ইসরাইল সম্পর্কে ৫৩ শতাংশ আমেরিকানের নেতিবাচক ধারণা
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৫ এএম | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৬ এএম

সম্প্রতি মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার এক জরিপ প্রকাশ করেছে, যেখানে ইসরাইল সম্পর্কে আমেরিকান নাগরিকদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিসংখ্যান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন নির্দেশ করে। এর মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার জনগণের দৃষ্টিভঙ্গিতে এক ধরনের টানাপড়েন তৈরি হচ্ছে।
এই জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে ৫৩ শতাংশ আমেরিকান ইসরাইলের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখছেন, যা ২০২২ সালের মার্চে ছিল ৪২ শতাংশ। বুধবার (৯ এপ্রিল) এই জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়। জরিপের ফলাফলে একটি বিশেষ দিক লক্ষ্য করা গেছে, তা হল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে পার্থক্য। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ ইসরাইলকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন, যেখানে ২০২২ সালে এই হার ছিল ৫৩ শতাংশ। রিপাবলিকানদের মধ্যে এই সংখ্যা ৩৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ২৭ শতাংশ।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত তিন বছরে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরাইল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার হার বেড়েছে, তবে বয়স্ক ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। ৫০ বছর বয়সের নিচে রিপাবলিকানদের মধ্যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বেড়েছে, যেখানে ২০২২ সালে তাদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার হার ছিল ৩৫ শতাংশ এবং এখন তা ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। এই ধরনের পরিবর্তন থেকে বোঝা যায় যে, ইসরাইলের প্রতি মার্কিন জনগণের মনোভাব রাজনৈতিক ও বয়সভিত্তিক পার্থক্যের ওপর নির্ভর করছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি মার্কিনদের আস্থার ক্ষেত্রেও এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫২ শতাংশ বলেছেন যে, তারা বৈশ্বিক ইস্যুতে নেতানিয়াহুর ওপর ‘সামান্য’ বা ‘একেবারেই’ আস্থা রাখেন না। মাত্র ৩২ শতাংশ তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন, যা ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর প্রতি এই নেতিবাচক মনোভাব মার্কিন রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর একটি বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়া, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে মার্কিনিদের আগ্রহও কমে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৬৫ শতাংশ আমেরিকান বলেছিলেন যে, এই যুদ্ধ তাদের কাছে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বা ‘কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ’, কিন্তু এখন সেই হার নেমে এসে ৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই পরিবর্তনটি ইসরাইল ও মার্কিন সম্পর্কের মধ্যে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সূচনা হতে পারে, যা ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এই পরিসংখ্যানগুলি ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার জনগণের মনোভাবের পরিবর্তন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মধ্যে গতি পরিবর্তনের একটি বড় ইঙ্গিত। যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের নীতি ও কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। তথ্যসূত্র : দ্য টাইমস অব ইসরাইল
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সড়ক বিহীন সেতু,কাজে আসছেনা এলাকাবাসীর

দুর্নীতির অভিযোগে নওগাঁ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

কলাপাড়ায় একটি ছাগলকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘর্ষে, আহত-৪

ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে কিন্তু বিএনপি নিয়ে ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে -মিজান চৌধুরী

উইন্ডিজকে হারালেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

গাজায় মানবিক সহায়তা নিষিদ্ধ ঘোষণা ইসরায়েলের, সংকট তীব্র

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রজ্ঞাপন জারি

সুন্নত নামাজে ভুল করে নামাজ শেষ করে ফেলা প্রসঙ্গে?

কূট-কৌশলে ভিআইপিদের টার্গেট করতেন মেঘনা আলম চক্র

সুন্দরবন রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা হোক

ইউনূস-মোদি বৈঠক : একটি পর্যালোচনা

উইন্ডিজের বিপক্ষে সেরাটা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: নিগার

গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে সংক্ষুব্ধ ‘আমরা’ কারা?

জেনারেল এসির নামে প্রতারণা

ইমরান খান-বুশরা বিবির বিয়ের অজানা অধ্যায় প্রকাশ

নোয়াখালীতে ব্রান্ডের নকল বস্তায় চাউল প্যাকেট করে বিক্রি ;ভোক্তা অধিকারের ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

মঞ্চে অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট

মুক্তির অপেক্ষায় মিজানুর রহমান লাবুর সিনেমা আতরবিবিলেন

সোস্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা আমাকে শান্তি দিয়েছে :বাঁধন