দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন দ্বিতীয়বার অভিশংসনের মুখে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ এএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন।গত ৩ ডিসেম্বর তাঁর সামরিক আইন( martial law) ঘোষণার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়, এবং বিরোধী দলগুলি তাকে অভিযুক্ত ( ইমপিচ) করার জন্য দ্বিতীয়বার পার্লামেন্টে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।

 

এই দ্বিতীয় অভিশংসনের (ইমপিচমেন্টের) জন্য ইয়ুনকে ২০০টি ভোট পেতে হবে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০০ সদস্যের জাতীয় সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন। বর্তমানে বিরোধী দলগুলির ১৯২টি আসন রয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইয়ুনের শাসক দল পিপলস পাওয়ার পার্টির কিছু সদস্য এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে, যা অভিশংসনের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে।বৃহস্পতিবার(১২ ডিসেম্বর) ইয়ুন তাঁর প্রতিরোধ ঘোষণা করে বলেছেন, "তারা আমাকে ইমপিচ বা তদন্ত করুক, আমি দৃঢ় অবস্থান নেব।"

 

যদি অভিশংসন (ইমপিচমেন্ট) প্রস্তাব পাস হয়, তবে এটি সংবিধান অনুযায়ী একটি ধারাবাহিক আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবে। ইয়ুনের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যাবে, তবে তিনি কিছু বিশেষ সুবিধা ধরে রাখবেন। এই সময়ে, প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু এই ভূমিকা পালন করবেন, যদি প্রধানমন্ত্রীও অভিশংসন হন তবে অর্থমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট ( acting president) হিসেবে কাজ করবেন।

 

অভিশংসন প্রস্তাবটি সাংবিধানিক আদালতে যাবে, যেখানে নয়জন বিচারকের মধ্যে অন্তত ছয়জন বিচারককে অভিশংসনের পক্ষে রায় দিতে হবে। যদিও বর্তমানে ছয়জন বিচারক রয়েছেন, তবে ইয়ুনের পক্ষে একটি রায়ও তাকে প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে সাহায্য করতে পারে।

 

ইয়ুন যদি অভিযুক্ত  হন, তবে তিনি প্রেসিডেন্টের সুবিধা হারাবেন, তবে নিরাপত্তা সুরক্ষা অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে। তবে, যদি অভিশংসন বাতিল হয়, ইয়ুন পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্বে ফিরবেন।

 

তবে, ইয়ুন অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত চলমান রয়েছে। তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তা হলে এটি দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম এমন ঘটনা হবে, যেখানে একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করা হবে।

 

এই রাজনৈতিক অস্থিরতা দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর গভীর প্রভাব ফেলবে, বিশেষত যখন ইয়ুন তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করবেন বা ইমপিচমেন্টের বিরুদ্ধে রায় পেতে সফল হবেন। তথ্যসূত্র আল-জাজিরা

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও
উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন
বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে
অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী
আরও

আরও পড়ুন

রোমাঞ্চকর ড্রয়ে শেষ ইউনাইটেড-লিভারপুল হাইভোল্টেজ লড়াই

রোমাঞ্চকর ড্রয়ে শেষ ইউনাইটেড-লিভারপুল হাইভোল্টেজ লড়াই

মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধার পদ স্থগিত

মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধার পদ স্থগিত

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার নাগরিক

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার নাগরিক

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির মহাসচিব নেওয়াজ

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির মহাসচিব নেওয়াজ

আইনজীবীদের জুরিসপ্রুডেন্সের ওপর বই লেখার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

আইনজীবীদের জুরিসপ্রুডেন্সের ওপর বই লেখার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

রোমানিয়ায় কূটনীতিক মহসিনকে শাস্তির দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম

রোমানিয়ায় কূটনীতিক মহসিনকে শাস্তির দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম

লক্ষ্মীপুরে ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা

লক্ষ্মীপুরে ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা

দক্ষিণ এশিয়ান টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ানশীপে রানার্স-আপ সৈয়দপুর দলকে সংবর্ধনা

দক্ষিণ এশিয়ান টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ানশীপে রানার্স-আপ সৈয়দপুর দলকে সংবর্ধনা

সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত

সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত

ভাড়াটিয়াসহ মালিককে বের করে বসত বাড়ি দখল

ভাড়াটিয়াসহ মালিককে বের করে বসত বাড়ি দখল

যে মামলায় আটক লতিফ বিশ্বাস

যে মামলায় আটক লতিফ বিশ্বাস

নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে হবে

নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে হবে

প্রশাসন সংস্কারে কঠোর হতে হবে

প্রশাসন সংস্কারে কঠোর হতে হবে

অসভ্য নগরীতে পরিণত ঢাকা

অসভ্য নগরীতে পরিণত ঢাকা

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও

সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও

উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন

উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন

বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে

বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে

অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী

অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী