যুক্তরাষ্ট্রে ৩ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

ইনকিলাব ডেস্ক

২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:১০ এএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমনে কড়া পদক্ষেপ হিসেবে তিন শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই পদক্ষেপ দেশটির রাজনৈতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে এই ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গায়ানা সফরকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কো রুবিও বলেন, "সম্ভবত এখন পর্যন্ত ৩০০-এর বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। আমরা প্রতিদিনই এটি করছি, যখনই আমরা এই পাগলদের কাউকে পাই।"

মূলত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ইসরায়েলবিরোধী বলে বিবেচিত আন্দোলন ও বক্তৃতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তুর্কি শিক্ষার্থী, রুমেসা ওজতুর্ক, যিনি ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছিলেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার ভিসা বাতিল করা হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পোশাকধারী অফিসাররা তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, যা অনলাইনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তুর্কি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মার্কো রুবিও বলেছেন, "যদি কেউ শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন করে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা, দখলদারিত্ব বা সহিংসতায় অংশ নেয়, তাহলে আমরা তার ভিসা বাতিল করব।" ওজতুর্ক এর আগে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন এবং তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি মতামতও লিখেছিলেন।

এই ঘটনায় মার্কিন শিক্ষা ও মানবাধিকারের ভবিষ্যৎ নীতিগুলো নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে সমালোচনা ও আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক