প্রশ্ন : সিগারেট খাওয়া যাবে কি? যদি কেউ সিগারেট খায় কেমন গুনাহ হবে?
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম
উত্তর : সিগারেট খাওয়া নিয়ে একক কোনো সিদ্ধান্ত শরীয়তে দেখা যায় না। প্রাচীণ যুগের ফতোয়া মতে এটি খাওয়া জায়েজ। এর দুর্গন্ধ থেকে পরিপূর্ণ মুক্ত হয়ে মসজিদে যাওয়া জরুরী। নতুবা মাকরুহ। সাম্প্রতিক কিছু ইজতেহাদ বা শরয়ী গবেষণা সিগারেট খাওয়াকে পরিস্কার হারাম বলছে। তবে, এর পক্ষে হারাম হওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ দলিল প্রমাণ না থাকায়, অধিকাংশ আলেম হারাম বলতে পারছেন না। বেশী হলে মাকরুহ তাহরীমি হতে পারে। তবে, আগের ফতোয়া অনুসরণ করলে সিগারেট খাওয়া জায়েজ।
প্রশ্ন : রাতে যদি কেউ কিয়ামুল্লাইল না পড়তে পারে, তাহলে এই নামাজ কি জোহরের আগে পড়া যাবে? তখন কি উক্ত সওয়াব আশা করা যায়? আর দুই রাকাত নফল নামাজে কি একাধিক নিয়ত করা যাবে? যেমন, সালাতুত তাওবা, সালাতুল হাজত ও কিয়ামুল্লাইল? জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর : কিছু নফল নামাজের নির্দিষ্ট সময় আছে। এগুলো নির্দিষ্ট সময়ে পড়া উত্তম। তবে, দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই (নামাজ শুদ্ধ নয়, এমন কিছু সময় ছাড়া) নফল নামাজ পড়া যায়। নির্দিষ্ট নামাজগুলোর কাজা না হলেও সেসবের ফজিলত পাওয়ার আশায় অন্য সময়েও পড়া জায়েজ। নফল নামাজের আলাদা আলাদা নাম বা নিয়ত না করলেও চলে। বরং মনে একটা প্রার্থনা বা আশা নিয়ে আল্লাহর সামনে নফল নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেই হল। একই নামাজে একাধিক বিষয় জমা না করা উত্তম। এমনকি, একেকটি হাজতের জন্য আলাদা আলাদা নামাজ পড়াই সমীচীন। এসব আদবের বিষয়। তবে, কোনো আমলই যেন সুন্নাতের খেলাফ না হয়। তাহলে নফল ইবাদত নিয়মের বাইরে চলে যাওয়ার ফলে সওয়াব না হয়ে গুনাহও হতে পারে।
প্রশ্ন : আমি স্টুডিওর ব্যবসা করি। ছবি তুলে তা প্রিন্ট করে দেই, বা কারও মেমোরীতে দিয়ে দেই। প্রশ্ন হলো, আমার এ ব্যবসা কি জায়েজ হবে?
উত্তর : সম্ভব হলে আপনি স্টুডিওর ব্যবসা ছেড়ে দিন। সতর্কতার জন্য পেশা বদল করে ফেলুন। কারণ, এখানে জায়েজ অংশ বাছাই করে চলা খুব কঠিন। অনেক কাজই গুনাহের দিকে ঝুকে যায়। কিছু নানান ব্যখ্যা দিয়ে জায়েজ ধরার মতো থাকলেও এ ব্যবসার মূল ব্যাপারটি নাজায়েজ ও গুনাহর বেশী নিকটবর্তী। যতদিন বদলাতে না পারেন, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে চেয়ে ব্যবসাটি চালাতে থাকুন। তবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো পেশায় চলে যাওয়া সবদিক দিয়ে উত্তম।
প্রশ্ন : আমার অঞ্চলের কিছু মহিলা হজ্জে যাবার নিয়ত করেছেন, যাদের মাহরাম (পিতা বা পুত্র) সৌদি থাকেন। বাংলাদেশ থেকে সৌদি পর্যন্ত তারা মুয়াল্লিমের সাথে যাবেন। সৌদি যাওয়ার পর মাহরাম তাদের সাথে একত্রিত হবে। প্রশ্ন হলো, এভাবে মাহরাম ছাড়া এতদূর যাওয়া কি জায়েজ হবে?
উত্তর : কোনোরকম জায়েজ হতে পারে। শরীয়তের চাহিদা মতো অনেকগুলো শর্ত পাওয়া গেলে এবং শরীয়ত যে কারণে মাহরামসহ সফর করার হুকুম দিয়েছে, এসব লঙ্ঘিত না হলে কোনোরকম জায়েজ হতে পারে।
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এবার হেলিকপ্টারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জায়েদ খান
‘রাইসি মারা গেলে বিশ্ব এখন নিরাপদ জায়গা’ মার্কিন কংগ্রেসম্যান
নির্বাচনে জিতলে অভিনয় ছেড়ে দিবেন কঙ্গনা
রামপুরায় অটোরিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
বিয়ের খবর দিলেন ইধিকা, জানিয়েছেন পাত্রের নাম!
মিশা-ডিপজলের বিরুদ্ধে নিপুণের রিট শুনানি পেছাল
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ৩০ ব্যাংকের এমডি
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত
শুরু হচ্ছে বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণকাজ, ২৫ মে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
মোরেলগঞ্জে বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টার,থেমে নেই প্রচার
রাবি শিক্ষার্থীকে মধ্যরাতে জোরপূর্বক হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
ইতিহাস গড়ার পর সিটি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন গুয়ার্দিওলা
সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ হজযাত্রী
ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি
বিধ্বস্তের সময় রাইসির হেলিকপ্টারে ছিলেন ৯ জন
আফ্রিকার থেকে কি সোমালিয়ান প্লেট আলাদা হয়ে জুড়তে পারে ভারতে?
আজ থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’, কোনও আরোহী বেঁচে নেই
মহাকাশ ঘুরে আসা উপকরণ নিয়ে গবেষণা করবে চীন
পঞ্চম দফায় ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে