প্রশ্ন : ‘শপথ দশ রাতের’ বলে আল্লাহপাক অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন কেন?
১৩ জুন ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ১২:০৯ এএম
উত্তর : মহান আল্লাহপাক আল কুরআনের ৮৯ নং সূরা আল্ ফাজর এর ২ নং আয়াতে ‘শপথ দশ রাতের’ বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। শপথের দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে দশ রাত্রি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:), হযরত কাতাদাহ (রহ:) ও হযরত মুজাহিদ (রহ:) প্রমুখ তাফসিরবিদদের মতে, এতে যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন বোঝানো হয়েছে। (তাফসির ইবনে কাসির)
যা সর্বোত্তম দিন বলে বিভিন্ন হাদিসে স্বীকৃত। হাদিস শরীফে এসেছেÑ ‘এ দিনগুলোতে নেক আমল করার চেয়ে অন্য কোনো দিন নেক আমল করা আল্লাহ তায়ালার নিকট এত উত্তম নয়। অর্থাৎ যিলহজের দশ দিন। সাহাবায়ে কিরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা:)! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? নূর নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা আলাদা, যে নিজের জান ও মাল নিয়ে জিহাদে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি’। (সহীহ বুখারী : ৯৬৯; সুনানে আবু দাউদ: ২৩৪৮; জামেয়ে তিরমিযী: ৭৫৭; সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৭২৭; মুসনাদে আহমাদ : ১/২২৪)। তাছাড়া এই দশ দিনের তাফসিরে হযরত জাবের বিন আবদিল্লাহ (রা:) বর্ণনা করেন যে, নূর নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন: ‘নিশ্চয়ই দশ হচ্ছে কোরবানি মাসের দশ দিন। বেজোড় হচ্ছে আরাফার দিন আর জোড় হচ্ছে কোরবানির দিন’। (মুসনাদে আহমাদ : ৩/৩২৭; মুস্তাদরাকে হাকিম : ৪/২২০; আস্ সুনানুল কুবরা লিন্ নাসাঈ : ৪০৮৬, ১১৬০৭, ১১৬০৮)
সুতরাং এখানে দশ রাত্রি বলে যিলহজের দশ দিন বোঝানো হয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন: হযরত মূসা (আ:)-এর কাহিনীতে ‘ওয়া আতমামনাহা বিআস্রিন’ এবং আরো দশ দিয়ে তা পূর্ণ করি : সূরা আরাফ : আয়াত : ১৪২) বলে এই দশ রাত্রিকেই বোঝানো হয়েছে। ইমাম কুরতুবী (রহ:) বলেন: হযরত যাবের (রা:)-এর হাদিস থেকে জানা গেল যে, হযরত মূসা (আ:)-এর জন্যও এ দশ দিনই নির্ধারিত করা হয়েছিল।
বিশেষ করে এ দিনের শপথ করার কারণ এই যে, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা প্রত্যেক দিনের সাথে একটি রাত্রি সংযুক্ত করে দিয়েছেন, যা ইসলামী নিয়মানুযায়ী দিনের পূর্বে থাকে। একমাত্র ‘ইয়াত্তমুন্নাহর’ তথা যিলহজের দশম তারিখ এমন একটি দিন, যার সাথে কোনো রাত্রি নেই। কারণ, এর পূর্বের রাত্রি এদিনের রাত্রি নয়। বরং আইনত তা ‘আরাফারই রাত্রি’। এ কারণেই কোনো হাজী যদি ‘ইয়াওমে আরাফা’ তথা নবম তারিখে দিনের বেলায় আরাফার ময়দানে পৌঁছতে না পারে এবং রাত্রিতে সোবহে সাদেকের পূর্বে কোনো সময় পৌঁছে যায়, তবে তার আরাফাতে অবস্থান সিদ্ধ হবে এবং তার হজও শুদ্ধ হয়ে যাবে। এ থেকে জানা গেল যে, আরাফা দিবসের রাত্রি দু’টি। একটি পূর্বে ও একটি পরে এবং ‘ইয়াওমুন্নাহর’ তথা দশম তারিখের কোনো রাত নেই। এদিক দিয়ে এ দিনটি সব দিনের তুলনায় বিশেষ শানের অধিকারী। (তাফসিরে কুরতুবী)
উত্তর দিচ্ছেন : এ. কে. এম ফজলুর রহমান মুন্শী।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শীতে কাহিল উত্তরাঞ্চল
রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ না বানাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান মির্জা ফখরুলের
ক্রিসমাসকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত স্পেন
সমৃদ্ধ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে যুবদের দক্ষতা উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার তাগিদ বিশিষ্টজনদের
কেরানীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের ১২ মাসে ১২ হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি
বেনাপোলে আবাসিক হোটেল থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ
গফরগাঁওয়ে বালুভর্তি লড়ি চাপায় যুবকের মৃত্যু
‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উক্তি সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী'
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা করায় ইউক্রেনকে সমালোচনা ট্রাম্পের
সংবিধানে 'আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' পুনঃস্থাপন করতে হবে
জামিন পেলেন অভিনেতা আল্লু অর্জুন
অপরাধীদের ক্ষমায় রেকর্ড করলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন
লামায় চতুর্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতির নতুন সভাপতি দুলাল, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম
৭২ সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছেন শেখ মুজিব মাওলানা মামুনুল হক
নিজ স্বার্থেই বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেবে: জয়শঙ্কর
ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন
তাহেরির মাহফিল থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ
শিক্ষার্থীরা যেমন ছাত্ররাজনীতি চায়