গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১৪, ধ্বংসস্তূপে মিলল ১৫ লাশ
১৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:১২ এএম

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা থামার কোনো লক্ষণ নেই। প্রতিদিনের মতোই সেখানে নতুন করে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকা সত্ত্বেও হামলা বন্ধ হয়নি। ফলে নিহত মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, আর ধ্বংসস্তূপের নিচে লাশের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার (১৬ মার্চ) ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন হামলায় আরও ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৫১ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও ১৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,৫৭২ জনে। আহত হয়েছেন ১,১২,০৩২ জনের বেশি মানুষ। বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন, যাদের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতেও পারছেন না।
গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও তা কার্যত মানা হচ্ছে না। তিন দফার এই চুক্তিতে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি, যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে, ইসরায়েল প্রতিদিনই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির দাবি জানালেও, ইসরায়েল তা উপেক্ষা করে গাজাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে প্রায় ৮৫% ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া, অবরুদ্ধ এই অঞ্চলের ৬০% অবকাঠামো সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলের এই বর্বর আগ্রাসনের কারণে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তাকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গাজায় হতাহত, ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক সংকট প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও, এর বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এই সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষা করা যায় এবং সেখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

গণঅধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কমিটি গঠন

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ তথ্য উপদেষ্টার

করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করার দাবি

শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলামের ১৬৩ ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ

যুক্তরাজ্য থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানিসহ ক্রয় কমিটিতে ৭ প্রস্তাব অনুমোদন

আদালত চলতো হাসিনার নির্দেশে, মামলার রায় আসতো গণভবন থেকে: নুর

সার্টিফিকেট ইস্যু না করায় রিট জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্রথম চলচ্চিত্র ‘দ্য রিমান্ড’

দোহারের কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা: আসামি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজার শহরে উচ্ছেদের মুখে আতঙ্কগ্রস্থ হাজারো নারী-পুরুষ ঘরবাড়ি ও জমি রক্ষায় মানববন্ধন

কর্পোরেট জবাবদিহিতা ও পরিবেশগত ন্যায়বিচারের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের মন্তব্যে তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের

বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪১৩

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে

জ্বালানি সচিব-তিতাসের এমডিকে আদালত অবমাননার নোটিশ

নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র!

সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১৫৪৯৪৫ টাকা

ঢাবিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

আনোয়ারায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত-জড়িতদের বসতঘরে জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

বার্জার ও সিএমপি-এর উন্নত কোটিং প্রযুক্তি যমুনা রেল সেতুকে দিচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা