জর্জিয়ায় উত্তাল আন্দোলন , সাবেক ফুটবলার হতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম

জর্জিয়ার রাজনীতিতে অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নমুখী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ বইছে। এমন এক সময়ে বিতর্কিত পার্লামেন্ট একজন প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড়কে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

 

শনিবার(১৬ ডিসেম্বর)বিতর্কিত জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির প্রাক্তন এমপি এবং ম্যানচেস্টার সিটির প্রাক্তন ফুটবলার মিখাইল কাভেলাশভিলিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা।কাভেলাশভিলি একমাত্র প্রার্থী হলেও, বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচন বর্জন করেছে এবং নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। তারা সরকারকে অগণতান্ত্রিক ও রাশিয়াপন্থী বলে সমালোচনা করছে।

 

গত অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচনের পর থেকেই জর্জিয়ার জনগণ সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছে। ২৮ নভেম্বর, সরকার ঘোষণা করে যে তারা ২০২৮ সাল পর্যন্ত ইইউ-এ যোগদানের আলোচনা স্থগিত রাখবে। এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিবাদের মুখে দেশের প্রধান সড়কগুলোতে প্রতিদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা হাতে মিছিল করছে।

 

শনিবারের ভোটে ৩০০ সদস্যের একটি ইলেক্টোরাল কলেজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে, যার অধিকাংশই জর্জিয়ান ড্রিমের সমর্থক। এর আগে, রাজধানী তিবিলিসিতে বিভিন্ন পেশার মানুষ প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন। আইনজীবী থেকে শুরু করে থিয়েটারকর্মীরা পর্যন্ত এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। তারা সংবিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং মানবাধিকারের দাবি জানাচ্ছেন।

 

মিখাইল কাভেলাশভিলি, যিনি পিপলস পাওয়ার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, তাকে পশ্চিমবিরোধী প্রচারণার মুখপাত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বিরোধী দলগুলিকে বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার সমর্থক দল জর্জিয়ান ড্রিম রাশিয়ার প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। এই দলকে বারবার গণতান্ত্রিক অধঃপতনের জন্য সমালোচনা করা হয়েছে।

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে সরকারের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছে। গত দুই সপ্তাহে ৪৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীরাও রয়েছেন। এ ছাড়া, পুলিশের হাতে সহিংসতা এবং অত্যাচারের ঘটনাও আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে।

 

জর্জিয়ার জনগণ ও বিরোধী দলগুলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।তবে সরকারের কঠোর অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে দেশটির ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেবে, তা সময়ই বলবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও
উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন
বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে
অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী
আরও

আরও পড়ুন

রোমাঞ্চকর ড্রয়ে শেষ ইউনাইটেড-লিভারপুল হাইভোল্টেজ লড়াই

রোমাঞ্চকর ড্রয়ে শেষ ইউনাইটেড-লিভারপুল হাইভোল্টেজ লড়াই

মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধার পদ স্থগিত

মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধার পদ স্থগিত

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার নাগরিক

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার নাগরিক

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির মহাসচিব নেওয়াজ

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির মহাসচিব নেওয়াজ

আইনজীবীদের জুরিসপ্রুডেন্সের ওপর বই লেখার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

আইনজীবীদের জুরিসপ্রুডেন্সের ওপর বই লেখার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

রোমানিয়ায় কূটনীতিক মহসিনকে শাস্তির দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম

রোমানিয়ায় কূটনীতিক মহসিনকে শাস্তির দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম

লক্ষ্মীপুরে ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা

লক্ষ্মীপুরে ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা

দক্ষিণ এশিয়ান টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ানশীপে রানার্স-আপ সৈয়দপুর দলকে সংবর্ধনা

দক্ষিণ এশিয়ান টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ানশীপে রানার্স-আপ সৈয়দপুর দলকে সংবর্ধনা

সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত

সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত

ভাড়াটিয়াসহ মালিককে বের করে বসত বাড়ি দখল

ভাড়াটিয়াসহ মালিককে বের করে বসত বাড়ি দখল

যে মামলায় আটক লতিফ বিশ্বাস

যে মামলায় আটক লতিফ বিশ্বাস

নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে হবে

নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে হবে

প্রশাসন সংস্কারে কঠোর হতে হবে

প্রশাসন সংস্কারে কঠোর হতে হবে

অসভ্য নগরীতে পরিণত ঢাকা

অসভ্য নগরীতে পরিণত ঢাকা

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও

সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও

উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন

উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন

বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে

বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে

অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী

অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী