‘পুতিনের নির্দেশে দেশ ছেড়েছি’, মুখ খুললেন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যূত স্বৈরাচার আসাদ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জনতার কাছে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল সিরিয়ার দেশত্যাগী প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে। প্রাণ বাঁচাতে সপরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষমতা হারানোর আটদিন বাদে মুখ খুললেন সিরিয়ার দেশত্যাগী প্রেসিডেন্ট। আর মুখ খুলেই জানালেন, ‘দেশ ছাড়ার কথা কখনই চিন্তা করেননি বা বিকল্প হিসাবে ভাবেননি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরম মিত্র রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরামর্শেই দেশ ছেড়েছেন।’
বাবা হাফিজ আল আসাদের মৃত্যুর পরে উত্তরসূরি হিসাবে ২০০0 সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হন বাশার আল আসাদ। দেশের শাসক হিসাবে প্রথমে সংস্কারক হিসাবেই আবির্ভুত হয়েছিলেন বাশার। পরে অবশ্য তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের অভিযোগ ওঠে। ২০১১ সালে ‘আরব বসন্তের’ সময় বাশার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। তবে রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন তিনি। তবে ক্ষমতায় টিকে থাকলেও তুরস্ক, আমেরিকা ও ইসরাইলের প্রধান শত্রু হিসাবে চিহ্নিত হয়ে উঠেছিলেন বাশার। গত কয়েক বছর ধরে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জর্জরিত হয়ে উঠেছিল সিরিয়া। কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ভিটেমাটি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে উঠেছিলেন কয়েক লাখ পরিবার।
বাশারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে ঝটিকা অভিযান শুরু করে বিদ্রোহী জঙ্গিরা। আলেপ্পো, হোমসের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নেয়ার পরে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে দেশটির রাজধানী দামেস্কেও ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা। তবে বিদ্রোহীরা রাজধানীর দখল নেয়ার আগেই বিশেষ বিমানে দেশ ছেড়ে পালান প্রেসিডেন্ট আসাদ। আর তার পর থেকেই জল্পনা চলে, কোথায় গেলেন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট? মাঝে রটে যায়, আসাদকে বহনকারী বিমানকে গুলি করে নামিয়েছে বিদ্রোহীরা। ফলে সিরিয়ার এক সময়ের দাপুটে স্বৈরশাসক বেঁচে রয়েছেন কিনা, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। অবশেষে গভীর রাতে জানা যায়, সুস্থই রয়েছেন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট এবং পরম বন্ধু দেশ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় পৌঁছেছেন। রুশ সরকারের কাছে সপরিবারে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন তিনি। মানবিক কারণে বাশারকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া।
ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার আট দিন বাদে এক বিবৃতিতে আসাদ বলেন, ‘সিরিয়াকে ‘জঙ্গি’মুক্ত রাখার জন্য বরাবর চেষ্টা চালিয়েছি। গত ৭ ডিসেম্বর ‘জঙ্গি’রা রাজধানী দামেস্কে-তে পৌঁছনোর পরেও প্রেসিডেন্ট পদ কিংবা দেশ ছাড়ার চিন্তা এক মুহুর্তের জন্য মাথায় আসেনি। কিন্তু মস্কোর পক্ষ থেকে আমাকে দেশ ছাড়ার অনুরোধ করা হয়। পরম বন্ধু দেশের অনুরোধ ফেলতে পারিনি।’ দেশান্তরি হলেও সিরিয়ার সাধারণ মানুষের জন্য এখনও তিনি চিন্তিত বলেও জানিয়েছেন আসাদ। সূত্র: ইউকে স্ট্যান্ডার্ড।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
তামিমকে মুশফিক-মাহমুদ উল্লাহদের বিদায়ী বার্তা
নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবীতে আশুলিয়ায় সমাবেশ
ইবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের নবনিযুক্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ
ইজতেমার সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে কুষ্টিয়ায় হেফাজতের বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে শেখ সাদী সভাপতি, আবুল হোসেন মহাসচিব নির্বাচিত
সভাপতি মিজানুর ও সা. সম্পাদক আ. হাই নির্বাচিত
মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য- মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী
চট্টগ্রামে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
নির্দিষ্ট সময়েও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার
কেরানীগঞ্জে বন্ধুকে হত্যার ঘটনায় ঘাতক বন্ধু আল আমিন গ্রেফতার
সস্ত্রীক লন্ডনে গেলেন মির্জা আব্বাস
চট্টগ্রাম ইপিজেডে শ্রমিক সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: রিজভী
পটুয়াখালীতে ইমামের উপর সাদপন্থিদের হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
দেশ গড়ার কাজে অন্তর্বর্তী সরকার অভিজ্ঞ নয় : মান্না
ভৈরবে ট্রেনের টিকেটসহ দুই কালোবাজারিকে আটক
গণিতের জগতে মেয়েদের জায়গা তৈরিতে ড. অ্যাঞ্জেলার মিশন
জাতীয় ঐক্যে অনেকেই ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল
মাভাবিপ্রবিতে লাইফ সায়েন্স বিষয়ক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
নিউজিল্যান্ডকে গুড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো শ্রীলঙ্কা