প্রশ্ন : আমি আমার স্ত্রীকে ৬ মাস পূর্বে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিয়েছি। আমাদের ৬ বৎসরের ১ সন্তান রয়েছে। আমরা আবার একত্রে হতে চাচ্ছি। শরীয়াহ মোতাবেক কি ভাবে নিতে পারব।
১২ মে ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম | আপডেট: ১৩ মে ২০২৩, ১২:০২ এএম
উত্তর : যদি তালাকে বায়েন বা পূর্ণাঙ্গ বিচ্ছেদ কোর্টের মাধ্যমে করে থাকেন এবং পরবর্তী ইদ্দত শেষ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে আপনারা আর একত্রে হতে পারবেন না। শরীয়াহ মোতাবেক নেওয়ার দু’টি পথ আছে। এক. স্ত্রী যদি অন্য কোথাও সংসারী হন, আর সে স্বামী মারা যান, তাহলে পূর্ণ ইদ্দত (৪ মাস ১০ দিন) পার হওয়ার পর দু’জনে সম্মত হলে এই বিধবাকে আপনি সম্পূর্ণ নতুন করে বিবাহ করতে পারেন। দুই. প্রথমে তাকে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে, নতুন স্বামীর সাথে দৈহিক মিলন হতে হবে, এরপর যদি তাকে আপনার বা অন্য কারো প্রভাব বিস্তার ছাড়া সংগত কারণে তার নতুন স্বামী তাকে তালাক দেয়, তখন সম্পূর্ণ ইদ্দত শেষে (সন্তান পেটে থাকলে তার প্রসবের পর) নতুন করে আপনি এই স্বামী পরিত্যাক্তাকে বিয়ে করতে পারেন। এভাবেই পুনরায় আপনারদের মিলন সম্ভব। এছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বা সাজানো পথ শরীয়ত সম্মত নয়। এরচেয়ে অনেক সহজ হলো আপনি ধরে নিন, আপনার এ স্ত্রী মারা গিয়েছেন। সন্তানদের জন্য বা আপনার নিজের জীবনের জন্য খুব সুবিধাজনক না হলেও নতুন কাউকে বিয়ে করে নিন। আর এখন যতকিছু মনে আসছে এসবই তালাক দেওয়ার আগে ভাবা উচিত ছিল। যারা তালাক দেন, তাদের এসব আগেই ভেবে নেওয়ার জন্য আবেদন রাখব।
প্রশ্ন : প্র¯্রাবের পর দু’য়েক ফোঁটা চলে আসলে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে?
উত্তর : দু’য়েক ফোঁটা বলতে আমরা কি বুঝবো? পরিমাণটা বলে রাখি, দু’য়েক ফোঁটা পেশাব বের হলে অজু ভেঙ্গে যায়। অজু করতে হবে। এবার প্রশ্ন আসে কতটুকু পেশাবে কাপড় নাপাক হয়? একটি সিকি পয়সা বা এরচেয়ে কম জায়গা হলে কোনোরকম নামাজ হয়ে যাবে। এরবেশি হলে নাপাকির জায়গাটি ধুতে হবে। এক ফোঁটা পেশাব সম্ভবত সিকি কয়েনের পরিমাণের মধ্যে থাকে। কিন্তু দু’য়েক ফোঁটা থাকে না। এসব খুব সাবধানে বিবেচনা করে নিবেন। মাসআলাটি সতর্কতার আর সিদ্ধান্ত বিশ্বস্ত বিবেকের।
প্রশ্ন : আমার আব্বা গত কয়েক দিন আগে মারা গেছেন, এক দোকানদার উনার কাছে কিছু টাকা পেত, জীবিত অবস্থায় টাকা দিয়ে যেতে পারেন নি, আমি সস্তান হিসাবে কি ওই টাকা গুলো দিয়ে দিলে আমার আব্বা ঋণমুক্ত হবে? ওই দোকানদার এখন টাকাগুলো নিতে চাচ্ছেনা, সে বলতেছে আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি টাকা দেওয়া লাগবে না, আশা করি আমার প্রশ্নের জবাব দিবেন।
উত্তর : সন্তান হিসেবে আপনার উচিত পিতার পাওনা পরিশোধ করে দেওয়া। এ বিষয়ে আপনার আন্তরিক চেষ্টার ত্রুটি করবেন না। এখন পাওনাদার যদি নিজের থেকে আপনার আব্বাকে ক্ষমা করে দেন, পাওনা টাকা না নেন, তাহলে আপনার আব্বার কোনো দায় থাকবে না। আপনিও তার এ ইহসান ও সৌজন্য মেনে নিন। এ নিয়ে জোর জবরদস্তি করা বা দিতেই হবে বলে মনে করা বাড়াবাড়ি। যদি কোনো মন্দ দিক এখানে লুকিয়ে না থাকে, তাহলে আপনি এ টাকা না দিলেও চলবে। যিনি দাবী ছেড়ে দিতে চান, তাকে দাবী ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ দিন।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কে হবেন বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার?
বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প টার্গেটেও স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা