ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে আতঙ্ক বাড়ছে মেক্সিকোয়
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির আতঙ্কে মেক্সিকোতে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের বাসিন্দারা নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মাঝে মেক্সিকোতেও তারা আর নিরাপদ বোধ করছেন না।
মেক্সিকোতে বসবাসরত ভেনেজুয়েলার ৫২ বছর বয়সি অভিবাসী নিদিয়া মন্টেনিগ্রো দিনভর অপেক্ষা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্ত কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সাক্ষাৎকারের বার্তা পাওয়ার। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে চাওয়া নিদিয়ার জন্য এই সাক্ষাৎকারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ২০ জানুয়ারি ডানাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেয়ার আগেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইছেন।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর অভিবাসন বিষয়ক বেশ কিছু নীতিতে পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেগুলো বাস্তবায়িত হলে নিদিয়ার মতো হাজার হাজার অভিবাসী অনিশ্চয়তায় পড়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের অনিয়মিত পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা, অথবা নিজের দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প উপায় থাকবে না।
তবে এমন পরিস্থিতিতে মেক্সিকোয় থাকার চেয়ে নিজ দেশ ভেনেজুয়েলাতে ফেরত যাওয়াকেই বেশি নিরাপদ মনে করেন তিনি। মেক্সিকোতে বসবাসকালীন তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিদিয়া বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যদি আমি সাক্ষাৎকারের সময়-সুযোগ না পাই, তাহলে ফিরে যাবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘সবসময়ই পাচারকারীদের দ্বারা অপহৃত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।’
মেক্সিকোতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেয়া অন্তত এক ডজন অভিবাসী জানিয়েছেন, দারিদ্র্য, কর্মসংস্থানের অভাব, নিরাপত্তাহীনতা ও রাজনৈতিক সংকটের মতো সমস্যা থাকা সত্ত্বেও মেক্সিকোতে থাকার চেয়ে তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পছন্দ করবেন।
নিদিয়া মন্টেনিগ্রো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, দু'মাস আগে গুয়াতেমালা থেকে দক্ষিণ মেক্সিকোতে আসার সময় তাকে ও তার দুই ভাগ্নেসহ, আরো কয়েক ডজন অভিবাসীকে অপহরণ করা হয়েছিল। দু 'দিন পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
সংগঠিত অপরাধচক্রগুলো মেক্সিকো জুড়ে ব্যাপক মানব পাচারের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। মেক্সিকোতে বছরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সহিংসতায় নিহত হন এবং এক লাখেরও বেশি মানুষের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য নিবন্ধিত হন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট
মোবাইল ইন্টারনেটে সুখবর ‘শর্ত শিথিল’, থাকছে ১ ঘণ্টার প্যাকেজও
গভীর রাতে গরিব অসহায় শীতার্ত মাঝে ইউএনও'র কম্বল বিতরন
বরিশালে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে
সেবা বঞ্চিত হলে অভিযোগ করা যাবে ইসির বিরুদ্ধে
এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরও ৩ হাজার শিক্ষক
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নবনিযুক্ত সচিব ছাগলনাইয়ার সন্তান সামছু উদ্দিন
বাংলাদেশে শনাক্ত হলো 'রিওভাইরাস’, রোগটি সম্পর্কে যা জানা যায়
আন্দোলনের মুখে পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়লো ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি
মাসের শেষে আবারো আসছে শৈত্যপ্রবাহ
বর্ষসেরা ফটোগ্রাফার হিসাবে পুরস্কার পেলেন, আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক মুগনিউর রহমান মনি
রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অফিসিয়াল ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
না ফেরার দেশে নির্মাতা রায়হান রাফির বাবা
এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২
ছাগলনাইয়ায় খালে ভাসছিল নারীর অর্ধগলিত লাশ
ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় ৫ দিনে গাজায় নিহত ৭০ শিশু
ঘরে বসে মাত্র ১০ দিনেই মিলবে থাইল্যান্ডের ভিসা