প্রশ্ন : নবী করিম সা. কোন খাদ্য বেশি পছন্দ করতেন এবং কোন খাদ্যের গুণ, প্রাণশক্তি ও নিরাময় ক্ষমতা বেশি বলে বর্ণনা করতেন? জানতে চাই
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম

উত্তর : হযরত নবী করিম সা. এর সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় খাদ্যের মধ্যে ছারীদ উল্লেখযোগ্য। ছারীদ বলা হয় গোশতের তরকারীতে টুকরো রুটি মিলিয়ে যে খাদ্য তৈরি করা হয়। গোশতের মধ্যে হুযুর সা. বেশি পছন্দ করতেন খাসীর সামনের রানের গোশত। তরি তরকারীর মধ্যে সর্বাধিক পছন্দের ছিল লাউ। তাছাড়া তিনি দুধ, মধু, খেজুর, সিরকা, পনির ইত্যাদি সবই আগ্রহভরে খেয়েছেন। শ্রেষ্ঠ খাদ্য হিসেবে দুধের উল্লেখই বেশি পাওয়া যায়। যা একই সাথে খাদ্য এবং পানীয়। প্রিয়নবী সা. খাদ্য সম্পর্কে যেসব আদর্শ রেখে গিয়েছেন তন্মধ্যে মৌলিক কিছু এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে। হুযুর সা. বলেছেন তোমরা ততক্ষণ খাদ্যগ্রহণ করবে না, যতক্ষণ না তোমরা ভালো রকম ক্ষুধিত হও। যখন খানা খাবে তখন পেটকে তিনভাগে বিভক্ত করে নিও। একটি অংশ খাদ্যের, একটি পানীয়ের, অপর একটি শূন্য রেখো আল্লাহর জিকরের জন্যে, স্বচ্ছন্দে শ্বাস প্রশ্বাসের জন্যে। খেতে বসলে কিছুটা বাকী থাকতেই উঠে পড়। একজনের খানা দু’জনের জন্য যথেষ্ট। দু’জনেরটা যথেষ্ট তিনজনের জন্য, ইত্যাদি নির্দেশনা মেনে চললে একজন মানুষ সাধারণত খাদ্যজনিত কোনো রোগব্যধির শিকার হবে না।
প্রশ্ন : পিতা মারা যাওয়ার কতদিন পর তার কন্যাকে বিয়ে দেয়া যায়? চার মাস দশ দিনের মধ্যে কি কন্যার বিয়ে শাদী হতে পারে?
উত্তর: কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে তার কন্যার বিয়ে শাদীর কোনো সম্পর্ক নেই। পিতার মৃত্যুর দিনও যদি বিয়ে দেয়া হয়, তবে এ বিয়ে শরীয়ত সম্মত ও স্বাভাবিক হবে। তবে শরীয়তের সামাজিক আচরণ বিধিতে আছে যে, কোনো মৃত্যুর জন্য প্রকৃতিগত শোক পালনের সময়সীমা তিন দিন। এ তিনটি দিন বিয়ে শাদী বা বড় ধরনের কোনো সামাজিক কর্ম-সম্পাদন না করাই মানবিক প্রকৃতির দাবি। এরপর আসে কন্যা বা বরের মানসিক অবস্থার কথা। পিতা-মাতার মৃত্যুর ক’দিন পর তারা বিয়ে শাদীর পর্যায়ে যাবে তা নির্ধারণের অধিকারও শরীয়ত সংশ্লিষ্টদের দিয়েছে। ঐচ্ছিকভাবে তারা এসব নিয়ে দ্রুত বা বিলম্বিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর চার মাস দশদিনের যে মেয়অদ তা একজন স্বামী হারা স্ত্রীর বেলায়ই প্রযোজ্য। স্বামীর মৃত্যুর পর কেবল স্ত্রীরাই এ মেয়াদ পালন করবে, পরিবারের অপর কোনো সদস্য নয়। স্ত্রীরা এ মেয়াদকাল স্বামীর গৃহেই রাত্রিযাপন করবে এবং এ মেয়াদের মধ্যে নতুন স্বামী গ্রহণ করতে পারবে না।
প্রশ্ন : সন্তান জন্মদানের পর একজন মায়ের কতদিন পর্যন্ত নামাজ পড়তে হয় না। নামাজ মওকুফ থাকে।
উত্তর : বিষয়টি নির্ধারিত নয়। সন্তান প্রসবের পর যে ¯্রাব হয় তা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত নামাজ মাফ। এর সর্বোচ্চ মেয়াদ ৪০ দিন। আগে বন্ধ বলে আগেই নামাজ শুরু করতে হবে। প্রসব পরবর্তী এ ¯্রাবকে ইসলামী ফিকাহ-র পরিভাষায় ‘নিফাস’ বলা হয়।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

কুয়েটে ভয়হীন ক্যাম্পাস ও নিরাপদ একাডেমিক পরিবেশের দাবি ছাত্রদলের

হাসিনার আগে জামায়াত, জিয়া ও খালেদার বিচার করতে হবে: আদালতে শাজাহান খান

মহিপুরে দিনব্যাপী সিপিপির ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সমাবেশ

দাউদকান্দিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবককে কুপিয়ে জখম

৯৯৯ সহযোগীতা চাওয়ায় গৃহিণীকে মারধরের অভিযোগ

ফিলিস্তিনের পক্ষ নেওয়ায় হামজার ওপর আক্রমণ প্রতিপক্ষ সমর্থকদের?

আড়াইহাজারে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

‘ভিসি না গেলে আমরা উঠবো না’ - কুয়েটের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন

কাশ্মীরে হামলা: ভারত-পাকিস্তান ফের সংঘাতের আশঙ্কা

কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জনবল সঙ্কটে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা-৬মাসে ৩২ হাজার পাসপোর্ট প্রত্যাশী

সচিবালয়ে বসে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসররা : মির্জা আব্বাস

মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে জাইকার সাথে চুক্তি সম্পন্ন

শেরপুরে পাহাড়ি অঞ্চলে বন্যহাতি খেয়ে যাচ্ছে কৃষকের আবাদি আধাপাকা ধান

ঘাটাইলে বিলুপ্তির পথে জনপ্রিয় দেশিফল ‘আনাই’

আনোয়ারায় বিশেষ অভিযানে মাদক ও হামলা মামলার চার আসামি গ্রেফতার

শেরপুরে কোনভাবেই থামছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, জরিমানা

মার্কিন সহায়তা হ্রাসে রোহিঙ্গা সংকট আরও জটিল হয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

মাদক সেবনই কাল হল বুড়িচংয়ের ৩ যুবকের

রাজনগরে হাওরে ধান কাটার ধুম, বৃষ্টির বাগড়া: কৃষকদের চরম দূর্ভোগ