প্রশ্ন : আমি আমিরাতে চাকরি করি। বিয়ের সাত দিনের মাথায় ছুটি ফুরিয়ে যাওয়ায় দেশ থেকে চলে আসতে হয়েছে। দু’বছর যাবত বাড়ি যেতে পারি না। স্ত্রীকে আমিরাতে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এখন সে তালাক চাচ্ছে। আমি এখন কী করতে পারি?

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৫ জুন ২০২৪, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ১২:১৩ এএম

উত্তর : এত অল্প ছুটি হাতে থাকতে এবং স্ত্রীকে সাথে রাখার নিশ্চয়তা না থাকা অবস্থায় আপনার বিয়ে করাই ঠিক হয়নি। স্বামী-স্ত্রীর বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য একসঙ্গে থাকা। সন্তানাদি হওয়া। যেহেতু আপনি অপারগ আর আপনার স্ত্রী এ দূরত্ব মেনে নিতে সম্মত নয়, অতএব উভয়পক্ষের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে একটি ফায়সালায় আসা উচিত। আমাদের দেশে প্রবাসীরা এমন অস্বস্তিকর বিয়ে-শাদী করে। যাতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের চরম কষ্ট হয়। বিয়ের উদ্দেশ্যও নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় উভয়ের জীবনেই গোনাহ সংঘটিত হয়। সমাজ তখন নানা কথা বলে। কিন্তু শরিয়তের নির্দেশনা লোকেরা ফলো করে না। এ দেশের অসংখ্য স্বামী-স্ত্রীর মতো অসুখী জীবন নিয়েও যারা ধৈর্য ও সততার পথে রয়েছেন তাদের কথা আলাদা। তবে যারা এমন জীবন চান না, তাদের আপসে আলাদা হয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। অনেক খারাপের চেয়ে এটি কম খারাপ।
প্রশ্ন : রাজধানী ঢাকার ট্রাফিক সিগন্যালে যে সমস্ত ভিক্ষুক হাত পাতে, তাদের ভিক্ষা দেয়া ঠিক কি না? কারণ শুনেছি এদের ভিক্ষা শেষে চাঁদাবাজ ও গডফাদাররা নিয়ে যায়। তা ছাড়া অনেক ভিক্ষুক নাকি বেশ পয়সাওয়ালা। আমাদের চেয়েও ধনী। এ বিষয়টি বিস্তারিত বলবেন।
উত্তর : ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া শরিয়ত এসব কারণেই নিরুৎসাহিত করে থাকে। জাকাত-ফিতরা দেয়ার সময় প্রাপক-এর যোগ্য কি না, তা জেনেশুনে দেয়া ওয়াজিব। অন্যথায় জাকাত আদায় হয় না। সাধারণ দানের ব্যাপারেও প্রকাশ্য দরিদ্র, প্রতিবন্ধী, এতিম-বিধবা, অথর্ব ইত্যাদি দেখেই দেয়া উচিত। নিজের চেনা-জানা ভিক্ষুককে দান করা উত্তম। গ্রামে বা বিচ্ছিন্ন জায়গায় যেখানে টাকা পয়সার লেনদেন কম, সেখানকার ভিক্ষুককে দান করা উত্তম। রাজধানীর ট্রাফিক সিগন্যালে অস্থিরতার সময় দান করা সমীচীন নয়। এতে যে কোনো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। যারা শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা নিজেরাই হারাম কাজে লিপ্ত। তাদের দান করলে দাতার কোনো সওয়াবই হবে না। তা ছাড়া স্বল্প আয়ের মানুষ যে সামান্য দান-খয়রাত করেন খবর নিলে দেখা যাবে, একজন ভিক্ষুক তার চেয়ে বেশি আয় করে। এখানে ব্যাপারটি কেমন তা আপনি নিজেই চিন্তা করুন। আর পঙ্গু ভিখারি যদি সামান্য থাকা খাওয়ার বিনিময়ে কোনো চাঁদাবাজ গডফাদারের টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে তখন এ ধরনের ব্যবসা নির্মূল করার জন্যই যত্রতত্র দান না করা উচিৎ। কোনোকিছুই না জেনে দৃশ্যত একজন অভাবীকে সাধারণ দান করলে আল্লাহ অবশ্যই সওয়াব দেবেন। তবে উপরে আলোচিত প্রশ্ন যেখানে থাকবে, সেখানে বুঝেশুনে দান করাই দাতার কর্তব্য। আর দান করার প্রকৃত জায়গা সম্পর্কে আলোচনার মধ্যেই ইশারা করা হয়েছে। এসব অনুসরণ করাই সকলের উচিত।

 


বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন : মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন : মির্জা ফখরুল

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের এক বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়ল

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের এক বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়ল

মুক্ত জীবনে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ফিরেছেন তার জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায়

মুক্ত জীবনে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ফিরেছেন তার জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায়

বৃষ্টি কমছে, কমছে নদ-নদীর পানি দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি, সিলেটে বিভিন্ন খাতে ক্ষতির পরিমাণ আপাতত ৮ শত কোটি!

