইসিসি'র প্রধান কৌঁসুলি

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে আইসিসি'র প্রধান কৌঁসুলি

সিলেটজুড়ে আমজনতার অভাবনীয় সমর্থনে রয়েছে বিএনপি : অটুটে দরকার ব্যবসায়ী রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণ

সিলেটজুড়ে আমজনতার অভাবনীয় সমর্থনে রয়েছে বিএনপি : অটুটে দরকার ব্যবসায়ী রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণ

আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি চায় রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তার আহ্বান

আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি চায় রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তার আহ্বান

খুনি হাসিনা আমাকে নয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন: টুকু

খুনি হাসিনা আমাকে নয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন: টুকু

ধর্মীয় কারনে বিয়ে করতে পারছেন না উর্বশী, আড়াই বছরের জন্য নিষিদ্ধ বিয়ে

ধর্মীয় কারনে বিয়ে করতে পারছেন না উর্বশী, আড়াই বছরের জন্য নিষিদ্ধ বিয়ে

শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ইসকনের মিছিল থেকে পুলিশের গাড়িতে হামলা

ইসকনের মিছিল থেকে পুলিশের গাড়িতে হামলা

নকলায় নানা বাড়ির পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

নকলায় নানা বাড়ির পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন সিলেট

এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন সিলেট

চাকরির বাজারে টিকে থাকতে পড়াশোনার পাশাপাশি সফট স্কিলে দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি : খুবি উপাচার্য

চাকরির বাজারে টিকে থাকতে পড়াশোনার পাশাপাশি সফট স্কিলে দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি : খুবি উপাচার্য

‘আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে’ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে’ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় বিজিবি মোতায়েন

রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় বিজিবি মোতায়েন

পঞ্চগড়ে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড

পঞ্চগড়ে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড