বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর উন্মোচিত হলো গোপন সুড়ঙ্গপথ
০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৪ পিএম | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের কাছের মাউন্ট কাসিউনের ঢালে আবিষ্কৃত হয়েছে এক জটিল সুড়ঙ্গপথের নেটওয়ার্ক। এই সুড়ঙ্গপথ সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ পর্যন্ত বিস্তৃত।গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে তারপর এই গোপন সুড়ঙ্গপথ উন্মোচিত হলো।
শনিবার ( ৪ জানুয়ারি) এএফপির একজন প্রতিবেদক দামাস্কাসের পাশে অবস্থিত পরিত্যক্ত রিপাবলিকান গার্ড ঘাঁটিতে এই সুড়ঙ্গপথ পরিদর্শন করেন। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের হাতে দামাস্কাস মুক্ত হওয়ার পর আসাদ মস্কো পালিয়ে যান। হায়াত তাহরির আল শামের সামরিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু সালিম জানান, এই বিশাল ঘাঁটিতে প্রবেশ করার পর তারা একটি বিস্তৃত সুড়ঙ্গপথ আবিষ্কার করেন, যা পাশের পাহাড়ে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সঙ্গে যুক্ত।
আসাদের শাসনকালে মাউন্ট কাসিউন সাধারণ মানুষের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। এই পাহাড়ের অবস্থান ছিল স্নাইপারদের জন্য আদর্শ, যেখান থেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন পর্যবেক্ষণ করা যেত। এখান থেকেই আর্টিলারি ইউনিটগুলো বছরের পর বছর বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাত।
এই সামরিক ঘাঁটিতে দুইটি বিশাল বাংকার রয়েছে, যেখানে সৈন্যদের থাকার জন্য ব্যবস্থা ছিল। বাংকারগুলোতে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ, বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা এবং অস্ত্র মজুত ছিল। পাথরের ভেতর থেকে খোঁড়া কিছু সহজতর সুড়ঙ্গপথ গোলাবারুদ রাখার জন্য ব্যবহৃত হত।
তবে এত জটিল ব্যবস্থার পরও সিরিয়ার সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের অগ্রগতির সামনে টিকতে পারেনি। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে দামাস্কাসে বিদ্রোহীদের প্রবেশ ঘটেছিল। ঘাঁটির মাটিতে আসাদের ভাই বাসেল আল-আসাদের একটি ভাস্কর্য পাওয়া যায়, যা বিদ্রোহীরা ভেঙে ফেলেছে। বাসেল ১৯৯৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২০০০ সালে মারা যাওয়ার পর বাশার এই স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা উত্তরাধিকার সূত্রে গ্রহণ করেন।
বর্তমানে বিদ্রোহীরা ঘাঁটিতে আসাদ পরিবারের ছবি লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়াও, ভারী অস্ত্র এবং ট্যাঙ্ক এখনও সেখানকার পাথরের তৈরি শেডের নিচে রয়েছে। মাটিতে বিস্ফোরক ভর্তি বিশাল ব্যারেল সারি সারি সাজানো, যা আসাদের বাহিনী উত্তর সিরিয়ায় বেসামরিকদের উপর হামলার জন্য ব্যবহার করত। জাতিসংঘ এই অস্ত্র ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এই সুড়ঙ্গপথ এবং সামরিক ঘাঁটি আসাদের শাসনকালের গোপন শক্তি এবং তার পতনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এটি বিদ্রোহীদের সফলতার আরেকটি চিহ্ন, যা সিরিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ, নয় বছরের অধ্যায়ের সমাপ্তি
তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নেপালে অনুভূত কম্পন
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহত আরও প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি
সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে এলেন পর্তুগিজ তরুণী
বোরহানউদ্দিনে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা আহত
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে বৈষম্য: ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ই সমাধান
ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ
মিনেরোকে উড়িয়ে কোপা দেল রের শেষ ষোলোয় রিয়াল
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া
রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচার ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হয়েছে : সেলিম উদ্দিন
ভারতে ঢুকে পড়েছে এইচএমপিভি
আন্তর্জাতিক আইকিউ টেস্টে দ্বিতীয় ইরান
গণঅধিকার পরিষদের ফারুকের ওপর হামলা : দুই আসামির জামিন
লেনদেন ও সূচকের উত্থান পুঁজিবাজারে চাঙাভাব
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ
পাবনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী কাঙ্গাল বাবু গ্রেপ্তার
১৫ হাজার পিচ ইয়াবার মামলায় প্রবাসীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে : মাহমুদুর রহমান
বৃদ্ধাশ্রমের বাবা মায়ের পাশে জেলা প্রশাসন সব সময় আছে এবং থাকবে
তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিন প্রশ্নবিদ্ধ এনামুল