গ্রিনল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের হওয়া উচিত: ট্রাম্প
১৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৬ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন। তার মতে, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় থাকা উচিত এই দ্বীপ। ট্রাম্পের এই মন্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং গ্রিনল্যান্ডসহ ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি জানেন, মার্ক, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের দখল আমাদের প্রয়োজন। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নয়, পুরো বিশ্বের নিরাপত্তার ব্যাপার।’ তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চীন ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এর আগেও ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন যে, গ্রিনল্যান্ডের উপকূলে চীন ও রাশিয়ার উপস্থিতি বাড়ছে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। বৈঠকে ন্যাটো মহাসচিবকে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা একসময় আমাদের হাতে আসবেই। আমরা শিগগিরই এ বিষয়ে কথা বলব।’ তবে মার্ক রুট এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গ্রিনল্যান্ডের নবনির্বাচিত ডেমোক্রাটিট পার্টির নেতা জেনস-ফ্রেডেরিক নিলসেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এটি আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি সৃষ্টি করছে।’ গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেড়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘এখনই তার থামা উচিত। গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়।’
উল্লেখ্য, গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার, তবে এর জনসংখ্যা মাত্র ৫৬ হাজার ৫৮৩ জন, যার প্রায় ৯০ শতাংশই ইনুইট জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। দ্বীপটি উত্তর আমেরিকা অঞ্চলে অবস্থিত হলেও এটি ডেনমার্কের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং এখানকার বাসিন্দারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক।
গ্রিনল্যান্ডের প্রতি ট্রাম্পের আকাঙ্ক্ষা নতুন নয়। ২০১৯ সালে প্রথম মেয়াদে থাকাকালীনও তিনি দ্বীপটি কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই সময়েও গ্রিনল্যান্ডের নেতৃত্ব তার প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছিল। ২০২৪ সালের নভেম্বরেও তিনি ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে একই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘সারা বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা নেওয়া অত্যাবশ্যক।’
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই দাবি শুধু ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই নয়, অর্থনৈতিক কারণেও হতে পারে। কারণ, গ্রিনল্যান্ডের ভূগর্ভে রয়েছে বিপুল পরিমাণ খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সামরিক স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের জনগণ তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যা ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ইউক্রেন সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধানে রিয়াদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

ট্রুডোর বিদায়, কানাডার ক্ষমতায় কার্নি

এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায় :তারেক রহমান

মানুষ জামায়াতকে নেতৃত্বে দেখতে চায় -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

আ’লীগ ১৭ বছরে বিএনপিকে একটি ইফতার মাহফিলও করতে দেয়নি- ফখরুল ইসলাম

পারিবারিক বন্ধন জোরদার করুন

খাল কেটে কুমির আনার পরিণতি

জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে ঃ মিয়া গোলাম পরওয়ার

নারীর উপযুক্ত মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে

ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

পঞ্চগড় থেকে একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন, আশা সারজিসের

প্রশ্ন : আমার মা গত ২০১৭ সালে দীর্ঘ দিন কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা জঠিল রোগে ভুগে আমার উপর বেশ রাগ, অভিমান নিয়ে মারা গেছেন। মা খুব অসহায় অবস্থায় মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে তার প্রতি দায়িত্ব পালন করিনি। অনেক অবহেলা করেছি, রাগারাগি করেছি, তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করিনি। আমি এখন খুব মর্মাহত, ক্ষমা পাওয়ার উপায় আছে কি?

কুরআনের মাস রমজান

মাহে রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম

তাকওয়া অর্জন ও গুনাহ থেকে পরিত্রাণের মাস রমজান

কুরআনের মাসে হোক কুরআনপ্রীতি

ফেসবুকে পড়শীর রান্নার রেসিপি

নতুন শিল্পীর সাথে গাইলেন আসিফ আকবর

বরখাস্ত কর্মীদের পুনর্বহাল করতে নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পাকিস্তানের হানিয়া আমিরের বালিউড যাত্রা