উইঘুর বিতর্কে থাইল্যান্ডের কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা
১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫২ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫২ এএম

থাইল্যান্ড সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি থাইল্যান্ডের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কারণ, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থাই কর্তৃপক্ষ ৪০ জন উইঘুর মুসলিমকে জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।
২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ আশ্রিত ৪০ জন উইঘুর মুসলিমকে চীনে ফেরত পাঠায়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কারণ, চীনে উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, থাইল্যান্ড চীনের চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যেসব দেশে উইঘুররা আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের চীনে ফেরত পাঠানো মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। চীন দীর্ঘদিন ধরে উইঘুরদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে। আমরা এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পৃথক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চীন প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে উইঘুরদের ফেরত পাঠাতে বাধ্য করছে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ মারি হিবার্ট জানিয়েছেন, এর আগে কখনও কোনো থাই কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানোর প্রবণতা রোধ করতেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় কতজন কর্মকর্তা পড়েছেন, তা স্পষ্ট করেনি মার্কিন প্রশাসন। তবে জানা গেছে, শুধু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন। থাই কর্তৃপক্ষ যখন উইঘুরদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা তাদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু ব্যাংকক চীনকে অসন্তুষ্ট করার ঝুঁকি নিতে চায়নি।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও থাইল্যান্ডের প্রতিক্রিয়া এখনো অজানা। আন্তর্জাতিক মহল এই ইস্যুকে কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস

গাজার শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে ৬১ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার

৩৯ দিন ধরে বিএনপি নেতা পান্নুর নিখোঁজে মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ প্রকাশ

বাংলাদেশ সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কী বার্তা দিলেন?

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপে বসার পরামর্শ জাতিসংঘ মহাসচিবের

‘যেখানে হাত দেই কেবল মুজিব, হাসিনা আর নৌকার ছড়াছড়ি’

‘ফ্যাসিস্টের সমর্থকে ভর্তি বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো’

দেশের ৭৪ উপজেলাকে দুর্গম ঘোষণা ইসির

জামায়াত সেই শিশুর পরিবারের দায়িত্ব নিলো

চার রাষ্ট্রপ্রধানের বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি

উপদেষ্টা মাহফুজের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য কাম্য নয় : হেফাজতে ইসলাম

ছাগলনাইয়ায় এক পল্লী চিকিৎসকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ পরিবারের

অসুস্থতার মাঝেও দায়িত্বে অবিচল পোপ ফ্রান্সিস

ছাত্রদের ডাকে সার্বিয়ায় রাজধানীতে লাখো জনতা

প্রতারণার অভিযোগ আদালতে শাহরুখ-অজয়-টাইগার, সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

চাপাতি হাতে ভাইরাল আদাবরের সেই কিশোরসহ ৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

কেলোগকে ইউক্রেনের বিশেষ দূত হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প

আজ বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় বাংলাদেশ ১৫তম

গুতেরেসের সঙ্গে কেন বৈঠক, আমি ঠিক বুঝিনি : মির্জা ফখরুল

চীনে প্রশিক্ষণ মহড়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত