দশ দিনের চেষ্টায় বন্দি বাঘিনী জিনাত
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ এএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
অবশেষে বন্দি হলো বাঘিনী জিনাত। বাঁকুড়ায় ঘুমপাড়ানি গুলিতে বাঘিনীকে কাবু করলেন বনদপ্তরের কর্মীরা।
গত ২০ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের চিঁয়াবান্ধির জঙ্গল থেকে বাঘিনী জিনাত পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে ঢুকে যায়। তাকে প্রথম দেখা যায় বেলপাহাড়িতে। এরপর জিনাত সমানে জায়গা পরিবর্তন করতে থাকে। ২২ তারিখ সে ঢুকে পড়ে পুরুলিয়ার রাইকার জঙ্গলে। তারপর সেখান থেকে পাইসাগোড়া হয়ে সে চলে যায় ঝন্টিপাহাড়ির জঙ্গলে।
গত ২৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়া ছেড়ে জিনাত ঢোকে বাঁকুড়ায় গোসাইডি জঙ্গলে। সেখানেই রোববার জিনাত যেখানে ছিল, তার চারদিকে জাল দিয়ে ঘিরে বনকর্মীদের তিনটে দল সেখানে যায়। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে তাকে ঘুম পাড়ানো হয়। খাঁচায় ভরে তাকে নিয়ে আসা হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায় পশু চিকিৎসালয়ে।
মুখ্য বনপাল (পশ্চিম) সিঙ্গরম কুন্দলাইভেল জানিয়েছেন, জিনত এখন ভালো আছে। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে তাকে ধরা হয়েছে। এখন সে আলিপুর চিড়িয়াখানায় পর্যবেক্ষণে থাকবে। তারপর সরকার যেখানে বলবে, সেখানে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, এটা বনকর্মীদের টিমওয়ার্ক এবং নিষ্ঠার একটা উদাহরণ। সকলে মিলে এই বাঘটিকে রক্ষা করেছেন। পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বও শক্তিশালী হয়েছে।
কেন এতদিন লাগলো?
সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার পর বনকর্মীরা সমানে জিনাতকে ধরার চেষ্টা করেছেন। তারা ফাঁদ পেতেছেন। টোপ দিয়ে জিনাতকে ধরার চেষ্টা করেছেন। জঙ্গলে জাল দিয়ে ঘেরার চেষ্টা করে ঘুমপাড়ানি গুলি মেরেছেন। খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে, পটকা ফাটিয়েও তাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা হয়। কিন্তু জিনাত সেইসব ফাঁদে পা দেয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের বনকর্মীদের নাজেহাল করে দিয়ে সে এক জেলা থেকে অন্য জেলায়, এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়েছে।
বনকর্মীরা বলেছেন, বড় জায়গায় ঘুরছিল বলে জিনাতকে তারা ধরতে পারছিলেন না। কিন্তু গোসাইডিতে তাকে এক একর জায়গায় মধ্যে ঘিরে ফেলা সম্ভব হয়। জিনাতও ক্রমাগত পালাতে পালাতে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। ঘুমপাড়ানি গুলি তার পিছনের দিকে লাগে। জিনাত খুব জোরে ৪০ মিটার দৌড় দেয়। তারপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং গভীর ঘুমে চলে যায়। এর জন্য সুন্দরবনের ঘুমপাড়ানি গুলি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা হয়েছিল।
জাল লাগিয়ে, আগুন জ্বালিয়ে জিনাতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। জাল লাগিয়ে, আগুন জ্বালিয়ে জিনাতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন বনকর্মীরা।
পশুচিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করেন। এরপর স্ট্রেচারে করে তাকে খাঁচায় ভরে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে বলেছেন, সুন্দরবনেও এভাবেই বাঘকে হয় খাঁচায় বন্দি করা হয় বা ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, পুলিশ, প্রশাসন, বনকর্মীরা সমন্বর করে কাজ করছিলেন। তারা নিয়মের মধ্যে ছিলেন। কারো প্রাণহানি হয়নি। বাঘও ঠিক আছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জেজু এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহীকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চাকরি ফেরত চান দুদকের আলোচিত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন
বেনাপোলে বিজিবির অভিযানে ১৩ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
১০ দিনের সফরে বাংলাদেশে মসজিদুল আকসার ইমাম
ইলন মাস্কের ডানপন্থী নেতাদের সমর্থন নিয়ে যুক্তরাজ্যে বিতর্ক
থেমে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ২, আহত ৫
সোমবার লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
৭ বিয়ে নিয়ে যা বললেন সোহেল তাজ
তিউনিসিয়ায় দুই নৌকাডুবিতে ২৭ অভিবাসীর মৃত্যু
লাস ভেগাসে সাইবারট্রাক বিস্ফোরণ: বিশেষ বাহিনীর সেনার আত্মহত্যা
৮ ডিগ্রিতে নামলো তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা, বাড়ছে জনদুর্ভোগ
আরিচা-কাজিরহাট ফেরি ৬ ঘণ্টা পর আবার চলাচল শুরু
আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজি, বিএনপি নেতা বহিষ্কার
দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেপ্তার অভিযানের প্রস্তুতি, বিক্ষোভে উত্তাল দেশ
ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
গাজায় চিকিৎসা সংকট সমাধানে ডব্লিউএইচও প্রধানের আহ্বান
ঢাবি শিবিরের নতুন সভাপতি ফরহাদ, সেক্রেটারি মহিউদ্দিন
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত আরও ৭১ ফিলিস্তিনি
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে দাবি আদায়ে তুমুল যুদ্ধ: অবশেষে সংস্কারের আশ্বাস দিলেন এডিএম
সীতাকুণ্ডে হাত-পায়ের রগ কেটে শ্রমিক দল নেতাকে হত্যা