যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক ‘শেষ’, জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
২৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৬ এএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ এএম

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন সংকটের মুখে পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কানাডার সব পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপরও সমপরিমাণ কর বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এই পদক্ষেপে কানাডার অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘পুরোনো সম্পর্ক শেষ’ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, অটোয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, কানাডার অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংহতকরণ এবং সামরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল, কিন্তু ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে সেই সম্পর্কের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে গেছে। কার্নি বলেন, “আমাদের অর্থনীতিকে নতুনভাবে পরিকল্পনা করতে হবে।” তিনি আরও জানান, কানাডা প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘সর্বোচ্চ প্রভাব’ ফেলবে।
ট্রাম্প বুধবার (২৬ মার্চ) ঘোষণা দেন, আমদানি করা গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর স্থায়ীভাবে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। এই ঘোষণার ফলে কানাডার অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাত—অটোমোবাইল শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে স্বাক্ষরিত কানাডা-মার্কিন অটোমোটিভ পণ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কার্নি এই চুক্তিকে তার জীবদ্দশায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির ফলে সেটি কার্যত শেষ হয়ে যাবে।
কানাডা এখন নতুন বাণিজ্য অংশীদার খুঁজতে এবং অর্থনীতিকে বহুমুখী করতে উদ্যোগী হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেছেন, কানাডাকে এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে, যা তারা নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। একইসঙ্গে অন্যান্য দেশের সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। তবে তিনি এটাও বলেছেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব কি না, তা এখন দেখার বিষয়।
ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্যনীতি শুধু কানাডার জন্য নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপরও বড় প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের এ সংকটময় মুহূর্তে দুই দেশের সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটিই এখন বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

লিঁওর নিষেধাজ্ঞা: প্লেঅফের কথা ভাবছে ফিফা

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজে অংশগ্রহণের প্রত্যাশায় অনেকে আগেই চলে আসেন

ঈদের নামাজ আদায় করতে না পারা ট্রেন চালক বললেন, 'কর্মই ধর্ম, কর্মেই মুক্তি'

সেমিতে উঠেও বিষণ্ণ সিটি

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠবে, রয়টার্সকে মঈন খান

তালতলীতে ঈদের নামাজে ইমামকে হত্যা চেষ্টায় যুবক আটক

নাটোরে ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঘিরে উত্তেজনা, গুলিবর্ষণ

আমরা মুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছি : মির্জা ফখরুল

ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ

ফাঁস হয়ে গেছে সালমানের 'সিকান্দার', আর্থিক ঝুঁকির শঙ্কা

যমুনা সেতু দিয়ে এক সপ্তাহে ২ লাখ ৪৭ লাখ যানবাহন পারাপার, ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়

দেশে দেশে ঈদ উদযাপিত

ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বাড়িতে আসতে পারেনি চৌদ্দগ্রামে স্বাচ্ছন্দে ঈদ উদযাপন সাবেক এমপি ও শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির

টেকেরহাট বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত দামে

মিথ্যাচার করছেন নেহা কক্কর,দাবি আয়োজকদের

সম্প্রীতির নজির, ঈদের দিন নামাজিদের উপর পুষ্পবর্ষণ হিন্দুদের

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদেরকে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দেয়নি: এ্যানি

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বারুইপাড়া ঈদগাহ মাঠ বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত

চৌদ্দগ্রামে মদের কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, আটক ৪