মার্কিন মৃত্যুদণ্ড , বাইডেনের ক্ষমা ও ট্রাম্পের কঠোর পরিকল্পনা
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ এএম | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ এএম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন অপরাধীর শাস্তি কমিয়ে দিলেও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মৃত্যুদণ্ডের পরিসর বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এই দুটি ভিন্ন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সামাজিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফেডারেল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪০ জনের মধ্যে ৩৭ জনের শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করেন। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল মানবাধিকারের প্রতি তার প্রশাসনের অবস্থানকে শক্তিশালী করা। তবে, তার এই সিদ্ধান্ত রিপাবলিকানদের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়। অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্র প্রসারিত করে কঠোর আইন প্রয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
বাইডেনের এই সিদ্ধান্তে তিনজন অপরাধী মৃত্যুদণ্ডের তালিকায় রয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন বস্টন ম্যারাথন বোম্বার জোখার সার্নায়েভ, পিটসবার্গের ট্রি অফ লাইফ সিনাগগের হত্যাকারী রবার্ট বোয়ার্স এবং চার্লসটনের এমই চার্চের বন্দুকধারী ডিলান রুফ। যদিও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি বাইডেনের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে, রিপাবলিকানরা এটিকে অপরাধীদের প্রতি নরম মনোভাব বলে অভিহিত করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পুনরায় নির্বাচনী প্রচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি শিশু ধর্ষণ, মাদক পাচার এবং মানব পাচারের মতো অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এসব পরিকল্পনা আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে, কারণ সুপ্রিম কোর্ট পূর্বে রায় দিয়েছে যে হত্যাকাণ্ড ছাড়া অন্য অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ অগ্রহণযোগ্য।
ট্রাম্পের আগের মেয়াদে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছিল। তার প্রশাসনের শেষ ছয় মাসে ১৩টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল, যা একটি শতাব্দীর পুরোনো প্রথা ভেঙে দেয়। যদিও মৃত্যুদণ্ডের প্রসারণের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে, ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান রাজ্য পর্যায়ে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বাইডেন এবং ট্রাম্পের ভিন্ন অবস্থান আমেরিকার বিচারব্যবস্থার নৈতিক ও আইনি দ্বন্দ্বকে সামনে এনেছে। মানবাধিকারের গুরুত্ব এবং কঠোর আইনের মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই বিতর্ক মার্কিন বিচারব্যবস্থার ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ১৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন
বিপিএলে অনিশ্চিত মাশরাফি
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই বিপিএল তারকা: আফ্রিদি
মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
হেলিকপ্টার বিলাস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও উপদেষ্টা আসিফের কৈফিয়ত
উত্তরার তুরাগে নোহা গাড়ির ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
ট্রাম্প-মাস্কের বন্ধুত্বে চিড়! অভিবাসন নীতি নিয়ে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে
নুরানী বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ
ভারতে বড়দিন উদযাপন করায় ২ নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে যৌন নিপীড়ন-মারধর
মুখ ফুটে মনের কথা বলতে পারছেন না মধুমিতা
জুতার জন্য চাকরি হারিয়ে পেলেন ৪৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ!
সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য নিরসন ও সংস্কারের প্রয়োজন
মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে একজন নিহত
কেরানীগঞ্জে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস চালক গ্রেফতার
হাসিনার সুবিধাভোগী আমলরা যেকোনো সময় প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করতে পারে - আবু হানিফ
ইসলামপন্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে: পীর সাহেব চরমোনাই
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা:মামলা হয়নি: নিহতদের লাশ দাফন
ভারত শেখ হাসিনার সকল গুম খুনের সাথে জড়িত- রুহুল কবীর রিজভী
ভেবেছিলাম ২ ওভারের মধ্যেই ওকে ৬-৭বার আউট করব: কনস্টাসকে নিয়ে বুমরাহ
বিএনপি নেত্রী কারাবরণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী পালিয়েছেন -ড. ফরিদ