ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত আরও ৭১ ফিলিস্তিনি
০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩২ এএম | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩২ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে এক ভয়াবহ দুর্দশা।গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েল গাজায় অন্তত ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ৭১ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।এতে করে উপত্যকাটতে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জন।
কেন্দ্রীয় গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে রাতের বেলা একটি আবাসিক বাড়িতে চালানো হামলায় পাঁচজন নিহত হন। ইসরায়েল দাবি করেছে যে তারা হামাসের কার্যক্রম দমন করতেই এসব অভিযান চালাচ্ছে।গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল গত ২৪ ঘণ্টায় “ভয়ঙ্কর অপরাধ” করেছে।
শিশু, নারী এবং বয়স্কসহ বহু মানুষ এই আক্রমণের শিকার হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থা আল-হক জানিয়েছে, ইসরায়েলের জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার আদেশ এবং তথাকথিত “নিরাপদ অঞ্চলে” আক্রমণ মূলত সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
জাতিসংঘ গাজার হাসপাতালগুলির উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে অবশ্যই সামরিক হামলার বাইরে রাখা উচিত। এই যুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫,৫৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,০৮,৪৩৮ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের নেতৃত্বে পরিচালিত আক্রমণে ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি বন্দি হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
গাজায় চলমান সংঘর্ষে সাধারণ মানুষের মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতি থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষায় একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানই একমাত্র উপায়। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সিনিয়র সহকারী পদোন্নতি পদে ১৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি
সকালে ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল
ইয়েমেনের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ মার্কিন প্রযুক্তি
ভারী তুষারপাতে কাঁপছে ব্রিটেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতায় জনজীবন বিপর্যস্ত
সাভারের চাঁদার দাবীতে ব্যবসায়ীতে তুলে নিয়ে গুলির ঘটনায় সন্ত্রাসী মোশা গ্রেপ্তার
১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন : সিইসি
ভারতকে গুড়িয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
টেকনাফ বিজিবির অভিযানে ২ লক্ষ ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ পাচারকারী আটক
নির্বাচনে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিসের পরবর্তী পদক্ষেপ কী ?
লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ৭ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
আরিচা-কাজিরহাট ১০ ঘন্টা এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সাড়ে ১০ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার
ভারতে বিচারকদের ‘অবিচার’ শেখাতে পাঠাচ্ছে সরকার! ক্ষোভে তোলপাড়
খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাতে সাক্ষাৎ করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা
শেরপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর মই দৌঁড়ের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
সংসার ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় তাহসান-মিথিলা!
তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল
জর্জিয়ায় ইইউ সমর্থক বিক্ষোভে গ্রেফতারকৃত ২৫ বিদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত
সৈয়দপুরে সমলয় পদ্ধতিতে চারহাজার ট্রে-তে চারা রোপণ
বিচারকদের ভারতে প্রশিক্ষণ: মাথানোয়ানোর সকল শিক্ষা কর্মসূচি বাতিল চান পিনাকী