চীনের ‘ঝুহাই এয়ারশো ২০২৪’,ভবিষ্যৎ বিমান শক্তির এক ঝলক
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ এএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ এএম
চীন আন্তর্জাতিক বিমান ও মহাকাশ প্রদর্শনী,যা ঝুহাই এয়ারশো নামেও পরিচিত।চলতি বছর নভেম্বর ১২ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণ চীনের ঝুহাই শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই প্রদর্শনীতে ৬ লক্ষেরও বেশি দর্শক অংশগ্রহণ করেন এবং প্রায় ৩৮.৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।এই এয়ারশো ছিল চীনের বিমান এবং মহাকাশ প্রযুক্তির এক বড় মঞ্চ, যেখানে দেশের সামরিক শক্তির নতুন প্রযুক্তির প্রদর্শন করা হয়।
এয়ারশোতে চীনের বিমান বাহিনীর বহুবিধ নতুন পণ্য এবং প্রযুক্তির উন্মোচন হয়েছে, যার মধ্যে ছিল আপডেটেড হারবিন Z-20 হেলিকপ্টার, অত্যাধুনিক J-35A স্টিলথ যুদ্ধবিমান এবং রাশিয়ার Su-57 স্টিলথ বিমান, যা জনসমক্ষে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়।এয়ারশোটি শুধু ব্যবসায়িক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং এটি চীনের বিমান বাহিনীর শক্তি এবং প্রযুক্তির অগ্রগতি প্রদর্শনের জন্য একটি বড় মঞ্চ ছিল।বিশেষজ্ঞদের মতে,এয়ারশোটি চীন যে বিমান ক্ষমতা অর্জন করেছে তার একটি বড় প্রদর্শনী ছিল, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ড্রোন প্রযুক্তিতে।
এয়ারশোর মূল আকর্ষণ ছিল চীনের নতুন প্রযুক্তি।বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের সংমিশ্রণ ভবিষ্যতের যোদ্ধাদের জন্য বিশাল সুবিধা নিয়ে আসবে,যার ফলে বিমানগুলি আরও দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়া সংগ্রহ পারবে এবং আক্রমণ ও রক্ষা কৌশল আরও উন্নত হবে। একে অপরকে সহায়তা করার জন্য “লয়াল উইংম্যান” ড্রোনের ব্যবহার ভবিষ্যতের যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা ফাইটার বিমানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
ঝুহাই এয়ারশোতে প্রদর্শিত অন্য একটি প্রধান উদ্ভাবন ছিল চীনের নতুন ভারী ড্রোন, যা “স্বর্ম ক্যারিয়ার” নামে পরিচিত। এই ড্রোনটি শুধু ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা বহন করার ক্ষমতা রাখে না, বরং আরও ছোট ড্রোনও বহন করতে পারে, যা আরও মারাত্মক আক্রমণ চালাতে সক্ষম।
চীন এর বিমান ক্ষমতার উন্নয়নকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত প্রতিযোগিতার একটি প্রতিফলন হিসেবে দেখছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের বিমান বাহিনীর নতুন এয়ারক্রাফটগুলি প্রায়ই মার্কিন বিমান বাহিনীর সাদৃশ্যপূর্ণ।এর মধ্যে J-35 এবং J-20S যুদ্ধবিমান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা মার্কিন F-35 এর অনুরূপ প্রযুক্তি ধারণ করে।
প্রসঙ্গত,তাইওয়ানের জন্য এই এয়ারশোটি সতর্কবার্তা হিসাবে কাজ করেছে, কারণ চীন তার বিমান বাহিনীর প্রযুক্তি দ্রুত আধুনিকীকরণ করছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এসব উন্নত প্রযুক্তি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে।
তাইওয়ানকে দ্রুততার সাথে পুরনো বিমানগুলি প্রতিস্থাপন এবং আধুনিক সন্ত্রাসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, তাইওয়ানের অগ্রগতি এখনও ধীর এবং উদ্বেগজনক।চীনের বিমান প্রদর্শনী প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির প্রতিফলন, যা আন্তর্জাতিক আকাশ শক্তি ভারসাম্যকে পরিবর্তন করতে পারে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক
পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ
আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ
সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!
গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ
গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা
গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের
বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক
লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল দুই অটোরিকশা যাত্রীর
মানিকগঞ্জে পদ্মায় বড়শিতে ধরা পরল ৯ কেজি ওজনের বোয়াল
রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী ফেল করে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিলেন
মেলানিয়া ট্রাম্প বাজারে আনলেন নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর পৌরসভার বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
সাইফ ইস্যুতে মেজাজ হারালেন অভিনেতা জাকি শ্রফ
হাজীগঞ্জে কুমড়ার বাম্পার ফলন দাম না পেয়ে কৃষকরা হতাশ
ইবিতে 'কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও শৃঙ্খলা বিধানে করণীয়' শীর্ষক কর্মশালা
সারা দেশে কমবে রাতের তাপমাত্রা,জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস