গাজায় বড়দিনে শান্তির জন্য প্রার্থনা, নিহতের সংখ্যা ছাড়লো ৪৫ হাজার

অনলাইন ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ এএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ এএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ও পশ্চিম তীরের খ্রিস্টান সম্প্রদায় এই বড় দিনে(ক্রিসমাসে) যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে সৃষ্টিকর্তার (ঈশ্বরের) কাছে শান্তি প্রার্থনা করেছেন। যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানিতে শোকাহত মানুষগুলোর জন্য প্রার্থনা তাঁদের হৃদয়ে গভীর দাগ কেটেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে। এর ফলে গাজার সাধারণ মানুষ ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের সম্মুখীন হন। ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় গাজা সিটিতে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরে ২ জন নিহত এবং জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে নিহত ৯ জন। এই পরিস্থিতিতে গাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায় তাঁদের ধর্মীয় উৎসবের সময় শান্তি এবং ধ্বংসযজ্ঞের অবসানের জন্য প্রার্থনা করেছেন।

গাজায় এবারের বড়দিন(ক্রিসমাস) এক শোকাবহ পরিবেশে পালিত হয়েছে। যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান বেথেলহেমেও একই চিত্র। সেখানে মানুষ ইসরায়েলের "গণহত্যা"র শিকার হওয়া মানুষদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।

এদিকে, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি মনিটরিং কমিটিকে অনুরোধ করেছেন যাতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তিনি দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৫,৩৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,০৭,৭৬৪ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দী হন।

গাজা, পশ্চিম তীর এবং লেবাননের মানুষদের জন্য এই ক্রিসমাস কেবল প্রার্থনার দিন। যুদ্ধ এবং ধ্বংসের মাঝেও তাঁরা আশায় বুক বাঁধেন—একদিন এই ভয়াবহ সংঘাত শেষ হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

বিভাগ : আন্তর্জাতিক