দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৬ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

প্রশ্ন : আমাদের যাদের বয়স হয়ে গেছে, বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। প্রায়ই চিকিৎসার জন্য হসপিটালে যেতে হয়, সেখানে মহিলা ডাক্তার, নার্সদের সেবা নিতে হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তারা দেহে স্পর্শও করেন। এটা কি আমার জন্য জায়েজ হবে।
উত্তর : যথা সম্ভব চেষ্টা করবেন মহিলা ডাক্তার ও নার্সদের স্পর্শ বা সংগ এড়াতে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজনে জরুরী পরিমাণ সহায়তা নেওয়া যাবে। যেমনটি পর্দানশীন নারীদের বেলায়ও শরীয়ত জায়েজ রেখেছে। যদি মহিলা ডাক্তার পাওয়া না যায়, তাহলে নারীরাও বেগানা পুরুষ ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারেন। ইসলাম সহজ ও বাস্তববাদী ধর্ম। আর নিজেকে মানসিক ভাবে পরিচ্ছন্ন রাখা প্রত্যেকের নিজের দায়িত্ব। যা তাকওয়ার দ্বারা অর্জিত হয়।
প্রশ্ন : আমাদের এখানে এক হুজুর হেলিকপ্টার দিয়ে ওয়াজ করতে আসলেন। উনাকে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা হেলিকপ্টার ভাড়াসহ দেওয়া হলো। অথচ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ভাড়া বাসে ১৫০-২২০ টাকা, ট্রেনে ১০০-১৮০ টাকা, সেখানে হুজুর ৫০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে হেলিকপ্টার নিয়ে আসলেন। এতো টাকা অপচয়ের জবাব আল্লাহর কাছে তিনি কিভাবে দিবেন? আমরা জানি অপচয়কারী শয়তানের ভাই।
উত্তর : অপচয়কারী শয়তানের ভাই। এটা কোরআন শরীফের আয়াত। এখানে অপচয় অর্থ হারাম পথে ব্যয় করা, যার নাম ‘তাবযীর’। হালাল ক্ষেত্রে অপচয় গোনাহের কাজ, যাকে শরীয়ত ‘ইসরাফ’ বলে থাকে। তবে অপচয় কোনটাকে বলে তা শরীয়ত থেকে প্রত্যেককে শিখতে হবে। আমার দৃষ্টিতে যা অপচয়, অপরের দৃষ্টিতে তা প্রয়োজন বিবেচিত হতে পারে। এটি আপেক্ষিক বিষয়। যদি কেউ নিজের সময় সুবিধা ও শৃংখলার জন্য বৈধ পথে জীবন যাপন চিকিৎসা কিংবা যাতায়াতে অধিক ব্যয় করেন, তাহলে এটিকে এককথায় অপচয় বলে দেয়া ঠিক না। আলোচ্য বক্তাকে যারা দাওয়াত করেন সম্পূর্ণ দায় তাদের। কেননা, কোনো বক্তা কাউকে বাধ্য করেন নি, তাকে লাখ টাকা খরচ করে নিতে। অনেকে আছেন, নিজের জানমাল ও সময় খরচ করে ওয়াজ করেন, কিন্তু মানুষ তার ওয়াজ মন দিয়ে শোনে না। অনেকে আছেন, ন্যূনতম ভাড়া নেন, কেউ কেউ মানুষ যা দেয় তাতেই সন্তুষ্ট থাকেন। অনেকে ওয়াজ করতে গিয়ে সারাজীবনই ভর্তুকি দেন। কেউ হয়তো শৃংখলা ও সময় ঠিক রাখতে এবং দাওয়াতকারীদের নানারকম অবিবেচনামূলক আচরণ থেকে রক্ষা পেতে একটু কড়া হয়ে যান। টাকা পয়সা নিয়ে কথা বলে নেন। এসবই পরিস্থিতির বিচারে ভালো বা মন্দ বিষয়। নিয়ত অনুপাতে এর বিচার করতে হবে। তবে, ১০০ টাকায় যেখানে যাওয়া যায়, সেখানে ৩০০ টাকা দিয়ে এসি গাড়ীতে যাওয়া, ৫০০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেটকারে যাওয়া, সুবিধা থাকলে বিমানে যাওয়া, প্রয়োজনে লাখ টাকা খরচ করে অন্য কোনো যানবাহনে যাওয়া, যদি বৈধ পথে যুক্তিসংগত কারণে হয়ে থাকে তাহলে একে সরলভাবে অপচয় বলা হয় না। শুধু ওয়াজের ক্ষেত্রে দাওয়াতকারীদের সম্মত হওয়ার কারণে কোনো বক্তা হেলিকপ্টারে গেলে তাকে কোনোভাবেই দায়ী করা যায় না। তাকে নিলেই তিনি যান, না নিলে কেন যাবেন। এখানে অপচয়ের বিধান প্রযোজ্য হলে দাওয়াতকারীদের ওপর হবে। বক্তার ওপর হবে না। কারণ, তিনি নিজের টাকায় যান না। কাউকে নিতে বাধ্যও করেন না।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে শীর্ষ চারে নিউক্যাসেল

জয়ের ম্যাচে এমবাপের লাল কার্ড অস্বস্তিতে রিয়াল

নাটকীয় জয়ে শিরোপার আরও কাছে লিভারপুল

র্যাংগস ই-মার্টে শুরু হলো এসি কার্নিভাল

ঈদুল ফিতরে ২১ হাজার উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল রূপান্তরে সহায়তা করলো জাতিকইজি

‘মঙ্গল’ নাম বদলে ক্ষোভ, ব্যাখ্যা চান চারুকলার শিক্ষার্থীরা

এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল উপহার দিচ্ছে চীন

২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

বৈশাখের কালো ঘোড়া

কালবৈশাখী

বৈশাখ

আচানক এইসব দৃশ্য

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

নারায়ণগঞ্জে আরসা প্রদানসহ ছয় জনের ফের আট দিনের রিমান্ডে

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ সরদার বকুলের বিরুদ্ধে

ভারতীয় আধিপত্যবাদের হুমকিভারতীয় আধিপত্যবাদের হুমকি

কবিতায় বৈশাখ

দ্রুত সময়ে ময়মনসিংহে বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু হবে: বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ

নববর্ষ ও বিজাতীয় আগ্রাসন

নানার বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেলো শিশুর