প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি যার ওপর যাকাত ফরজ হয় নাই। সে একটি নি¤œমানের গরু কিনল একাই কোরবানী করবে বলে। এখন সেই গরুতে সে কি কাউকে শরীক নিতো পারবে?
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম

উত্তর : এ অবস্থায় গরুটির এক সপ্তাংশ তার ওপর ওয়াজিব কোরবানীর মতো হয়ে গেছে। বাকী ছয় অংশে সে শরীক করতে পারবে।
প্রশ্ন : লজ্জাজনক কথা যেমন, ধূমপান করা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে মিথ্যা বললে কি পাপ হবে? এগুলো লুকানোর জন্য যদি মিথ্যে বলি তাহলে কেমন গুনাহ হবে?
উত্তর : মিথ্যা বলা মহাপাপ। বলা হয়, মিথ্যা বলা সকল অপকর্মের শিকড়। একটা মানুষ যদি মিথ্যা বলা ছেড়ে দেয় তাহলে সে অনেক অনেক পাপ ও অন্যায় কর্ম এমনিতেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। কেননা, মিথ্যা বলার সুযোগ নিয়েই মানুষ অনেক অপরাধ করার সাহস পায়। শরীয়তের একটি মূলনীতি রয়েছে, ‘সত্য মুক্তি দেয় আর মিথ্যা ধ্বংস ডেকে আনে।’ পরকালে মিথ্যা বলার সাজা হবে খুবই কঠোর। কোনো লজ্জাজনক কাজ বা ভূমিকা প্রকাশ না পাওয়ার জন্যেও মিথ্যা বলা অপরাধ। এ ধরনের মিথ্যা কথার জন্যও আল্লাহর নিকট অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে প্রকাশ করা জরুরী নয় এমন বিব্রতকর প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার বা দ্ব্যর্থবোধক কথা বলে নিজেকে রক্ষা করা ক্ষেত্র বিশেষে জায়েজ রয়েছে। এ স্থানগুলো জানার জন্য শরীয়তের বিশদ জ্ঞান থাকতে হয়। সাধারণ মানুষের জন্য লজ্জাজনক কাজেও মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নেই। মানুষ লজ্জাজনক কাজ বা অপরাধ সংঘটিত না করুক, এ জন্যই তো মিথ্যা বলার দ্বার রুদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশ্ন : প্রচলিত শেয়ারব্যবসা করা কি জায়েজ? আই, পি,ও তে অংশগ্রহণ করা যাবে কি?
উত্তর : হালাল ব্যবসার শেয়ারও হালাল। হারাম ব্যবসার শেয়ারও হারাম। হালাল হারাম মিশ্রিত হলে যদি হিসাব আলাদা করার ক্ষমতা, যোগ্যতা ও সুবিধা থাকে, তাহলে হালাল অংশটি হালাল। যেমন, লভ্যাংশ ও বর্ধিত পুঁজিতে সুদ কিংবা অন্য হারাম অংশ বাদ দিয়ে হালাল ভাগটুকু গ্রহণ করা যায়। শেয়ার ব্যবসা যখন বাস্তবে লাভজনক হয়, তখন হালাল শেয়ারের ব্যবসাও হালাল। মিথ্যা তথ্য, ফাটকা কিংবা সাজানো মূল্যের সময় জেনে শুনে এতে অংশ নেয়া জায়েজ নয়। তখন শেয়ার ব্যবসা আর শেয়ার ব্যবসা থাকে না। একপ্রকারের জুয়ায় পরিণত হয়। অজানা পরিণাম, অনিশ্চিত বিনিয়োগ, অজ্ঞাত লাভ লোকসান, প্রতারণা ইত্যাদি কারণে সাজানো শেয়ার ব্যবসা পরিত্যাজ্য। আই পি ও এর মাসআলা শেয়ার ব্যবসার মতোই।
প্রশ্ন : জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ইসলাম কি বলে? পার্থিব কোন লক্ষ্য থাকা কি উচিত?
উত্তর : জীবনের মূল লক্ষ্য আল্লাহকে রাজী খুশি করে পরকালে মুক্তি লাভ। কার্যকরী লক্ষ্য আল্লাহর ইবাদত করা। ব্যবহারিক লক্ষ্য আল্লাহর হুকুম ও রাসূলুল্লাহ সা. এর তরীকা মতো সুন্দর জীবন যাপন করা। পার্থিব লক্ষ্য থাকতে পারে। তবে, আল্লাহর হুকুমের বিপক্ষে যায় এমন কোনো পার্থিব লক্ষ্য সমর্থনযোগ্য নয়। শরীয়ত সম্মত পার্থিব লক্ষ্যও জীবন যাপনের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

‘মিশন কমপ্লিট’ লিখে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার স্ট্যাটাস

আলোর মুখ দেখেনি যেসব ঢাকাই সিনেমা

হার্ভার্ড বামপন্থীদের আখড়া, শিক্ষার জন্য উপযুক্ত নয় : ট্রাম্প

ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া

কর্তাব্যক্তির ইশারায় চলে উখিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি-দূদক

ওয়াকফ আইন’ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ

যুক্তরাজ্যে মুসলিমদের কবরস্থান ভাঙচুর, ৮৫টি কবর ভাঙচুর

ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ১৩ বছর আজ, সিলেটে বিএনপির নানা কর্মসূচি

বাংলাদেশকে ৭২৪ কোটি টাকার সহায়তা দেবে জার্মানি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ২৫ ফিলিস্তিনি

১৫ বছর পর বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবরা বৈঠকে বসছেন আজ

উখিয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ১ শিশু নিহত ও আহত ৬

আবারও নিষেধাজ্ঞা পেলেন জহির

সখিপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

আইপিএলে সন্দিপের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে নিষিদ্ধ ইংলিশ পেসার

আমিরাতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে বাংলাদেশ দূতাবাসের জমকালো অনুষ্ঠান

সেই বার্নাব্যুতে রিয়ালকে হারিয়েই সেমিত আর্সেনাল

স্টার্কের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সুপার ওভার রোমাঞ্চ জিতল দিল্লী