নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠকে ইরান ও গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনা
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ পিএম | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৭ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন, তিনি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে রোধ করতে সম্মত হয়েছেন এবং গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই সফরটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন ইসরায়েল গাজায় ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ইতোমধ্যেই ৫০,৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
চলতি এপ্রিলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি—যেটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মতে সামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে, যদিও ইরান বরাবরই দাবি করে এসেছে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। পাশাপাশি, নেতানিয়াহু জানিয়েছেন যে তারা লিবিয়া-ধাঁচের একটি সমঝোতার কথা ভাবছেন—যেখানে আন্তর্জাতিক তদারকিতে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হবে।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, যদি আলোচনায় ফল না আসে, তবে সামরিক হস্তক্ষেপের বিকল্প থাকবে। এই বক্তব্যের আগেই ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু হবে আগামী শনিবার থেকে। যদিও এটি ইসরায়েলকে অবাক করেছে এবং তেহরান পরে জানায়, ওমানের মধ্যস্থতায় “পরোক্ষ আলোচনা” হবে। এর আগেই ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এসেছিল যে হাঙ্গেরিতে থাকাকালীন হঠাৎ করে নেতানিয়াহুকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ট্রাম্পের আলোচনার পরিকল্পনা জানাতে।
গাজা ইস্যুতেও নেতানিয়াহু তাদের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভিশন নিয়ে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে অনেক গাজাবাসীকে সেসব দেশে স্থানান্তরের জন্য। যদিও আরব লিগ ইতিমধ্যেই একটি ৫৩ বিলিয়ন ডলারের পুনর্গঠন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে যেখানে গাজা থেকে জনগণকে সরানোর কথা নেই। এই পরিকল্পনাকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করে। মিশর, জর্ডানসহ একাধিক দেশ স্পষ্টভাবে গাজার মানুষদের গ্রহণে অসম্মতি জানিয়েছে।
এই বৈঠকে নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প চেয়েছেন দেশগুলো যেন তাদের বাণিজ্য ঘাটতি শূন্যে নিয়ে আসে। নেতানিয়াহু প্রতিশ্রুতি দেন, ইসরায়েল এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করবে। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েলের জন্য শুল্ক ছাড়ের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়। তিনি আরও বলেন, “আমরা ইসরায়েলকে প্রতিবছর ৪ বিলিয়ন ডলার দেই। এটা অনেক বড় অঙ্ক।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতোমধ্যে নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান। এই বাস্তবতায় নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠক শুধু রাজনৈতিক নয়, আন্তর্জাতিক আইনেরও এক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সড়ক বিহীন সেতু,কাজে আসছেনা এলাকাবাসীর

দুর্নীতির অভিযোগে নওগাঁ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

কলাপাড়ায় একটি ছাগলকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘর্ষে, আহত-৪

ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে কিন্তু বিএনপি নিয়ে ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে -মিজান চৌধুরী

উইন্ডিজকে হারালেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

গাজায় মানবিক সহায়তা নিষিদ্ধ ঘোষণা ইসরায়েলের, সংকট তীব্র

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রজ্ঞাপন জারি

সুন্নত নামাজে ভুল করে নামাজ শেষ করে ফেলা প্রসঙ্গে?

কূট-কৌশলে ভিআইপিদের টার্গেট করতেন মেঘনা আলম চক্র

সুন্দরবন রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা হোক

ইউনূস-মোদি বৈঠক : একটি পর্যালোচনা

উইন্ডিজের বিপক্ষে সেরাটা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: নিগার

গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে সংক্ষুব্ধ ‘আমরা’ কারা?

জেনারেল এসির নামে প্রতারণা

ইমরান খান-বুশরা বিবির বিয়ের অজানা অধ্যায় প্রকাশ

নোয়াখালীতে ব্রান্ডের নকল বস্তায় চাউল প্যাকেট করে বিক্রি ;ভোক্তা অধিকারের ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

মঞ্চে অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট

মুক্তির অপেক্ষায় মিজানুর রহমান লাবুর সিনেমা আতরবিবিলেন

সোস্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা আমাকে শান্তি দিয়েছে :বাঁধন