শিশু জন্মের প্রতি ভারতীয় আগ্রহ কেন বাড়ছে?
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ এএম
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে পাশ কাটিয়ে ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১.৪৫ বিলিয়ন। এর পরও কেন দেশটি শিশু জন্মের হার বাড়ানোর কথা বলছে, সেটি ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ভারতের দুই দক্ষিণী রাজ্য, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, তাদের কম জনসংখ্যার কারণে বেশি সন্তান জন্ম নেওয়ার দিকে আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশে কম জন্মহার ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তারা প্রণোদনা দেওয়ার কথা ভাবছে। রাজ্যটি তার "দুই সন্তানের নীতি" বাতিল করেছে। তামিলনাড়ু থেকেও একই ধরনের বার্তা উঠে এসেছে। ভারতের জন্মহার গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে—১৯৫০ সালে ৫.৭ জনের জায়গায় বর্তমানে তা ২-এ এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ২৯টি রাজ্যের মধ্যে ১৭টিতে জন্মহার প্রতিস্থাপন স্তরের (২ সন্তান) নিচে চলে গেছে। তবে দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলো আগে থেকেই এই স্তরের দিকে চলে এসেছে।
দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলো এখন ভয় পাচ্ছে যে, তাদের জনসংখ্যার এই কমে (হ্রাস) যাওয়া ভবিষ্যতে রাজ্য ভিত্তিক সংসদীয় আসন ও কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তারা চিন্তিত যে, ভবিষ্যতে হয়তো তাদের সংসদীয় আসন কমবে এবং অর্থনৈতিক সংগ্রাম বাড়বে। ভারতের প্রথম "ডেলিমিটেশন" (নতুন সংসদীয় আসন পুনঃবিন্যাস) ২০২৬ সালে হতে যাচ্ছে, যা আরও জটিলতা সৃষ্টি করবে।
ভারতের বর্তমান সমস্যা শুধু কম জন্মহার নয়, এর সাথে যোগ হয়েছে দ্রুত বয়সের বৃদ্ধি ( ageing)।শ্রীনিবাস গোলি, আন্তর্জাতিক জনসংখ্যা বিজ্ঞানী, বলেছেন, "ভারত দ্রুত বয়স বাড়ছে, যা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় দ্রুত ঘটছে।" একদিকে জনসংখ্যা কমছে, অন্যদিকে বৃদ্ধ জনগণের সংখ্যা বাড়ছে—এটি দেশের অর্থনীতি ও সমাজের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ভারতীয়দের ৪০% দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন।
বিশ্বের অনেক দেশ, যেমন দক্ষিণ কোরিয়া এবং গ্রীস, তাদের কম জন্মহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে জনসংখ্যা বিজ্ঞানীরা মনে করেন, যেসব দেশে জন্মহার কমে গেছে, সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা প্রজনন হার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। এর পরিবর্তে, "স্বাস্থ্যকর এবং সক্রিয় বার্ধক্য" নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে বৃদ্ধদের জন্য কর্মক্ষমতা বাড়ানো যায় এবং দীর্ঘায়িত জীবন যাপন সম্ভব হয়।
ভারতের সামনে একটি সুযোগ রয়েছে, তবে সেটা অপচয় না করে জনসংখ্যা প্রবণতা অনুযায়ী যথাযথ নীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত যদি তার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হয়, তবে এটি একটি উল্লেখযোগ্য "স্বর্ণালী সুযোগ" হতে পারে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন - ডা. মাজহার
৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জয়ন্ত ও মধুমেলা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা
পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আয়নায় তামিম
আমরা বিগত ১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগ পার করেছি- মাওলানা এ টি এম মা’ছুম
টঙ্গীতে নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ
ক্যাম্পাস সমূহ র্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে: প্রফেসর ড. মাছুমা
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নিলো শহীদ নূর আলী কলেজ
ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা
ডনবাসের তিনটি এলাকা মুক্ত করেছে রাশিয়া
মার্চের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে: পরিবহন উপদেষ্টা
খনন ফিল্ডে প্রত্নতাত্ত্বিক তারিখ নির্ধারন সংক্রান্ত মাঠ কর্মশালা
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুরে যুব সমাবেশ
ফ্যাসিস্ট দোসর তাপসকে হঠাৎ হিরো বানানোর চেষ্টা!
আ’লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না সময় বলে দিবে: সিইসি
সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪ নিহত ১
দিনাজপুরের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও সাঁওতাল লোকসংস্কৃতিবিদ গণেশ সরেন আর নেই
ফ্যাসিস্টরা জয়ী হলে ২ লাখ মানুষকে জেলে যেতো: প্রেস সচিব