প্রশ্ন : ঢাকা থেকে বরিশাল গমনকারী যাত্রী সদরঘাট লঞ্চে (লঞ্চ ছাড়ার আগে, ঘাটে থাকা অবস্থায়, লঞ্চে ওঠে) কসর পড়বে না পূর্ণ নামাজ পড়বে?
৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

উত্তর : নিজ অবস্থানের এরিয়া থেকে বের হওয়া মাত্রই দূর যাত্রার যাত্রী মুসাফির হয়ে যায়। এরিয়া নিয়ে ভিন্নমত আছে। কেউ মনে করেন, মহল্লা ছাড়লেই এরিয়া ছাড়া হয়। আবার কেউ মনে করেন, নগরী বা মহানগরী ছাড়তে হয়। যেমন উত্তরা থেকে বরিশাল রওনা হওয়া যাত্রী বনানী কাকলীতেও মুসাফির। সদরঘাটে তো তিনি কসরই পড়বেন। দ্বিতীয় মতে ঢাকা ত্যাগ মানে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়া। কমলাপুর থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়া কিংবা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান ছেড়ে যাওয়া। গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে, বসবাসের মহল্লা ত্যাগের পরই তিনি মুসাফির হিসাবে গণ্য হবেন। অতএব, সদরঘাটে সর্বাবস্থায়ই তিনি মুসাফির। যেমন, লালবাগের মানুষ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রার পর শহরের অন্য এরিয়ায় এবং কমলাপুর স্টেশনেও কসর পড়বে। বিদেশ যাত্রী মতিঝিলের লোক শহরের অন্য এরিয়া এবং এয়ারপোর্টেও কসর পড়বে।
প্রশ্ন : টয়লেটে আল্লাহর নাম বা জিকির করা যাবে কি ? সুন্নত তরিকার দাড়ি কিভাবে রাখতে হয়, আমি শুনেছি গোফ ছোট করে রাখতে হয়, কিন্তু দাড়িতে কি খুর লাগানো যাবে? অনেকে দাড়িকে খুর দিয়ে সাইজ করে রাখে? সুন্নত তরিকার দাড়ি কিভাবে রাখতে হয় জানালে খুব উপকার হবে?
উত্তর : পেশাব পায়খানার সময় জিকির করা নিষেধ। বিশেষভাবে লেট্রিনে জিকির করা নিষেধ। বড় বাথরুমে, যেখানে অজুর জায়গা লেট্রিন থেকে দূরে সেখানে জিকির দোয়া করা যায়। সুন্নত তরীকার দাড়ি কাটা বা ছাটা যায় না। দাড়ি সম্পূর্ণ মুক্তভাবে ছেড়ে রাখতে হবে। এক মুষ্টির পরের অংশ কাটতে হয়। মোচ কামানো নিষেধ। ছোট করে ছেটে রাখা সুন্নত। বিশেষ করে ঠোঁটের ওপর নেমে আসা অংশ ছাটা জরুরী। হযরত ওমর রা. মেসওয়াক ধরে এর ওপরের অংশ ছেটে দিতেন। মোচের পরবর্তী লম্বা যেই অংশ দাড়িতে এসে মিশে যেত, তা কাটতেন না। গলার নিচে কিংবা গালের অংশে থাকা দাড়ি কাটা নিয়ে ভিন্ন মত আছে। অনেকে এসব কাটেন, অনেকে দাড়িতে ক্ষুর বা কাঁচি কিছুই লাগান না। এসব সুন্নতের আওতায়ই বিভিন্ন রূপ। যে যেভাবে পালন করুন সমস্যা নেই, তবে দাড়ি রাখা জরুরী। মোচ বড় করে রাখা নিষেধ।
প্রশ্ন : আমি সরকারি চাকুরিজীবী। আমার স্থাবর অস্থাবর যা আয় আছে তা থেকে যদি সম্পত্তির কোন অংশ সওয়াবের আশায় লিল্লাহে ওয়াকফ করে দেই তাতে আমার গুণাহ হবে কিনা? আমার স্ত্রী ও সন্তানেরা এটা চায় না। সংসারের ভরণ পোষণ ও তাদের ভবিষ্যৎ আংশ রেখেই আমি এটা করতে চাই।
উত্তর : এক তৃতীয়াংশ আপনি এভাবে ওয়াকফ করতে পারেন। তবে, লিল্লাহে ওয়াকফ যে সরকার বা লোকজনের তত্ত্ববধানে করবেন, এর ভবিষ্যত খুব ভালো হবে না। আমাদের দেশে কারও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। তাই, স্ত্রী সন্তানের তত্ত্বাবধানে ওয়াকফে আওলাদ করুন। এতে তারাই নিয়ন্ত্রক থাকবে। বৈধ সুবিধা নিতে পারবে। আপনার প্রস্তাবিত অংশ আল্লাহর রাস্তায়ও ব্যয়িত হবে। স্ত্রী সন্তানকে স্বচ্ছল রেখে যাওয়া তাদের অভাবী রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম। তাদের দান করতে শিখিয়ে যান। যদি ভালো মনে করেন, নিজ হাতে সদকায়ে জারিয়ায় টাকা পয়সা বিনিয়োগ করে যান। ওয়াকফ না করাই ভালো। কারণ, এসবের ভবিষ্যত আশানুরূপ হয় না। এরচেয়ে বরং নিজ উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে যাওয়া উত্তম।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

‘মিশন কমপ্লিট’ লিখে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার স্ট্যাটাস

আলোর মুখ দেখেনি যেসব ঢাকাই সিনেমা

হার্ভার্ড বামপন্থীদের আখড়া, শিক্ষার জন্য উপযুক্ত নয় : ট্রাম্প

ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া

কর্তাব্যক্তির ইশারায় চলে উখিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি-দূদক

ওয়াকফ আইন’ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ

যুক্তরাজ্যে মুসলিমদের কবরস্থান ভাঙচুর, ৮৫টি কবর ভাঙচুর

ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ১৩ বছর আজ, সিলেটে বিএনপির নানা কর্মসূচি

বাংলাদেশকে ৭২৪ কোটি টাকার সহায়তা দেবে জার্মানি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ২৫ ফিলিস্তিনি

১৫ বছর পর বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবরা বৈঠকে বসছেন আজ

উখিয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ১ শিশু নিহত ও আহত ৬

আবারও নিষেধাজ্ঞা পেলেন জহির

সখিপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

আইপিএলে সন্দিপের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে নিষিদ্ধ ইংলিশ পেসার

আমিরাতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে বাংলাদেশ দূতাবাসের জমকালো অনুষ্ঠান

সেই বার্নাব্যুতে রিয়ালকে হারিয়েই সেমিত আর্সেনাল

স্টার্কের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সুপার ওভার রোমাঞ্চ জিতল দিল্লী