প্রবীণদের মর্যাদায় ইসলামী দৃষ্টিকোণ

Daily Inqilab ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ এএম

জাতিসংঘ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ৬০ বছর ও তদুর্ধ্ব এবং উন্নত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ৬৫ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর বিংশ শতাব্দীতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি, সচেতনতা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন মৃত্যুহার যেমন হ্রাস করেছে; পাশাপাশি মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ফলে বিশ্ব সমাজে বয়স্কদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখের বেশি প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেন রয়েছেন। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে প্রবীণদের সংখ্যা হবে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ। ২০৫০ সালে এ সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি এবং ২০৬১ সালে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি প্রবীণ জনগোষ্ঠী হবে। ২০৫০ সালে বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনে একজন প্রবীণ হবেন, যা ওই সময়ের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। বাংলাদেশে আগামী ২০৫০ সালে শিশুর চেয়ে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা এক শতাংশ বেশি হবে।

ওই সময় শিশুর সংখ্যা হবে ১৯ শতাংশ এবং প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা হবে ২০ শতাংশ। মানুষের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা দিন দিন কমতে থাকে, যার ফলে প্রবীণ ব্যক্তিদের বেলায় বেশ কিছু অসুস্থতা প্রায় সবার মধ্যে দেখা দিয়ে থাকে। আর শুধু শারীরিক রোগ ব্যাধিই নয়, প্রবীণদের সমস্যাটা আসলে বহুমাত্রিক। তারা মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয়ভাবেও সমস্যায় জর্জরিত। আসলে একটা মানুষ যখন বার্ধক্যে উপনীত হন, তখন তার নিজের মধ্যেই কিছু কিছু জিনিস দানা বেধে ওঠে, যেমন- শারীরিক অসামর্থ্য, অসহায়ত্ব, পরনির্ভরশীলতা, অদৃষ্টের উপর সমর্পণতা ও অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা। এগুলোর কারণে মানসিক যন্ত্রণা থেকে শুরু করে নিজেকে অবাঞ্ছিত, পরিবারের বা সমাজের বোঝা মনে করেন। অনেক প্রবীণই বিষণ্নতায় ভোগেন। অনেক সময় এমন অযৌক্তিক ও শিশুসুলভ আচরণ তাদের মধ্যে প্রকাশ পায়, যাকে অনেকেই দ্বিতীয় শৈশব বলে মনে করেন।প্রবীণদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রবীণরা যৌবনে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পরিবারের সদস্যদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, আরাম আয়েশের দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করেছেন। জীবনের এ পর্যায়ে এসে তারা অবহেলিত হবেন, এটা মেনে নেয়া যায় না।ব্রিটিশ সরকার এ উপমহাদেশে ১৯২৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন চালু করে। প্রায় ৭২ বছর পর ১৯৯৭ সালে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার বয়স্কভাতা চালু করে।

প্রথম পর্যায়ে ৫০ কোটি, ২০১৪ সালে ১৩০৬ কোটি, পরবর্তী বছরে ১৪৪০ কোটি, ২০১৯-২০ বাজেটে ২০৬৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৪ লাখ প্রবীণকে ৫০০ টাকা হারে এ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু ভাতা দেয়া হচ্ছে মাত্র ৮৪ লাখ প্রবীণকে। ৬৬ লাখেরও বেশি প্রবীণ এ বয়স্ক ভাতার আওতায় নেই। শুধু তাই নয়, দুর্মূল্যের এ বাজারে মাত্র ৫০০ টাকায় কি পাওয়া যায়? বৃদ্ধ বয়সে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ওষুধ ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।আর প্রবীণ বা বয়স্ক ব্যক্তিরা সম্মানিত। তারা দ্বিতীয় শিশু। আমাদের মনে রাখা উচিত- আজ যারা প্রবীণ তারাও অতীতে তার পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে অনেকেই অনেক কিছু করে গেছেন। তাদের প্রতি যেন কোনোরকম অবহেলা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা যারা নবীণ তারা যেন ভুলে না যাই যে, আমাদেরও একদিন এই অবস্থায় উপনীত হতে হবে। আজ যদি আমরা তাদের প্রতি অবহেলা করি, তাহলে আমাদেরও এই রকম অবহেলার শিকার হতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রবীণরা অবহেলিত, উপেক্ষিত, সমাজে ও পরিবারে অনেকের কাছে বোঝাস্বরূপ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের সবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া অবশ্য কর্তব্য।