বৃষ্টি কমছে, কমছে নদ-নদীর পানি দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি, সিলেটে বিভিন্ন খাতে ক্ষতির পরিমাণ আপাতত ৮ শত কোটি!

ভারতকে করিডোর দিয়ে শেখ হাসিনা খাল কেটে কুমির এনেছেন: রিজভী

ভারতকে করিডোর দিয়ে শেখ হাসিনা খাল কেটে কুমির এনেছেন: রিজভী

মহাসড়ক বিভাগের সচিব হিসেবে আরও এক বছর থাকছেন আমিন উল্লাহ নুরী

মহাসড়ক বিভাগের সচিব হিসেবে আরও এক বছর থাকছেন আমিন উল্লাহ নুরী

যুক্তরাষ্ট্রকে কি শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের সমালোচনা করার মূল্য দিতে হচ্ছে : প্রশ্ন দ্য ডিপ্লোম্যাট

যুক্তরাষ্ট্রকে কি শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের সমালোচনা করার মূল্য দিতে হচ্ছে : প্রশ্ন দ্য ডিপ্লোম্যাট

দু’পক্ষের মারামারির পর মাদ্রাসায় আগুন, নারীসহ আহত ৭

দু’পক্ষের মারামারির পর মাদ্রাসায় আগুন, নারীসহ আহত ৭

আইএসডি’র উদ্যোগে কার্নেগি মেলন রোবোটিক্স সামার ক্যাম্প আয়োজিত

আইএসডি’র উদ্যোগে কার্নেগি মেলন রোবোটিক্স সামার ক্যাম্প আয়োজিত

পরিকল্পনার অভাবে ইউরোপের শ্রমবাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ সংবাদ সম্মেলনে রাবিড নেতৃবৃন্দ

পরিকল্পনার অভাবে ইউরোপের শ্রমবাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ সংবাদ সম্মেলনে রাবিড নেতৃবৃন্দ

বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ জলবায়ু কূটনীতি ও ইকো-ট্যুরিজম সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করবে : পরিবেশমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ জলবায়ু কূটনীতি ও ইকো-ট্যুরিজম সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করবে : পরিবেশমন্ত্রী

মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রতিশ্রুতি রাহুল গান্ধীর

মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রতিশ্রুতি রাহুল গান্ধীর

ভারতের সাথে রেল করিডোর চুক্তি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপরে কুঠারাঘাত : গণঅধিকার পরিষদ

ভারতের সাথে রেল করিডোর চুক্তি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপরে কুঠারাঘাত : গণঅধিকার পরিষদ

আরিফুল ইসলাম জেনেভায় বাংলাদেশের নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি

আরিফুল ইসলাম জেনেভায় বাংলাদেশের নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি

পাকিস্তানে গণতন্ত্রকে সমর্থন করার প্রস্তাব পাস মার্কিন সংসদে

পাকিস্তানে গণতন্ত্রকে সমর্থন করার প্রস্তাব পাস মার্কিন সংসদে

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উ. কোরিয়ার, মাঝ-আকাশেই বিস্ফোরিত

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উ. কোরিয়ার, মাঝ-আকাশেই বিস্ফোরিত

‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের অর্থ দিচ্ছে ভারত’

‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের অর্থ দিচ্ছে ভারত’

বুড়িগঙ্গা নদীতে ১৫৬ ড্রাম ভর্তি পেট্রোল-ডিজেল বহনকারি ট্রলারে বিস্ফোরণ, তিন শ্রমিক নিখোঁজ

বুড়িগঙ্গা নদীতে ১৫৬ ড্রাম ভর্তি পেট্রোল-ডিজেল বহনকারি ট্রলারে বিস্ফোরণ, তিন শ্রমিক নিখোঁজ

আইনের শাসন পাওয়া প্রত্যেক জনগণের অধিকার বগুড়ায় ন্যায় কুঞ্জ উদ্বোধনকালে বললেন- প্রধান বিচারপতি

আইনের শাসন পাওয়া প্রত্যেক জনগণের অধিকার বগুড়ায় ন্যায় কুঞ্জ উদ্বোধনকালে বললেন- প্রধান বিচারপতি

দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ডিস্টিলারি থেকে ১৩ হাজার লিটার ডি এস (ডিনেচার্ড স্প্রিট) উধাও, তদন্ত কমিটি গঠন

দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ডিস্টিলারি থেকে ১৩ হাজার লিটার ডি এস (ডিনেচার্ড স্প্রিট) উধাও, তদন্ত কমিটি গঠন