বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করার এক ফ্যাসিস্ট ইতিহাস তৈরি করেছিল।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, শেখ মুজিব বলেছিল, সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছিলাম চোরের খনি। এ চোরকে রূপান্তরিত করে শেখ হাসিনা ডাকাততন্ত্রে পরিণত করেছিলেন। এ ডাকাতরাই আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এ ডাকাতরাই আমাদের ভাতের অধিকার লুণ্ঠন করেছে। এডাকাতরাই দুর্নীতি করেছে। এ ডাকাতরাই মানুষের ওপর অবিচার করেছে। এ আওয়ামী লীগের ডাকাতরাই সেনা সদস্যদের হত্যা করেছে, আলেম-ওলামাকে বেইজ্জতি করেছে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। বাংলার এ জমিনে আওয়ামী লীগের জুলুমতন্ত্রের বিচার হবেই।
তিনি আরও বলেন, ‘এই বাংলাদেশ শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং তাদের উত্তরসূরি যারা জীবন দিয়েছেন; তারা এ অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল বলেই বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বৈরাচার থেকে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা তার পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়েছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথা স্মরণ করে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে এক বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। বাবা শহীদ হয়েছেন। সন্তান বাবাকে দাফন করার জন্য যখন ভ্যানে করে লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ যখন শুনতে পেয়েছে এ বাবা আন্দোলনের সময় রাস্তায় ছাত্রসমাজকে পানি দিয়েছে, খাবার দিয়েছে, এ কারণে পুলিশ ওই বাবাকে হত্যা করেছে। এটা শোনার পর ওই সন্তানকেও গুলি করে বাবার মতো লাশ করে ফেলেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের তিন দিনের ব্যবধানে শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনার বিচার একদিন বাংলাদেশে হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খিলপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি আজগর আলীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মসলিশে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার, জামায়াতের নোয়াখালী জেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ছাইফ উল্যাহ, চাটখিল উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মহিউদ্দিন হাসান, চাটখিল পৌরসভা আমীর মাওলানা আক্তার হোসাইন, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা ওমর ফারুক, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নূর হোসাইন রিয়াজ, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির সুমন প্রমুখ।
চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত একর্মী সম্মেলনে ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ২০২৫-২৬ সেশনের ইউনিয়ন জামায়াত ও সহযোগী সংগঠনের নতুন দায়িত্বশীলদের নাম ঘোষণা করা হয়।