প্রশ্ন : আমার মরহুম পিতা বদলী হজ্জ করাতে চাই। তার বিধান কি এবং কাদেরকে দিয়ে তা করানো যাবে?
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
উত্তর : বদলী হজ্জ আপনি নিজে করতে পারেন। অন্য কাউকে দিয়ে করাতেও পারেন। একজন পরহেজগার এবং হজ্জ সম্পর্কে বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে বদলী হজ্জ করানো যেতে পারে।
প্রশ্ন : আমার এক অফিস কলিগ রুমে প্রবেশ বাহির মিলিয়ে প্রতিদিন ৭-৮ বার সালাম দিয়ে থাকে। এটা কতটুকু যুক্তিসংগত জানতে চাই। আর খাবার খাওয়া অবস্থায় কাউকে সালাম দেয়া যাবে কি?
উত্তর : বিরক্তিকর বা কষ্টদায়ক পর্যায়ে সালাম চলে না। কেননা সালাম অর্থ শান্তির বানী। সালাম যেন অশান্তির কারণ না হয়। এজন্য শরীয়া অনেকগুলো ক্ষেত্রে সালাম দেয়া নিষেধ করেছে। ইবাদতের সময়, খাওয়া, অজু-ইস্তেঞ্জা, তেলাওয়াত, নিমগ্ন হয়ে পড়াশোনা, ধর্মীয় আলোচনা, ফাইল দেখা, লেখা-লেখি, একান্ত আলাপচারিতা, মিটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে মনোসংযোগ বিনষ্ট হয়ে ক্ষতির আশংকা থাকলে সালাম না দিলেও চলে। দিলেও দোয়া স্বরূপ আস্তে দিতে হয় যেন সালামপ্রাপ্ত ব্যক্তি সালামের জবাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতায় পতিত না হন। আমাদের দেশে অজ্ঞতা এতবেশী যে, যেখানে সালাম দেওয়া সমীচীন নয়, সেখানে সালাম না দিয়ে তিনগুণ একটি বাক্য মানুষ বলে ফেলে। যেমন ‘খানা খাইতেছেন তো এজন্য সালাম দিলাম না’ অথবা ‘হুজুর মনে হয় ওজীফা বা মোরাকাবা করতেছেন, তাই সালাম দিলাম না’ কিংবা ‘মনে হয়, মনোযোগ দিয়ে কোনো ফাইল স্টাডি করছেন, কিতাব অধ্যয়ন করছেন, গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ে ভাবছেন, তাই সালাম দিলাম না’। এসব অর্বাচীনের মতো কথা। এক্ষেত্রে সালাম না দেওয়া আদব। বেশী হলে আস্তে সালাম দিয়ে ফেলবে। সালামপ্রাপ্ত ব্যক্তি কথা বলতে না চাইলে মনে মনে জবাব দিয়ে দেবেন। কিন্তু সালামের বদলে তার মনোযোগ নষ্ট করার মতো সালামের চেয়ে আরও দেড়হাত লম্বা একটি কথা বলা কোন যুক্তিতে পড়ে। তবে, হাদীস শরীফে আছে মুসলমান ভাইয়ের জন্য দোয়া, কল্যান কামনা ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে যতবার দেখা হয়, ততবার অর্থাৎ বেশী বেশী সালামের প্রচলন কাম্য। উভয়ে এর রহমত বরকত ও খোদায়ী নেয়ামত সমানভাবে অনুভব করলে এর প্রয়োগ অবশ্যই শান্তির কারণ। কেউ অস্বস্তিবোধ করলে এক তরফা হাদীসের আক্ষরিক অর্থ নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের সালাম চালিয়ে গেলে, কারও কাছে একে সালামের অপব্যবহার বলে মনে হতে পারে। অধিক সালামের হুকুমের মর্ম বুঝে আমল করলে কারও অসুবিধা তো হওয়ার কথাই নয় বরং স্বস্তির কারণ হতে পারে।
প্রশ্ন : চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের রাত্রে গর্ভবতী মহিলারা কিছুই করতে পারবে না, ঘুমাতেও পারবে না। যদি কোনো কাজ করে বা ঘুমায় তাহলে খারাপ কোনো কিছু ঘটবে যেমন- সন্তান প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মাবে। কোনো কিছু কাটলে হাত বা ঠোঁট কাটা সন্তান জন্ম নিবে। এ বিষয়ে জানতে চাই।
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত কথাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। এমন হয় না। চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের সময় সুন্নত নামায শুধু গর্ভবতীদের জন্য নয় বরং সব মুসলমানের জন্য বিধিবদ্ধ রয়েছে। আমাদের দেশে রেওয়াজ নেই তবে মক্কা মদীনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এ সুন্নত নামায পড়া হয়। গর্ভবতী মহিলারা এ সময় স্বাভাবিক সব কাজকর্ম করতে পারবেন। ঘুমুতে পারবেন, কাটাকাটি করতে পারবেন, এতে কিছুই হবে না। যা বলা হয় সবই কুসংস্কার।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আট গোলের রোমাঞ্চ: ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ড্র
সহজ জয়ে লা লিগায় রানার্সআপ বার্সা
ক্লপকে অশ্রুসিক্ত বিদায় লিভারপুলের
সিটির অমরত্বের রাত...
বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত
রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক
স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইসলামী
খালেকুজ্জামানের বাড়ী সরকারিভাবে পুননির্মাণের দাবি - ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক বিজেপি নেতা
সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রেসিডেন্ট
বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
কিরগিজস্তানে আহত বাংলাদেশি ছাত্রদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনুন
শিরোপার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা : শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে সিটি-আর্সেনাল
কোরবানির গোস্ত দিয়ে কোন অনুষ্ঠান করে টেবিল বসিয়ে টাকা বা উপহার নেওয়া প্রসঙ্গে।
মানিকগঞ্জ-ঢাকা রেললাইন প্রসঙ্গে
কমিউনিটি ক্লিনিক দাঁড়িয়ে আছে দোরগোড়ায়