প্রথমে মনে রাখতে হবে প্রবীণ বয়োজ্যেষ্ঠরা আমাদের পরিবারেরই অংশ। পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মতই তার সাথে আচরণ করতে হবে। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হওয়া উচিত সবসময় প্রবীণদের আদরযত্ন দিয়ে শিশুদের মতো প্রতিপালন করা। তাদের প্রতি মায়ামমতা, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। কোনোক্রমেই তাদের মধ্যে যেন এই ধারণা না হয় যে, তারা আমাদের জন্য একটি অতিরিক্ত বোঝা। পৃথিবীর অনেক দেশে প্রবীণদের জন্য বৃদ্ধনিবাস বা ওল্ডহোমের ব্যবস্থা আছে। প্রয়োজনে সেরকম ব্যবস্থা আমাদের দেশেও করতে হবে। তাই বলে অযত্ন অবহেলায়, দায় এড়ানোর জন্য তাদের যেন এসব বৃদ্ধনিবাসে ঠেলে দেওয়া না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। আমাদের দেশে শুধু সরকারি কর্মচারী চাকরি হতে অবসর নেওয়ার পর সামান্য পরিমাণ পেনশন ভাতা পেয়ে থাকেন। প্রবীণ কি শুধু তারাই হবেন? সরকারি চাকরির বাইরে যারা অন্য পেশায় আছেন বা ক্ষেতে খামারে কাজ করেন, তারা কি বৃদ্ধ হবেন না? তাদের জন্যও সুযোগ সুবিধা থাকা জরুরি। সরকারকে তা অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত।
ইসলামে প্রবীণদের মর্যাদা:-প্রবীণদের প্রতি সম্মান দেখানো সব সমাজেরই অনুসরণীয় রীতি। আগেকার সমাজে বৃদ্ধরা বেশ সম্মানিত এবং শ্রদ্ধেয় ছিলেন।জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বৃদ্ধদের ওপর এই শ্রদ্ধা ও সম্মান অক্ষুন্ন ছিল। বিশেষ করে প্রাচ্য সমাজে বৃদ্ধদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান প্রদর্শনের ঐতিহ্য আজও মোটামুটি লক্ষ্য করা যায়।তার পরও কিছু কিছু বৃদ্ধদের মায়া-মমতায় ঘেরা পরিবারের বাইরে অবস্থান করতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।ইসলাম বৃদ্ধদেরকে অসম্ভব শ্রদ্ধা ও সম্মান দিয়েছে। হজরত রাসূলে খোদা (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি একজন বয়োবৃদ্ধের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করবে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন তাকে কিয়ামতের দিন সকল ভয়-ভীতি ও আশঙ্কা থেকে নিরাপদে রাখবেন। বৃদ্ধদের শ্রদ্ধা সম্মান করা আর ছোটোদের স্নেহ করা ইসলামি নৈতিকতার অন্যতম বিধান। যারা ইসলামের এই বিধান মেনে চলবে না, তারা অবশ্যই আল্লাহর সামনে অপরাধী হিসেবে উপস্থিত হবে। বস্তুত ‘জ্ঞানীকে তার জ্ঞানের জন্য আর বৃদ্ধকে তার বয়সের জন্য শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে হবে।’ এটাই ইসলামের শিক্ষা। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রবীণ ও নবীন মিলেই এ দুনিয়ার সমাজ ব্যবস্থা। যারা দুনিয়াতে আগে এসেছেন তারা পরবর্তীদের নিকট শ্রদ্ধাভাজন এবং প্রবীণ হিসেবে মর্যাদার অধিকারী। আর নবীনরা প্রবীণদের কাছে স্নেহভাজন এবং তাদের আদর-সোহাগ পাওয়ার অধিকারী।

