প্রশ্ন : আমার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় বোরকা পরতে চায় না। স্কুলেও শুধু ড্রেস পরে যেতে চায়। বেশি জোর করতে পারি না। যদি অভিমান করে বড় কিছু করে বসে। এখন কি করব?
২২ জুন ২০২৪, ১২:২৩ এএম | আপডেট: ২২ জুন ২০২৪, ১২:২৩ এএম
উত্তর : ১৬ বছরে মেয়েরা এমন অবস্থায় পৌঁছে, যাদের ভালো করে শরীর ঢেকে রাখতে হয়। শালীন ও ঢিলেঢালা ফুল পোশাক পরার পর যদি বড় ওড়না বা চাদর দিয়ে বুক ও মাথা ঢেকে রাখে তা হলেও চলনসই পর্দা হয়ে যায়। বোরকা পরার জন্য চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে মন তৈরি করতে থাকুন। কোনো তালিম বা দ্বীনি পরিবেশে মহিলাদের সাথে চলাফেরা করতে শেখান। আপনি প্রজ্ঞার সাথে নরমে-গরমে আপনার কথা বোঝাতে থাকুন। দোয়া এবং চেষ্টা জারি রাখুন। হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। যদিও এসব কাজ শিশু বয়সেই মাথায় দিতে হয়। আপনি সম্ভবত বেশ দেরি করে ফেলেছেন। চেষ্টা করতে থাকুন। এরপরও যদি না হয় তাহলে মা হিসেবে আপনি দায়ী হবেন না। ১৬ বছরে মেয়ে নিজেই নিজের গোনাহের ভাগী হয়ে যায়।
প্রশ্ন : এক ব্যক্তির কাছে আমি ২০ হাজার টাকা পাই। সে নিজ ইচ্ছায় আমাকে টাকা না দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে দিতে চাইছে। মাসে এ ৩০০ টাকা আমার জন্য বৈধ হবে কি?
উত্তর : না, হবে না। কারণ, ২০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ আপনি ফেরত পেলে, প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এ টাকার সুদ বলে বিবেচিত হবে। শরিয়তে ব্যবসার লভ্যাংশ ছাড়া অপর কোনো শর্তযুক্ত টাকা কোনোরূপ বিনিময় ব্যতীত গ্রহণ করা বৈধ নয়। ইসলামে কর্জ বা ঋণ প্রদান একটি সওয়াবের কাজ। এর বাহ্যিক বিনিময় গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
প্রশ্ন : অজু করে মসজিদে যাওয়ার সময় খারাপ ছবিযুক্ত পোস্টার চোখে পড়লে বা কোনো সচিত্র পত্রিকা দেখলে কি অজু ভেঙে যায়?
উত্তর : অজু ভাঙার সুনির্দিষ্ট কারণগুলো আপনি কোনো আলেম বা ইমামের নিকট থেকে জেনে নিতে চেষ্টা করুন। কোনো দৃশ্য বা ছবি দেখলে অজু ভঙ্গ হয় না। খারাপ ছবিযুক্ত পোস্টার বা সচিত্র পত্রিকা চোখে পড়লেই অজুু ভেঙে যায় না।
প্রশ্ন : আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি, সেখানে সবাই জোরে আমিন বলে। অন্য এলাকার মসজিদে জোরে আমিন বলে না। বিদেশে গির্জায় দেখেছি, পাদ্রির সাথে সবাই জোরে আমিন বলে। খুব কনফিউশনে আছি। কি করব, বুঝিয়ে বলুন।
উত্তর : আপনি যে মসজিদে নামাজ পড়েন, সেখানে সবাই যদি জোরে আমিন বলে তা হলে ইচ্ছা করলে আপনিও জোরে বলতে পারেন, আর নাও বলতে পারেন। যেসব মসজিদে জোরে আমিন বলে না, সেখানে আপনিও জোরে বলবেন না। সবার মতোই আস্তে বলবেন। কেননা, নামাজে আমিন বলা সুন্নত, আস্তে বলা আরেকটি সুন্নত। যারা জোরে বলেন, তারা একটি সুন্নতের ওপর আমল করেন। আর যারা আস্তে বলেন, তারা দুটি সুন্নতের ওপর আমল করেন। এখানে বড় কোনো সমস্যা বা বিরোধ নেই। কেননা, এক সাহাবিকে নবী করিম সা. নিজে নামাজ শিখিয়েছেন। ২০ বার নামাজ শেখাতে গিয়ে তিনি ১৭ বার আস্তে আমিন পড়েছেন, আর তাকে কথাটি কী বলতে হয়, তা বোঝানোর জন্য তিনবার জোরে আমিন বলেছেন। তা থেকে ইসলামি শরিয়াহ বিশেষজ্ঞগণ আস্তে বলাকে বেশি উত্তম মনে করে থাকেন। জোরে বলাও কোনো কোনো ফকিহের মতে সঠিক। তবে গির্জার পাদ্রি ও পূজারিদের ‘আমেন’ বলার সাথে নামাজের ‘আমিন’ কে তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই। এটি অন্য ধর্মের একটি নিয়ম। আশা করি আপনার কনফিউশন দূর হবে।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শীতে কাহিল উত্তরাঞ্চল
রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ না বানাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান মির্জা ফখরুলের
ক্রিসমাসকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত স্পেন
সমৃদ্ধ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে যুবদের দক্ষতা উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার তাগিদ বিশিষ্টজনদের
কেরানীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের ১২ মাসে ১২ হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি
বেনাপোলে আবাসিক হোটেল থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ
গফরগাঁওয়ে বালুভর্তি লড়ি চাপায় যুবকের মৃত্যু
‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উক্তি সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী'
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা করায় ইউক্রেনকে সমালোচনা ট্রাম্পের
সংবিধানে 'আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' পুনঃস্থাপন করতে হবে
জামিন পেলেন অভিনেতা আল্লু অর্জুন
অপরাধীদের ক্ষমায় রেকর্ড করলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন
লামায় চতুর্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতির নতুন সভাপতি দুলাল, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম
৭২ সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছেন শেখ মুজিব মাওলানা মামুনুল হক
নিজ স্বার্থেই বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেবে: জয়শঙ্কর
ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন
তাহেরির মাহফিল থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ
শিক্ষার্থীরা যেমন ছাত্ররাজনীতি চায়