প্রশ্ন : আমার এক আত্নীয়া টেলিফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইউরোপ প্রবাসী একজনকে ভিডিও কল এর মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। কাজী বিয়ে পড়িয়েছেন, চার জন স্বাক্ষীও ছিলাম। পাত্রী এবং স্বাক্ষীরা কাবিন নামায় স্বাক্ষর করেছেন। পাত্র-পাত্রী ভিডিও কল্ ব্যতীত কেউ কাউকে সরাসরি দেখেননি। বর্তমানে বনিবনা হচ্ছেনা বিধায় পাত্র এ বিয়ে কে অস্বীকার করছেন। তার দাবী যেহেতু তিনি কাবিন নামায় স্বাক্ষর করেননি তাই বিয়েও সম্পূর্ণ হয়নি। তার দাবী কি ঠিক? দয়া করে জানাবেন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৭ পিএম | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম

উত্তর : যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, বিয়ে পড়ানোর নিয়ম এমন নয়। অনুপস্থিত বর কনের বিয়ে সরাসরি টেলিফোন বা ভিডিও কলে করানোর নিয়ম নেই। শরীয়তের পদ্ধতি হলো, কনে বা বর বিয়ে করানোর জন্য সাক্ষীর সামনে কাউকে এজেন্ট বা উকিল নিয়োগ করবে, এ কাজটি টেলিফোনেও সম্ভব। উকিল বিয়ের সাক্ষীর সামনে মজলিসে বসে আকদ করে নিবে। আপনাদের অনুষ্ঠিত বিয়েতে এখন উপস্থিত সাক্ষী, রেকর্ড, ভিডিওক্লিপ ইত্যাদির সাহায্যে বরের বিবাহের স্বীকৃতি বা ইজাব কবুল প্রমাণ করতে হবে। আদালত তখন রায় দেবে সত্যিই বর বিয়ে করেছিল কি না। অনুপস্থিতির বিয়ে এজন্যই শরীয়তে মানা। শরীয়তের পদ্ধতি উকিল নিয়োগ করে উপস্থিতি নিশ্চিত করা। প্রবাসে বা দূর থেকে টেলিফোনে বিয়ের নামে বর্তমানে যে পদ্ধতি চলছে, এর ফাঁকটুকু আপনার ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গেছে। যে জন্য শরীয়ত উকিলের মাধ্যমে মজলিসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। যেন কোনো পক্ষই পরে অস্বীকার করতে না পারে।
প্রশ্ন : কেরোসিন তেল কি পবিত্র, না অপবিত্র? কাপড় বা গায়ে একটু লাগলে, তা সহ নামাজ পড়া যাবে কি না।
উত্তর : কেরোসিন তেল স্পষ্টত নাপাক নয়। কোনো অনুসঙ্গ মিশ্রিত হলে নাপাক হতে পারে। শুধু কেরোসিন তেল তার কটু গন্ধের জন্য মসজিদে পরিত্যাজ্য। তবে, অপারগ অবস্থায় সতর্কতার সাথে মসজিদেও ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন : আমার মেয়ের বয়স ৬ বছর পার হলো। সবাই বলছে নাক কান ফুটো করার জন্য। এ ব্যাপারে ইসলামী শরীয়া কি বলে?
উত্তর : এটি মেয়েদের যুগ যুগ ধরে চলে আসা সাজ সজ্জার অংশ। ইসলাম পূর্ব যুগে এসব ছিল। ইসলাম এসে এসব বাধা দেয় নি। নতুনভাবে উৎসাহিতও করে নি। নারীদের জন্য এসব করা হারাম নয়। তবে নাক কানের অলংকারের ছিদ্রে ফরজ গোসলের পানি পৌঁছানো আবশ্যিক। অজুর সময় নাকফুল, নথ বা নোলকের ছিদ্রে পানি পৌঁছানো জরুরী। অলংকার নড়াচড়া করে ভেতরে পানি পৌঁছাতে হয়। ছিদ্র করার পর অলংকার না পরা ঠিক না। বিধবা মেয়েদের জন্য যা একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ইদ্দতের পর পানি পৌঁছানোর জন্য তাদের অলংকার বা কাঠি পরে থাকতে হয়, যতদিন না তারা ¯্রাব বন্ধের পর্যায়ে চলে না যান। এসব বিষয় খেয়াল রেখেই নাক কান ফোঁড়ন জায়েজ। না ফোঁড়ালে তো কোনো ঝামেলাই নেই। বর্তমানে নাক ফোঁড়ানো অনেক কমে গেছে। তবে, মুসলিম নারীদের নারী সুলভ বৈধ সাজ-গোজ ইসলামে স্বীকৃত। এক সাহাবী নারীকে নবী সা. বলেছিলেন, মেয়েরা হাতে মেহেদী ইত্যাদি লাগায় না কেন? বোঝাই যায় না এটা পুরুষের হাত না নারীর। পর্দার আড়াল থেকে এ মহিলা নবী সা. কে কোনো পাত্র বা বাটি এগিয়ে দিলে তিনি একথা বলেন।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে শীর্ষ চারে নিউক্যাসেল

জয়ের ম্যাচে এমবাপের লাল কার্ড অস্বস্তিতে রিয়াল

নাটকীয় জয়ে শিরোপার আরও কাছে লিভারপুল

র্যাংগস ই-মার্টে শুরু হলো এসি কার্নিভাল

ঈদুল ফিতরে ২১ হাজার উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল রূপান্তরে সহায়তা করলো জাতিকইজি

‘মঙ্গল’ নাম বদলে ক্ষোভ, ব্যাখ্যা চান চারুকলার শিক্ষার্থীরা

এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল উপহার দিচ্ছে চীন

২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

বৈশাখের কালো ঘোড়া

কালবৈশাখী

বৈশাখ

আচানক এইসব দৃশ্য

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

নারায়ণগঞ্জে আরসা প্রদানসহ ছয় জনের ফের আট দিনের রিমান্ডে

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ সরদার বকুলের বিরুদ্ধে

ভারতীয় আধিপত্যবাদের হুমকিভারতীয় আধিপত্যবাদের হুমকি

কবিতায় বৈশাখ

দ্রুত সময়ে ময়মনসিংহে বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু হবে: বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ

নববর্ষ ও বিজাতীয় আগ্রাসন

নানার বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেলো শিশুর