প্রবীণদের শ্রদ্ধা করা এবং নবীনদের স্নেহ করা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ সম্পর্কে বলেন, ‘যারা ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান করে না তারা আমার দলের অন্তর্ভুক্ত নয়। ’আসলে মর্যাদাবান ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া উচিত। এটা মহানবীর শিক্ষা। এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষের সঙ্গে তাদের পদমর্যাদা অনুযায়ী আচরণ করো।’ -আবু দাউদ, এ কথা ঠিক, ধনী-গরিব, সৎ-অসৎ, ছোট-বড় সবাই আইনের দৃষ্টিতে সমান। আল্লাহর নির্ধারিত আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাদের কারও প্রতি সামান্যতম পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। কিন্তু সামাজিক আচার-ব্যবহারের ক্ষেত্রে জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাকওয়া-পরহেজগারি ও অন্যান্য বিশেষ পদমর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। এ কথাকেই ‘পদমর্যাদা অনুযায়ী আচরণ করো’ বাক্যে বর্ণনা করা হয়েছে। ইসলামের শিক্ষা হলো- সন্তানের অসহায়ত্বের সময় যেভাবে পিতা-মাতা তাকে স্নেহভরে সযত্নে প্রতিপালন করেন। পিতা-মাতার অসহায়ত্ব তথা বৃদ্ধাবস্থায় তাদেরকে সেভাবে লালন-পালন করা সন্তানের অবশ্য কর্তব্য। এ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা অমানবিক ও ইসলাম বিবর্জিত কাজ। এমন কাজ যারা করে তাদের কোনো ক্ষমা নেই।

এ অবহেলার জন্য সন্তানদের পরকালে কঠিন শাস্তি জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে আর দুনিয়াতেও তার বার্ধক্যাবস্থায় আরও চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি সদাশয় হওয়া এবং তাদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহয়ালা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত না করতে ও পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তাদের একজন অথবা উভয়ই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে ওহ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না; তাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলো।’ এভাবেই ইসলাম পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও সর্বস্তরের প্রবীণদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাদের অসহায়ত্বের সময় সেবাযত্ন করার তাগিদ দিয়েছে। ইসলামের এ নির্দেশনা মেনে চললে প্রবীণ নিবাসে বেদনাদায়কভাবে প্রবীণদের জীবনযাপন করার প্রয়োজন হতো না। একজন সুস্থ বিবেকসম্পন্ন ও মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ তার বৃদ্ধা পিতা-মাতাকে এবং তার আত্মীয়-পরিজনকে অবহেলা ও উপেক্ষা করতে পারে না।

পরিশেষে, সবচেয়ে বড় কথা হলো- ইসলামের শিক্ষাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষ করে প্রত্যেক বৃদ্ধের ছেলে-সন্তানসহ মা-বোনদেরকেই এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মুসলমানদের উচিত নিজেদের ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রবীণদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা এবং এর মাধ্যমে নিজেদের ইহ-পরকালের মুক্তির ব্যবস্থা করা। আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে প্রবীণদের প্রতি যত্ন নেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।


বিভাগ : ইসলামী জীবন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভিডিও বানানো ছেড়ে দিলেন পাকিস্তানি ক্ষুদে ব্লগার সিরাজ

ভিডিও বানানো ছেড়ে দিলেন পাকিস্তানি ক্ষুদে ব্লগার সিরাজ

রইসির হেলিকপ্টারটির সন্ধান পেয়েছে উদ্ধারকারীরা

রইসির হেলিকপ্টারটির সন্ধান পেয়েছে উদ্ধারকারীরা

রিলের নেশায় ফের দিল্লি মেট্রোয় ‘অশ্লীল’ নাচ তরুণীর

রিলের নেশায় ফের দিল্লি মেট্রোয় ‘অশ্লীল’ নাচ তরুণীর

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আন্ডারসি টানেল নির্মাণ করছে চায়না রেলওয়ে

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আন্ডারসি টানেল নির্মাণ করছে চায়না রেলওয়ে

৩২ দিনে ৮ বার বাড়ল স্বর্ণের দাম

৩২ দিনে ৮ বার বাড়ল স্বর্ণের দাম

রাইসির মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট

রাইসির মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট

ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করুন : বাইডেনকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করুন : বাইডেনকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

হেলিকপ্টার খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ ৩ উদ্ধারকারী

হেলিকপ্টার খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ ৩ উদ্ধারকারী

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত

ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল

ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল

আইপিএল: প্লে অফে কে কার মুখোমুখি

আইপিএল: প্লে অফে কে কার মুখোমুখি

আট গোলের রোমাঞ্চ: ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ড্র

আট গোলের রোমাঞ্চ: ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ড্র

সহজ জয়ে লা লিগায় রানার্সআপ  বার্সা

সহজ জয়ে লা লিগায় রানার্সআপ  বার্সা

ক্লপকে অশ্রুসিক্ত বিদায় লিভারপুলের

ক্লপকে অশ্রুসিক্ত বিদায় লিভারপুলের

সিটির অমরত্বের রাত...

সিটির অমরত্বের রাত...

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার

ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত

যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত

রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক

রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক

স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান

স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান