রাশিয়ায় উজবেক যুবক গ্রেপ্তার , জেনারেলের হত্যা ঘিরে রহস্য

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম

মস্কোর একটি আবাসিক(অ্যাপার্টমেন্ট)ভবনের সামনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়ার নিউক্লিয়ার এবং বায়োলজিক্যাল ডিফেন্স ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট ইগর কিরিলভ এবং তার সহকারী ইলিয়া পোলিকারপভ নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তীব্র আলোড়ন চলছে এবং এক উজবেক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৭ডিসেম্বর) ভোরে মস্কোর একটি আবাসিক ভবনের সামনে ঘটে এই মর্মান্তিক বিস্ফোরণ। রাশিয়ার পারমাণবিক, জীবাণু ও রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলভের ওপর এই হামলা হয়। রাশিয়ার ফেডারেল নিরাপত্তা সংস্থা (এফএসবি) জানিয়েছে, বিস্ফোরকটি একটি ইলেকট্রিক স্কুটারের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল এবং দূর থেকে এটি বিস্ফোরিত করা হয়।

 

রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, ২৯ বছর বয়সী উজবেক যুবক, যার নাম প্রকাশ করা হয়নি, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। তাকে হত্যার বিনিময়ে ১ লাখ ডলার এবং ইউরোপে বসবাসের অনুমতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

 

ইউক্রেনের একটি সূত্র জানিয়েছে, কিরিলভ যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার কারণে তিনি “ন্যায্য লক্ষ্যবস্তু” ছিলেন। হামলার একদিন আগে ইউক্রেন তাকে অনুপস্থিত অবস্থায় অভিযুক্ত করে, যেখানে তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়।

 

এফএসবি আরও জানায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি মস্কোতে এসে একটি হাতে তৈরি বিস্ফোরক ডিভাইস পায় এবং এটি স্কুটারের মধ্যে স্থাপন করে। তিনি একটি গাড়ি ভাড়া করে কিরিলভের বাসস্থান পর্যবেক্ষণ করেন এবং একটি ক্যামেরা দিয়ে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে ইউক্রেনের দনিপ্রো শহরে তার পরিচালকদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। কিরিলভ যখন বাড়ি থেকে বের হন, তখন তিনি বিস্ফোরকটি বিস্ফোরিত করেন।

 

৫৪ বছর বয়সী কিরিলভ রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন। ইউক্রেন জানিয়েছে, তার নেতৃত্বে রাশিয়া ৪,৮০০ বারেরও বেশি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। তবে মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, তারা ২০১৭ সালেই তাদের রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ধ্বংস করেছে।

 

বোমা বিস্ফোরণের পর স্থানীয় ছবিতে ভবনের প্রবেশপথ ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং দেয়ালে পোড়ার দাগ দেখা যায়। দুটি মরদেহও ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায়।এই হত্যাকাণ্ড কেবল রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকেই নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নতুনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটি রাশিয়ার অভ্যন্তরে আরও গুরুতর হামলার আশঙ্কা তৈরি করেছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান ‘অত্যন্ত সফল’ : বিদায় অনুষ্ঠানে বাইডেন
চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জেডি ভ্যান্সের বৈঠক
ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে টিকটক সেবা আবার চালু
আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
যেভাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
আরও

আরও পড়ুন

ফুলপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ফুলপুরে তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান ‘অত্যন্ত সফল’ : বিদায় অনুষ্ঠানে বাইডেন

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান ‘অত্যন্ত সফল’ : বিদায় অনুষ্ঠানে বাইডেন

শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন যারা

শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন যারা

চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জেডি ভ্যান্সের বৈঠক

চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জেডি ভ্যান্সের বৈঠক

চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেঃ তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেঃ তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

তনির বিয়ে নিয়ে যা বললেন নেটিজেনরা

তনির বিয়ে নিয়ে যা বললেন নেটিজেনরা

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে টিকটক সেবা আবার চালু

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে টিকটক সেবা আবার চালু

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও শহীদ সবুজ হত্যা মামলায় নকলায় দুই সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও শহীদ সবুজ হত্যা মামলায় নকলায় দুই সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া জরুরি: আমান

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া জরুরি: আমান

আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আজ শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিলুপ্তির পথে দেশের সিনেমা হল

বিলুপ্তির পথে দেশের সিনেমা হল

যেভাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

যেভাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

গাজায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং ,সতর্কবার্তা  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

গাজায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং ,সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

পঞ্চগড় হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগী

পঞ্চগড় হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগী

মেডিকেলের ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

মেডিকেলের ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

প্রথম দিনেই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প

প্রথম দিনেই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প

ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা রিপোর্ট প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা রিপোর্ট প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

প্যারিসে জুলাই জার্নাল অব ডিক্টেটরশিপ প্রদর্শনী, যা সবার আয়োজন করা উচিত

প্যারিসে জুলাই জার্নাল অব ডিক্টেটরশিপ প্রদর্শনী, যা সবার আয়োজন করা উচিত

বিরতির প্রথম দিন :  গাজায় ঢুকলো সাড়ে ৫ শতাধিক ত্রাণবাহী  ট্রাক

বিরতির প্রথম দিন : গাজায় ঢুকলো সাড়ে ৫ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক

ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু

ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু