গাজায় যুদ্ধবিরতির পর নিহতদের অবশিষ্টাংশ খুঁজছে পরিবারগুলো
২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশী সময় ধরে চলা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে।যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরেই গাজার সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয়জনদের অবশিষ্টাংশ খুঁজছেন। পরিবারের কেউ নিখোঁজ থাকলে তাদের খুঁজে পাওয়ার শেষ চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা মৃতদেহের অংশবিশেষ এবং চিহ্নহীন অবস্থা তাদের বেদনাকে আরও গভীর ও তীব্র করছে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের মর্গে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে। প্রিয়জনদের সন্ধানে আসা পরিবারগুলো প্রিয়জনের লাশ শনাক্ত করার জন্য কাপড় বা ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের মতো ছোটখাটো চিহ্ন খুঁজছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার ফলে গত ১৫ মাসে গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া প্রিয়জনের দেহাংশ বা চিহ্ন খুঁজে পাওয়ার সুযোগও তাদের ছিল না। রাফাহ এবং অন্যান্য এলাকা থেকে উদ্ধার করা অবশিষ্টাংশ খান ইউনিসের নাসের এবং ইউরোপিয়ান হাসপাতালে আনা হয়।
পরিবারগুলো মর্গে ভিড় করে তাদের প্রিয়জনদের শনাক্ত করতে। লাশ শনাক্তের জন্য ব্যবহার করা হয় কাপড়ের টুকরো, জুতা, আংটি বা অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র। "পায়ের হাড়," "খুলি," বা "পাঁজরের হাড়" লেখা লেবেল দেখে তারা শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
গাজায় ডিএনএ পরীক্ষার সরঞ্জামের অনুপস্থিতি এবং যুদ্ধের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা লাশ শনাক্ত করার জন্য পরিস্থিতিগত প্রমাণের ওপর নির্ভর করেন। তবে, উদ্ধার হওয়া প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দেহাংশ এখনও অশনাক্ত।
গাজার মানুষ আজ তাদের প্রিয়জনদের শেষ স্মৃতিটুকু ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। এক টুকরো হাড় বা একটি জুতা তাদের কাছে পুরো একটি জীবনের স্মৃতি। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার অভাব এবং সীমিত ফরেনসিক সুবিধার কারণে অনেক পরিবার চূড়ান্ত উত্তর পাওয়ার আশায় থেকেও তা পান না। আন্তর্জাতিক সহায়তার অভাবে এই সংকট আরও দীর্ঘতর হচ্ছে। যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ শুধুমাত্র জীবনহানি নয়, অগণিত পরিবারকে চিরদিনের জন্য বেদনায় রেখে যাচ্ছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নওগাঁয় সীমানা প্রাচীরের দ্বন্দে প্রাচীর ভাংচুর ও মারপিট
পুকুর খনন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত -৭ বাড়ীঘর, মটরসাইকেল ভাংচুর, লুটপাট
খুলনার উন্নয়নে স্ট্র্যাকচার প্ল্যান তৈরি ও আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ে গুরুত্বারোপ
‘এপোস্টিল’ পদ্ধতিতে সার্টিফিকেট সত্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় এবং ভোগান্তি কমবে
সদর থানার ওসিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ না করলে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাসিনার গণহত্যা মামলার দ্রুত তদন্ত চলছে
ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত পূর্বদিকের সহকারি সম্পাদক রেদোয়ান
বেক্সিমকোর শ্রমিকদের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ
শীতের চাদরে ঢাকা সুন্দরগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত
কুয়েট পরিদর্শন করলেন বিআইটি, খুলনার প্রথম ডাইরেক্টর প্রফেসর এম এ হান্নান
তানজিদ ঝড়ে উড়ে গেল চট্টগ্রাম
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি সাংবাদিকদের
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রিজভীর
ফ্যাসিবাদ আর যেন না আসে সে শপথ ও অঙ্গিকার নিয়ে মাঠে নেমেছি : এ্যানি
শ্যামনগরে পাইপগান,ককটেল ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ আটক দুই
নির্বাচন নিয়ে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে পিরোজপুরে সাইকেল র্যালি
আসিফ নজরুলের আশ্বাসে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের আন্দোলন স্থগিত
চাঁদপুর মেঘনায় অবৈধ বালুবহনকারী দুটি বাল্কডেসহ আটক ৮